ইন্টারনেট আসক্তির কুফল কি কি ও মুক্তির উপায় জেনে নিন

বর্তমানে এখন খুব কম মানুষ আছে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। প্রতিটি কাজে এখন ইন্টারনেট লাগছে তাছাড়া কোন কাজই হচ্ছে না তাই বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়া চলা খুবই কঠিন তবে অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা তাই আজকের এই আর্টিকেলে ইন্টারনেট আসক্তির কুফল কি কি এবং ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।

আপনি যদি অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অর্থাৎ ইন্টারনেটে আসক্তি হয়ে থাকেন তাহলে ইন্টারনেট আসক্তির কুফল সম্পর্কে জানা উচিত। আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ইন্টারনেট আসক্তির কুফল কি কি ও ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন এর পাশাপাশি শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

ভূমিকা

ইন্টারনেটে আসক্তি একটি মারাত্মক সমস্যা। যখন কেউ ইন্টারনেটে আসক্তি হয়ে পড়ে তখন সে পরিবারের কাছ থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে যাই শুধু তাই নয় পড়ালেখা সহ কোন কাজে ঠিকমতো মন বসে না। আপনি যদি এই ইন্টারনেটে আসক্তি সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই আর্টিকেলে ইন্টারনেট আসক্তির কুফল কি কি? ইন্টারনেট আসক্তির কারণ এবং ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই ইন্টারনেট আসক্তি সংক্রান্ত অজানা তথ্য জানতে হলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

ইন্টারনেট আসক্তি কি

মাত্রার চাইতে অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করাই হচ্ছে ইন্টারনেট আসক্তি। করোনা ভাইরাস আসার পর ২০২০ সালে একটি গবেষণায় জানা যায় করনার আগের চাইতে বর্তমানে ইন্টারনেট আসক্তি বেড়ে গেছে প্রায় ৩ গুন শিশু ও কিশোরদের মাঝে। বর্তমানে এখন বাচ্চারা স্কুলে না গিয়ে বাড়িতে বসে থেকে অনলাইনে ক্লাস করছে এবং বন্ধুদের সাথে মিশতে পারছে না ইন্টারনেটে আসক্তি হয়ে আছে।

আরো পড়ুনঃ নেটের জন্য কোন মোবাইল ভালো

তবে এই ইন্টারনেটের ভালো দিক রয়েছে যেমন এখন করা বাচ্চারা নতুন কিছু শিখতে পারছে ফেসবুক এবং ইউটিউব দেখে যা আগে বাচ্চারা পারত না। তবে এই ইন্টারনেটের যেটা মেইন সমস্যা সেটা হচ্ছে অতিরিক্ত ব্যবহার। 

তবে ইন্টারনেট ব্যবহার করলেই যে ইন্টারনেটে আসক্তি হয়ে যাবে এমনটা না এর কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি অথবা আপনার বাচ্চা ইন্টারনেটে আসক্তি হয়েছে কিনা। চলুন তাহলে সেই লক্ষণ গুলো জেনে নেওয়া যাক।

  • দিনের অধিকাংশ সময় যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় অর্থাৎ দিনে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করা।
  • যত দিন যাচ্ছে তত ইন্টারনেটের ব্যবহারটা ধীরে ধীরে আরো বাড়ছে। যেকোনো আসক্তি যেটা সত্য যেমনঃ প্রথমে হয়তো একটি সিগারেট তারপর দুইটা তিনটা চারটা ঠিক তেমনি ইন্টারনেটে আসক্তি হলে আস্তে আস্তে ব্যবহারটা বাড়াতে লাগে।
  • কেউ অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করা বন্ধ করতে চাচ্ছে কিন্তু সে বন্ধ করতে পারছে না এটাও একটি ইন্টারনেট আসক্তির লক্ষণ।
  • কেউ অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করা বন্ধ করার চেষ্টা করছে তখন তার প্রচুর হতাশা লাগছে এবং অস্থিরতা কাজ করছে অর্থাৎ ড্রাগ নিলে যেমনটা হয় ঠিক তেমনটা বোধ করছে।
  • কেউ যখন ইন্টারনেটে আসক্তি হয়ে পড়বে তখন তার মেজাজ সব সময় খিটমিটে থাকবে এবং বন্ধু ও পরিবারের সাথে মেলামেশা কম করবে।
  • যখন কোন বাচ্চা অতিরিক্ত ইন্টারনেটে আসক্তি হয়ে পড়ে তখন সেই বাচ্চা বাবা-মায়ের বকা খাওয়া থেকে বাঁচতে মিথ্যা কথা পর্যন্ত বলে এমনকি বিভিন্ন খারাপ কাজ করতে তার বাধে না।

ওপরের এই উল্লেখিত লক্ষণ গুলি যদি আপনার অথবা কোন বাচ্চার ভিতরে দেখা যায় তাহলে বুঝবেন সে ইন্টারনেটে আসক্তি হয়ে পড়েছে। আশা করি ইন্টারনেটের আসক্তি সে সম্পর্কে ধারনা পেরেছেন।

ইন্টারনেট আসক্তির কারণ

বর্তমানে যুগে ইন্টারনেট ছাড়া কল্পনায় করা খুবই কঠিন। আগে শুধু কম্পিউটারে ইন্টারনেট থাকায় এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল অল্প কিন্তু বর্তমানে মোবাইল ফোন ইন্টারনেট সুবিধা চালু হওয়ায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে অনেক গুন। 

বিআরটিএ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৬ কোটিরও বেশি। এখন কথা হচ্ছে ইন্টারনেট আসক্তি সংখ্যা কেন এত বাড়ছে এবং ইন্টারনেট আসক্তির কারণ কি তা নিচে দেওয়া হলঃ

  • গেমে আসক্তিঃ মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটারে বিভিন্ন রকম ইন্টারনেট সংযোগ গেম থাকে যা একজনের সাথে আরেকজন অনায়াসে খেলতে পারে যেমনঃ পাবজি, ফ্রী ফায়ার ইত্যাদি। এই গেম গুলো খেলতে খেলতে এক সময় আসক্তি হয়ে পড়ে।
  • তথ্য সংগ্রহঃ ইন্টারনেট এমন একটি জায়গা যেখানে সব ধরনের তথ্য পাওয়া যায় ফলে সব বয়সের এবং সব পেশার মানুষ ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ গিয়ে নতুন নতুন তথ্য জানতে থাকে ফলে তথ্য জানতে জানতে এমন একটি নেশাই পরিণত হয়ে যায় যে বেশিরভাগ সময়ই তথ্য সংগ্রহ করতে ওয়েব পেজে কাটিয়ে দেয়।
  • কম্পিউটারে আসক্তিঃ অনেক কিশোর কিশোরী আছে যারা কম্পিউটারের গেম খেলে অথবা কম্পিউটারে ফটো এডিট করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে দিনের অর্ধেকটা সময় কম্পিউটারে ফটো এডিট অথবা গেম খেলেই কাটিয়ে দেয়।
  • বিনোদনে আসক্তিঃ আমাদের মধ্যে অনেক ছাত্র-ছাত্রী এবং প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ আছেন যারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিনোদন দেখতে দেখতে এমনভাবে মগ্ন হয়ে পড়ে ফলে একসময় সারাদিনের অর্ধেক সময়টাই বিনোদন দেখে কাটিয়ে দেয় যেমনঃ মিমি, ভিডিও ক্লিপ, লাইভ খেলাধুলা, নাটক, মুভি, ইত্যাদি।
  • বাইরে খেলাধুলা না করাঃ বর্তমান সময়ে এখন বাবা-মায়েরা বাচ্চাদেরকে বাইরে কোথাও খেলতে পাঠাচ্ছে না বাচ্চা হারিয়ে যাবে বলে এবং বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন ধরিয়ে দিচ্ছে ফলে বাচ্চা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ফিউচার উপভোগ করছে ফলে এটাও একটি ইন্টারনেট আসক্তির মূল কারণ।
  • বাচ্চাকে সময় না দেওয়াঃ বর্তমান সময়ে এখন বাবা-মা দুজনেই চাকরি করছে যার ফলে বাচ্চা বাসায় একাই থাকছে বাচ্চাকে সময় দেওয়ার মতন কেউ নেই যার কারণে বাচ্চা মোবাইল অথবা কম্পিউটারে বিভিন্ন জিনিস উপভোগ করছে যেমন গেম খেলা, মুভি দেখা ইত্যাদি আর এটাও একটি বড় কারণ ইন্টারনেটে আসক্তি হওয়ার।
  • প্রচার বা সেলিব্রেটিঃ বর্তমানে ইন্টারনেটে যুগে নিজেকে প্রচার করা খুবই সহজ যেমনঃ ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদির মাধ্যমে। এইসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিজেকে প্রচার করা অর্থাৎ সেলিব্রেটি করার জন্য দিনের পর দিন সময় পার করে দিচ্ছে এইসব চালিয়ে।
  • বন্ধু-বান্ধবঃ ইন্টারনেটের কারণে দূর দূরান্ত দেশ-বিদেশে তৈরি হচ্ছে প্রেম, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব যার ফলে সারাদিন বন্ধুর সাথে চ্যাটিং করা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেওয়া এসবের কারণে বাড়ছে ইন্টারনেটের আসক্তি।

ইন্টারনেট আসক্তির কুফল কি কি

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা ইন্টারনেট আসক্তিতে ডুবে আছে এবং এই ইন্টারনেট আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না কারণ বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ছাড়া চলা খুবই কঠিন। এই ইন্টারনেটের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে তাই আপনারা যারা ইন্টারনেট আসক্তিতে ভুগছেন তাদের ইন্টারনেট আসক্তির কুফল সম্পর্কে জানা উচিত।

নিচে ইন্টারনেট আসক্তির কুফল গুলি উল্লেখ করা হলোঃ

  • পড়ালেখা এবং ক্যারিয়ারের উপর আগ্রহ হারিয়ে যাওয়া।
  • কোন কাজে মন না বসা এবং ঠিকমতো কোন কাজ না করা।
  • রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়া।
  • চোখে কম দেখা এবং শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়া।
  • টাকার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়া এমনকি টাকা চুরি করা।
  • পুরনো শখের প্রতি আগ্রহ না থাকা।
  • কানে কম শোনা এবং স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া।
  • বাসায় কোন মেহমান এনে বিরক্তিবোধ হওয়া।
  • আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়া।
  • ইন্টারনেটে আসক্তি ব্যক্তিকে কোন কাজ করতে বললে ক্ষেপে যাওয়া।
  • কারণ অকারনে মিথ্যা কথা বলা।
  • দীর্ঘক্ষণ যাবৎ কম্পিউটার,মোবাইল চালানোর ফলে হারের গঠনের সমস্যা দেখা দেওয়া।
  • অনেকক্ষণ যাবৎ মাথা নিচু করে মোবাইলে ইন্টারনেট চালানোর ফলে ঘাড় ব্যথা করা।
  • মূল্যবান সময় গুলো নষ্ট করা।

কোন মানুষ যখন ইন্টারনেটে আসক্তি হয়ে পড়ে তখন উপরের উল্লেখিত কুফল গুলি সেই মানুষটার মধ্যে দেখা যায় তাই আপনি যদি ইন্টারনেটে আসক্তি হয়ে থাকেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব এটা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন নিচে ইন্টারনেটে আসক্তি থেকে মুক্তির কয়টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়

ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব এইগুলোকে চাইলে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে বের করে দিতে পারব? পারবো না। দিন দিন এই ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বেড়ে চলেছে তত ক্ষতিকর দিকগুলি উপলব্ধি করতে শুরু করেছি। 

আরো পড়ুনঃ Spy Cam Telegram Hidden Information

আজকে আমি আপনাদের ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির কয়টি উপায় সম্পর্কে জানাবো যেগুলি মেনে চললে এই ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন তাহলে ইন্টারনেট আসল থেকে মুক্তির উপায় গুলো কি কি সেগুলো জেনে নেওয়া যাক। 

১। রুটিন তৈরি করুনঃ ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে প্রথমেই একটি রুটিন তৈরি করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনি কতক্ষণ পড়াশোনা করবেন, কতক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করবেন, কতক্ষণ বাইরে থাকবেন এরকম ভাবে একটি নির্দিষ্ট টাইমে রুটিন তৈরি করুন এবং সেই রুটিন অনুযায়ী চলুন দেখবেন তাহলে আস্তে আস্তে ইন্টারনেট আর শক্তি থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেছেন।

২। ঘুমানোর আগে সকল ডিভাইস অফ রাখুনঃ ঘুমাতে যাওয়ার সময় কখনই আপনি মোবাইল অথবা ট্যাব নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না এমনকি মোবাইল ফোন নিয়ে খেতেও বসবেন না।

৩। বাইরে খেলাধুলা করাঃ চেষ্টা করবেন সারা দিনে কমপক্ষে এক ঘন্টা বাইরে খেলাধুলা করা এতে করে আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় পাবেন না ফলে আস্তে আস্তে আপনি ইন্টারনেট আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। 

৪।পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানঃ একটি নির্দিষ্ট টাইমে চেষ্টা করবেন পরিবার অথবা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর এতে করে আপনার মন অনেক ভালো থাকবে এবং অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বিরতও থাকবেন।

৫।ইন্টারনেটের বাইরে কাজ বেছে নেওয়াঃ আপনার প্রতিদিনের এমন কাজকে বেছে নিন যে কাজে কোন ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না।

৬। বই পড়ুনঃ অবসর টাইমে যখন একাই বসে থাকবেন তখন চেষ্টা করবেন বই পড়ার হতে পারে সেটা কমেডি অথবা গল্প। এই বই পড়ার পাশাপাশি আপনার অনেক কিছু জানা হবে এবং অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে দূরেও থাকবেন।

৭।একাউন্ট বন্ধ রাখুনঃ আমরা ইন্টারনেটে অযথা যে সময় গুলো নষ্ট করি তার মধ্যে একটি হল সোশ্যাল মিডিয়া। তাই চেষ্টা করুন সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে রাখা শুধুমাত্র প্রয়োজন পড়লে অন করা।

৮। আসক্তি অ্যাপস গুলো ডিলিট করুনঃ আপনি যেই অ্যাপসগুলোতে আসক্তি হয়েছেন সেই অ্যাপসগুলো মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে আনইন্সটল করে দিন আর এটাও একটি বড় মাধ্যম ইন্টারনেট থেকে মুক্তি পাওয়ার।

৯। প্রয়োজন ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার না করাঃ আপনি চেষ্টা করুন প্রয়োজন ছাড়া ইন্টারনেটে না ঢোকার। আপনার যখন ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে তখন ইন্টারনেট ব্যবহার করুন তাছাড়া এমনিতেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন অথবা নির্দিষ্ট একটি সময় সেট করুন যে টাইমে অল্প একটু ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন।

১০। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুনঃ সব রকম উপায় কাজে লাগিয়েও আপনি যদি ইন্টারনেট আসক্তি থেকে বেরিয়ে না আসতে পারেন তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা

শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারে অনেক উপকারিতা থাকলেও এর অপকারিতা রয়েছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসে পর থেকেই শুরু হয়ে গেছে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া পদ্ধতি আর এই অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার এখনো চলমান যার কারণেই অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিন স্কুলে উপস্থিত হচ্ছেনা এবং পড়াশোনার প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করার বাহানায় বাবা-মায়ের কাছ থেকে ফোন নিয়ে গেমস অথবা ইউটিউবে অযথা ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করছে ফলে পরবর্তীতে পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ করছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা বেশিক্ষণ অনলাইনে ক্লাস করার ফলে চোখের সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

আমাদের শেষ কথা

আপনি যদি ইন্টারনেটে আসক্তি হয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত এই মারাত্মক আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসুন।চেষ্টা করুন প্রয়োজন ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার না করা। প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে ইন্টারনেট আসক্তির কুফল কি কি এবং ইন্টারনেট আসক্তির কারণ ও মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন। 

এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন আর আপনার যদি কোন মতামত অথবা প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন। আর বিভিন্ন রকম তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে প্রতিনিয়ত চোখ রাখতে পারেন ধন্যবাদ।

Leave a Comment