হেলফিট ট্যাবলেট খেলে কি ক্ষতি হয় ও উপকারিতা A to Z জানুন

আজকের এই আর্টিকেলে হেলফিট ট্যাবলেট খেলে কি ক্ষতি হয় এবং হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। অনেকেই রয়েছে যারা ফার্মেসী থেকে নিজেরাই হেলফিট ট্যাবলেট কিনে খেয়ে থাকে মোটা হওয়ার জন্য কিংবা রুচি বাড়ানোর জন্য কিন্তু তারা হেলফিট ট্যাবলেট খেলে কি ক্ষতি হয় তা জানে না। তো তাদেরই জন্য মূলত এই পোস্টটি।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয় হেলফিট ট্যাবলেট নিয়ে। এই ট্যাবলেটটি মূলত যাদের খাওয়ার প্রতি একদম রুচি নেই, পেটে সমস্যা, শরীর পাতলা তাদের ক্ষেত্রেই হেলফিট ট্যাবলেটটি ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি হেলফিট ট্যাবলেট খাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে হেলফিট ট্যাবলেট খেলে কি ক্ষতি হয় এবং হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে রাখা খুবই জরুরী।

ভূমিকা

হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে আপনার আগে প্রথমে হেলফিট ট্যাবলেট কি এবং এটি কি কাজ করে সে সম্পর্কে জানা উচিত। যাদের একদমই খাবারের প্রতি রুচি নেই কোন খাবার খেতে চাই না কিংবা খাবার খাওয়ার পর খাবার হজম হয় না বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্যই মূলত এই হেলফিট ট্যাবলেটটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

হেলফিট ট্যাবলেট আপনি যদি সঠিক নিয়মে খান তাহলে আপনার আগের চাইতে এখন খাবারের রুচি দুই গুণ বেড়ে যাবে এবং কিছুক্ষণ পর পর আপনার ক্ষুধা লাগবে ফলে আপনি দুইগুন খেতে পারবেন। আমরা সকলেই জানি যে কোন মানুষ যদি ভরপুর খায় এবং পেট ভরে খায় তাহলে সে ব্যক্তি দ্রুত মোটা হয়ে যাবে আর সেই কাজটাই মূলত হেলফিট ট্যাবলেট করে থাকে।

তবে আরেকটি বিশেষ কথা আপনি যদি হেলফিট ট্যাবলেট খেয়ে মোটা হওয়া চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে এটি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন কারণ এটি একটি কেমিক্যাল ওষুধ এটি আপনার সাময়িক সময়ের জন্য মুখে রুচি বাড়ালেও এটি আপনি দীর্ঘদিন যাবত সেবন করতে পারবেন না। আপনি যদি মোটা হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত এই হেলফিট ট্যাবলেটটি খান তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই বন্ধুগণ আপনাদের কাছে একটি অনুরোধ আপনারা একজন ডাক্তারের পরামর্শে এই হেলফিট ট্যাবলেটটি সেবন করবেন। চলুন তাহলে এবার হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং হেলফিট ট্যাবলেট খেলে কি ক্ষতি হয় ও হেলফিট ট্যাবলেট এর কাজ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

হেলফিট ট্যাবলেট কি

অনেকেই জানতে চেয়ে থাকে হেলফিট ট্যাবলেটটা আসলে কি কেন মানুষ হেলফিট ট্যাবলেট খেয়ে থাকে। হেলফিট ট্যাবলেট এর কাজ হচ্ছে আপনার শরীরকে মোটা করা এবং খাবারের রুচি প্রতি বাড়ানো ও খাবার দ্রুত হজম করা। যেসব মানুষদের খাবার দ্রুত হজম হয় না গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় বুকে থাকে তাদের জন্যই মূলত এই হেলফিট ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

হেলফিট ট্যাবলেট এমন একটি ট্যাবলেট যেটা কিনা আপনাকে দ্রুত মোটা করে তুলবে আর এটি দীর্ঘদিন যাবত খেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে তাই অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই হেলফিট ট্যাবলেট কখনোই সেবন করবেন না। এই হেলফিট ট্যাবলেটের মধ্যে উচ্চমাত্রায় স্টেরয়েড মিশ্রিত রয়েছে যার ফলে কিডনি সহ লিভার ও স্কিনের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে।

হেলফিট ট্যাবলেট এর কাজ কি

হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা  সম্পর্কে জানার আগে প্রথমেই আমরা হেলফিট ট্যাবলেট এর কাজ কি সেই সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। চলুন তাহলে হেলফিট ট্যাবলেট এর কাজ কি কি এবং কি কি রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় সেগুলি জেনে নেওয়া যাক। এই হেলফিট ট্যাবলেট গ্রাম এবং শহরে সব জায়গায় পাওয়া গিয়ে থাকে যার কারণে কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দ্বিধারসে খেয়ে যাচ্ছে মানুষজন তাদের রুচি বাড়ানোর জন্য।

আরো পড়ুনঃ গ্যাসটোনা ট্যাবলেট কি কাজ করে

কিন্তু অনেকেই জানে না এই হেলফিট ট্যাবলেট এর কাজ কি এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এই হেলফিট ট্যাবলেটটি  উৎপাদন কোম্পানির নাম হচ্ছে  ভুটানিক ল্যাবরেটরিস। হেলফিট ট্যাবলেটটির প্যাকেটে লেখা অনুযায়ী এটি যাদের খাবারের রুচি কম, খেতে পারে না এবং হজমে সমস্যা তাদের জন্য এবং আরো লিখা আছে যে কার্যকারিতা আর কি কি রোগের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যাদের গ্যাসের সমস্যা কোন খাবার খেলেই পেট ফেটে যায় তারপরে আবারো বলছি যাদের খাবার খেতে সমস্যা হয় রুচি আসে না এবং পরিপাকতন্ত্রের দুর্বলতা অর্থাৎ আমাদের খাদ্যটাকে যে ক্রিয়ার মাধ্যমে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হয় সেটাকেই পরিপাকতন্ত্র বলা হয়ে থাকে আর সেখানে দুর্বলতা থাকলে সেটাকে সারিয়ে তুলতে কাজ করে।

আর হচ্ছে রক্তস্বল্পতা কার্যকরী অর্থাৎ যাদের শরীরে রক্ত একদমই নেই রক্তের পরিমাণ কম তারা যদি এই হেলফিট ট্যাবলেট কাজ করে এটি আমার কথা না এটি হেলফিট ট্যাবলেট এর প্যাকেটের গায়ে উল্লেখ করা আছে। তো বন্ধুরা আশা করি হেলফিট ট্যাবলেট এর কাজ কি তার একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা পেয়েছেন।

হেলফিট ট্যাবলেট খেলে কি ক্ষতি হয়

তো আজকে আমি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব হেলফিট ট্যাবলেট খেলে কি ক্ষতি হয় নাকি উপকার হয় এটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থাকে। অনেকেই চায় একটা সুস্থ সবল দেহের অধিকারী হতে অনেকেই চায় তার শারীরিকভাবে ফিট থাকতে স্বাস্থ্য মোটাতাজা থাকতে বিশেষ করে আমাদের সমাজে যে মেয়েরা আছে। 

আমাদের দেশে হেলফিট ট্যাবলেট অনেকেই রুচি বর্ধক এবং মোটা হওয়ার জন্য ছোট বড় প্রায় সকল বয়সের মানুষই খেয়ে থাকে তবে মেইন কথা হচ্ছে সত্যিই কি এই হেলফিট খেয়ে মোটা হওয়া যায়? উত্তর হচ্ছে এই জাতীয় ওষুধ কখনোই আপনারা সেবন করবেন না একজন রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া। কেননা এজাতীয় ওষুধে প্রচুর পরিমাণে প্রচুর পরিমাণ স্টেরয়েড থাকে। 

আর স্টেরয়েড আপনার জীবন নাসের কারণ হতে পারে এই ওষুধটা সেবন করলে অনেক ক্ষেত্রে শরীর বা হাত পা ফুলে যেতে পারে এবং পেটে অসহ্য ব্যথা হতে পারে, এলার্জি পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে তাই আমি বলব এই মোটা হওয়ার জন্য আপনারা এই জাতীয় ওষুধগুলো হেলফিট বা আরো যে ওষুধগুলো বাজারে পাওয়া যায় এগুলো কখনো সেবন করবেন না। আশা করি হেলফিট ট্যাবলেট খেলে কি ক্ষতি হয় তা সঠিক তা জানতে পেরেছেন।

হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা সাধারণত হেলফিট ট্যাবলেটটি ক্ষুধা বর্ধক ও দুর্বলতার ওষুধ হিসেবে চিনে থাকতে পারি। এই সফল ওষুধ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক নামে কিছু অখ্যাত কোম্পানি বানিয়ে থাকে যা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন এলোপ্যাথি দোকানে কিংবা হোমিও ডাক্তাররা এসব দিয়ে থাকেন রোগীদেরকে। এই হেলফিট ট্যাবলেট খেলে মোটা হয় কথাটি একজন থেকে আরেকজন শুনে শুনে মানুষ মারাত্মকভাবে এই ওষুধটি খাচ্ছে ফলে এই ঔষধের সাইডএফেক্ট এর শিকার হচ্ছে।

হেলফিট ট্যাবলেট খাওয়ার প্রথম দিন থেকেই প্রচুর ক্ষুধা বাড়ে, রোগীর স্বাস্থ্য ভালো হতে থাকে, মুখ খুলে যায় পেট ফুলে যায় রোগী মনে করে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে আস্তে আস্তে আবার পরবর্তীতে দেখা যায় যে স্বাস্থ্য কমতে থাকে ও খারাপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয় শরীরে পানি জমে যায়, মুখে ব্রণ উঠে যায়, ফুসফুসে পানি জমে, কিডনির নেফ্রন কাজ করে না ফলাফল সর্বশেষ হচ্ছে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

তাছাড়া আর একটা ব্যাপার হচ্ছে এগুলা কোন বড় ডাক্তার কিংবা কোন রেজিস্টার ডাক্তার এই প্রোডাক্টগুলো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে না কিংবা প্রেসক্রিপশন করে থাকে না সাধারণত এগুলো লোকাল যে ডাক্তারেরা রয়েছে অতিরিক্ত মনোভাবের বিক্রি করে থাকে। তাহলে আশা করি আপনি হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিকটা জানতে পেরেছেন।

হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা

অনেকে এই হেলফিট ট্যাবলেট খেয়ে থাকতে পারেন কিংবা চিনে থাকতে পারেন কিংবা অনেকের স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য দুর্বলতার ক্ষেত্রে অনেকে হয়তো বা মোটা হওয়ার জন্য হেলফিট ট্যাবলেট খেয়ে থাকতে পারেন আবার অনেকেই আছেন যারা হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা কি কি তা জানেন না তাই এই অংশে হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা গুলো সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।

পেট ফাঁপা, খাবারের প্রতি রুচির অভাব, রক্তস্বল্পতা, স্বাস্থ্য এবং ওজন বাড়াতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। হেলফিট ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা বুদ্ধি পাই যার কারণে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়। 

এছাড়াও যারা স্বাস্থ্য হীনতায় ভুগছেন এবং খাওয়ার প্রতি রুচি নাই দিন দিন ওজন কমে যাচ্ছে তারা একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হেলফিট ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। এই হেলফিট ট্যাবলেটটিতে  বেশ কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। প্রত্যেকটা ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এ রয়েছে

  • হেলতিত (হিং) – ১২৫ মিলিগ্রাম
  • শুঠ – ১২৫ মিলিগ্রাম
  • সোহাগার খই – ১২৫ মিলিগ্রাম
  • সৈন্ধব লবণ ১২৫ মিলিগ্রাম

এছাড়াও অন্যান্য উপাদান ফর্মুলা রয়েছে। এইসব প্রাকৃতিক উপাদানের কথা উল্লেখ থাকলেও অনেকের মতে হেলফিট ট্যাবলেট এ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে যেগুলি কোম্পানি উল্লেখ করেনি। আশা করি হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা গুলো কি কি সেগুলো জানতে পেরেছেন।

হেলফিট ট্যাবলেট এর অপকারিতা

প্রতিটা জিনিসেরই যেমন খারাপ দিক রয়েছে তেমনি হেলফিট ট্যাবলেট এর অপকারিতা রয়েছে তাই যারা হেলফিট ট্যাবলেট সেবন করার কথা ভাবছেন বা যারা দীর্ঘদিন যাবত হেলফিট ট্যাবলেট সেবন করছেন তাদের হেলফিট ট্যাবলেট এর অপকারিতা সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

চলুন তাহলে হেলফিট ট্যাবলেট এর অপকারিতা কি কি সেগুলি সম্পর্কে আপনাদের জানাই। যদি আপনি দীর্ঘদিন যাবত এই ট্যাবলেটটি গ্রহণ করেন তাহলে শরীর ফুলে যাবে এবং শরীর অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যাবে। এই হেলফিট ট্যাবলেটটি এক ধরনের স্টেরয়েড মিশ্রিত তাই দীর্ঘদিন যাবত খাওয়ার ফলে কিডনি, লিভার এবং ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

এছাড়াও হেলফিট ট্যাবলেট বেশি দিন সেবন করার ফলে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। আবার অনেকের মতে জানা গেছে এই ওষুধটিখাওয়ার ফলে শরীরে ক্ষুধা বাড়বে কিন্তু এই ওষুধটি যখন আবার খাওয়া বাদ দিয়ে দিবেন তখনশরীর আবার আগের মতন হয়ে যাবে তাই এই ওষুধটি একজন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা কখনোই উচিত না। 

হেলফিট ট্যাবলেট সেবনে একটি সর্তকতা সেটা হচ্ছে এই হেলপ ট্যাবলেটটি গর্ভাবস্থায় কোনোভাবেই সেবন করা যাবেনা। আপনি যদি এই ট্যাবলেটটি গর্ভাবস্থায় সেবন করেন তাহলে আপনি এবং আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়বে তাই গর্ভাবস্থায় এই সকল ওষুধ এড়িয়ে চলুন। 

আশা করি হেলফিট ট্যাবলেট এর অপকারিতা গুলো জানতে পেরেছেন তাই আপনার আশেপাশে আত্মীয়-স্বজন যদি হেলফিট ট্যাবলেট এর অপকারিতা সম্পর্কে না জানে তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া আপনার কর্তব্য।

হেলফিট ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

তো বন্ধুরা এই অংশে আমরা হেলফিট ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম  আপনাদের জানাবো এই হেলফিট ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম একেবারেই সহজ সকালে একটি ট্যাবলেট ও রাত্রে একটি ট্যাবলেট সকালের রাত্রে দুই বেলা খেতে হয় খাওয়ার পর।

আরো পড়ুনঃ Largo Cream এর কাজ কি? ব্যবহারের নিয়ম

আমি আবারো বলে দিচ্ছি ট্যাবলেটটি যারা খাবেন তারা সকালে ও রাতে একটি করে দুই বেলা খাবেন খাওয়ার পর এভাবে ১৫ দিন খাবেন। ১৫ দিন খাওয়ার পর ট্যাবলেটটি আপনারা এক বেলা করে প্রতিদিন সকাল করে এক মাস খেয়ে যাবেন এর বেশি ওষুধটি খাওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনারা এই হেলফিট ট্যাবলেট খাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ভিটামিন ক্যালসিয়াম ও সেবন করতে পারেন।

হেলফিট ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাংলা

এই হেলফিট ট্যাবলেটটি খেলে আপনার খাবারের প্রতি রুচি বেড়ে যাবে এবং ১৫ দিনে আপনার স্বাস্থ্য এবং ওজন বেড়ে যাবে তবে এই ওষুধটি খাওয়ার ফলে আপনার স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হবে কারণ এই ওষুধটিতে রয়েছে স্টেরয়েড মিশ্রিত যা আপনার শরীরের কিডনি, লিভার সহ ত্বকের সমস্যা হবে এছাড়াও আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। চলুন তাহলে হেলফিট ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

  • এই হেলফিট ট্যাবলেট খাওয়ার পর আপনার মুখে প্রচুর পরিমাণে ব্রণ উঠবে এবং সেই ব্রণ আর কোনদিন ভালো হবে না। কোন ডাক্তার কিংবা ওষুধ দিয়ে ভালো হবে না।
  • সব সময় পেট ব্যথা করবে মনে হবে যে পেটের মধ্যে কি যেন একটা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাটা দেখা দিবে।
  • হেলফিট খাওয়ার আগে যতটুকু আপনি খাবার খেতেন হেলফিট খাওয়া ছেড়ে দিলে সেই রুচিটাও চলে যাবে অর্থাৎ হেলফিট খাওয়ার আগে যতটুকু আপনি খেতেন সেই ততটুকু ভাত খেতে পারবেন না এক কথায় আপনি হেলফিট না খেলে কোন কিছুই খেতে পারবেন না এই ওষুধের উপর আসক্ত হয়ে পড়বেন।
  • চোখে আপনি ঝাপসা দেখবেন। বয়স হওয়ার আগেই দেখবেন যে চোখে-মুখে একটা ঝাপসা ভাব দেখতে পাবেন এবং একটা সময় পর আপনার চশমা নেওয়া লাগবে।
  • দীর্ঘদিন যাবত হেলফিট ট্যাবলেট সেবন করলে আপনার কিডনি আস্তে আস্তে নষ্ট হতে থাকবে। 
  • হার্টের সমস্যা দেখা দিবে এবং আপনার ব্লাড প্রেসার আস্তে আস্তে বেড়ে যাবে পরবর্তীতে আপনি প্রেসারের রোগী হয়ে যাবেন তখন আপনাকে প্রতিনিয়ত প্রেসারের ওষুধ খাওয়া লাগবে।
  • আপনার ডায়াবেটিস হয়ে যাবে কন্টিনিউ আপনার ডায়াবেটিস রোগী হয়ে যাবেন এবং আপনি ডায়াবেটিসের ওষুধও নিয়মিত খেতে হবে এত এত মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এই হেলফিট ট্যাবলেটের।

হেলফিট খেলে কি মোটা হয়

যাদের রোগা পাতরা শরীর, খাবার খাওয়ার প্রতি রুচি থাকে না তারা যদি এই হেলফিট ট্যাবলেট খান তাহলে আপনার খাবারের রুচি দ্বিগুণ বেড়ে যাবে এবং আপনি যদি এটি ১৫ দিন খান তাহলে মোটা হয়ে যেতে পারেন তবে এটি একজন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই খাওয়া উচিত নয় কারণ এটি স্টেরয়েড মিশ্রিত ঔষধ যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কারণ তাই এই ওষুধটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

হেলফিট ট্যাবলেট এর দাম কত

এই হেলফিট ট্যাবলেটটি আপনি যে কোন ফার্মেসিতে কিনতে পেয়ে যাবেন। হেলফিট ট্যাবলেট এর দাম ৩৬০ টাকা তবে ফার্মেসিতে এর মূল্য কম বেশি হতে পারে। এই ওষুধটির ভিতর মোট ৩০ টি ট্যাবলেট রয়েছে এবং এই ওষুধটি কেনার সময় অবশ্যই মেয়াদ দেখে নিবেন।

হেলফিট ট্যাবলেট সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা ও প্রশ্নের উত্তর (FAQ)

প্রশ্নঃ হেলফিট খেলে কি ক্ষতি হয়?

উত্তরঃ হেলফিট ট্যাবলেট যদি আপনি কোন রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী না খান অথবা দীর্ঘদিন যাবত হেলফিট খান তাহলে আপনার কিডনি, ফুসফুস সহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রশ্নঃ হেলফিট খেলে কি মোটা হয়?

উত্তরঃ হেলফিট খেলে সাময়িক সময়ের জন্য মোটা হবেন তবে হেলপ হেলফিট খাওয়া ছেড়ে দিলে আবার আপনি আগের পর্যায়েই ফিরে যাবেন এবং আপনার শরীরের অনেক ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।

প্রশ্নঃ হেলফিট price in bangladesh?

উত্তরঃ এই ওষুধটি আপনারা বিভিন্ন ফার্মেসিতে কিংবা হোমিও ফার্মেসিতে কিনতে পেয়ে যাবেন। হেলফিট প্যাকেটে ৩০ টি ট্যাবলেট এবং এর মূল্য হচ্ছে ৩৬০ টাকা এছাড়া অনলাইন থেকে কিনলে আরো কম দামে পাবেন।

হেলফিট ট্যাবলেট খেলে কি ক্ষতি হয় সম্পর্কে শেষ কথা 

কিছু সতর্কতা রয়েছে যেমন এই ওষুধটি খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং গর্ভাবস্থায় এই ওষুধটি কখনোই সেবন করবেন না না তো আপনি সহ আপনার শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে হেলফিট ট্যাবলেট খেলে কি ক্ষতি হয় এবং হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছি।

আশা করি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়েছেন এবং সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি মোটা হওয়ার জন্য হেলফিট ট্যাবলেট খাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে আমি বলব বাদ দিন কারণ এটি আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে। আর এটি মোটেও মোটা করার ওষুধ নয় বলে আমি মনে করি আপনি প্রাকৃতিকভাবে মোটা হন আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং স্থায়ীভাবে মোটা হতে পারবেন।

এই হেলফিট ট্যাবলেট খেয়ে আপনি যদি মোটা হন তাহলে সাময়িক সময়ের জন্য মোটা হবেন আর এটি আপনার শরীরে অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। আপনার যদি হেলফিট ট্যাবলেট সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।

Leave a Comment