কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে বিস্তারিত

অনেকেরই হাত-পা জ্বালা পোড়া করে এবং তারা মনে করে এটি একটি রোগ মাত্র কিন্তু শরীরে ভিটামিনের অভাবেও হাত পা জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই আপনি যদি জেনে না থাকেন কোন ভিটামিনের অভাব হলে হাত-পা জ্বালাপোড়া করে তাহলে এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার জন্য কেননা এই পোস্টে কোন ভিটামিনের অভাব হলে হাত-পা জ্বালাপোড়া করে সে সম্পর্কে আলোচনা করব।

হাত পা জ্বালা পোড়া করা এটি সাধারণত ভিটামিনের অভাবে হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা এই রোগটি কোন ভিটামিনের অভাবে হয়ে থাকে এবং হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে এবং হাত পা জ্বালা পোড়ার কারন ও মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ভূমিকা

হাত-পা জ্বালাপোড়া করা এটি একটি কমন সমস্যা। অনেক মানুষই আছেন যারা হাত-পা জ্বালা পোড়ায় ভুগছেন বিশেষ করে রাতের বেলা যখন বিছানায় শুতে যাওয়া হয় তখন এই রোগের উৎপত্তি বেশি হয় অর্থাৎ রাতে ঘুমানোর সময় বিছানায় হাত-পা বেশি জ্বালাপোড়া করে এর কারণে ঠিকমতো ঘুম হয় না। এই সমস্যাটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভিটামিনের অভাবে হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ চাপা ভাঙ্গা ঠিক করার ট্যাবলেট ও ভিটামিন কি

অনেক মানুষই হয়তো জানে না এই রোগটি কোন ভিটামিনের অভাবে হয়ে থাকে তাই আজকের এই আর্টিকেলে কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে এবং হাত পা জ্বালাপোড়া করে কেন করে ও মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তো হাত পা জ্বালাপোড়ার কারণ, মুক্তির উপায় খুঁটিনাটি বিষয়ে জানতে হলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

হাত পা জ্বালাপোড়া করে কেন

অনেক মানুষই আছেন যাদের হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া করে, ঝিমঝিম করে, সুচের মত ফোটাচ্ছে অনুভূতি হওয়া এবং পা গরম হয়ে যাওয়া এই সকল সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যাটিকে চিকিৎসার ভাষায় বার্নিং ফিড সিনড্রোম বা পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বলা হয়ে থাকে। নিউরোপ্যাথি শব্দটির অর্থ হলো নার্ভের কান্না। 

বিভিন্ন কারণে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নার্ভগুলো যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া করা, ঝিমঝিম ও ব্যথা করা এবং পা গরম হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে বিছানায় ঘুমাতে গেলে এই অসহ্য যন্ত্রণা বেশি অনুভব হয় এমনকি রাতে ঘুমানোর সময় অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হলে ঘুম ভেঙ্গে যায়।

হাত পা জ্বালা পোড়ার কারন

হাত পা জ্বালাপোড়া করা এটি একটি খুবই কমন রোগ যা বেশিরভাগ মানুষই এই রোগে ভুগে থাকেন। এটি একটি খুবই অস্বস্তিকর রোগ। হাত-পা জ্বালা করার কারণে অনেক মানুষই আছেন যারা ঠিকমতো রাতে ঘুমাতে পারেন না এমনকি মাথা গরম হয়ে যায়, হাত ও পায়ে কাটা ঢুকে থাকার মতন অনুভূতি হয় ইত্যাদি। এইসব উপসর্গগুলি আপনার শরীরে দেখা যায় তাহলে এর পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে যা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • অনিয়ন্ত্রিত অথবা দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিস।
  • ক্রনিক কিডনি ডিসিএসেস।
  • থাইরয়েড হরমোন জনিত বিভিন্ন রকমের সমস্যা।
  • শরীরে ভিটামিনের বি এর অভাব হলে।
  • ধূমপান বা অ্যালকোহল পান করা।
  • রক্তনালীতে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে।
  • বংশানুক্রমিক স্নায়ু পদ্ধতি জন্য হতে পারে।
  • খাবারের ভেজালের কারণে হতে পারে।
  • মানসিক চাপ ও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা।
  • কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিকার কারণে হতে পারে।
  • হার্ট অথবা লিভারের সমস্যা থাকলে।
  • মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি হওয়ার কারণে হাতে পারে।

কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে

অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালাপোড়া করে। বিভিন্ন কারণে হাত-পা জ্বালাপোড়া করতে পারে তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে ভিটামিনের অভাব। 

আমাদের শরীরে যখন ভিটামিন বি এর ঘাটতি দেখা যায় তখন হাত-পা জ্বালাপোড়া করে। কোন কোন ভিটামিনের অভাবে হাত-পা জ্বালাপোড়া করে বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • ভিটামিন বিঃ শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখতে ভিটামিন বি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের যদি ভিটামিন বি এর ঘাটতি দেখা যায় তাহলে রক্তস্বল্পতা, স্মৃতিশক্তি সমস্যা, দুর্বলতা, সারা শরীর জ্বালাপোড়া করা এমনকি অস্টিওম্যালাসিয়া রোগ হতে পারে।
  • ভিটামিন বি ১ঃ ভিটামিন বি-১ থিয়ামিন নামে পরিচিত। এটি এমন একটা প্রয়োজনীয় ভিটামিন যা আমাদের শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় রাখে। শরীরে ভিটামিন বি-১ ঘাটতি দেখা দিলে হাত পা জ্বালাপোড়া করে শুধু তাই নয় বরং পা ফোলা, বুক ধরফর করা, হাত-পা ঝিমঝিম করা ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হয়।
  • ভিটামিন বি ৬ঃ ভিটামিন বি ৬ নিয়াসিন নামে পরিচিত। শরীরে এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে পেলেগ্রা নামক এক ধরনের রোগ হতে পারে আর এই রোগ থেকে হাত পা জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে বেশি বেশি করে শাকসবজি, পেঁপে, লেবু এবং অন্যান্য সাইট্রাস জাতীয় ফল খেতে পারেন এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৬ থাকে।
  • ভিটামিন বি ১২ঃ হাত পা জ্বালাপোড়া করার মূল কারণ হচ্ছে ভিটামিন বি ১২। শরীরে এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে যে শুধু হাত-পা জ্বালাপোড়া করবে তাই নয় বরং ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, দুশ্চিন্তা, স্নায়ুর ক্ষতি এবং রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই হাত পা জ্বালাপোড়া বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচতে ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ ফল খাওয়া উচিত। যেমনঃ আপেল, কলা, কমলা ইত্যাদি।

হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়

আপনি কি হাত-পা জ্বালা পোড়াই অশান্তি বোধ করছেন তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকের আর্টিকেলের মূল অংশ হচ্ছে হাত-পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। কিছু উপায় রয়েছে যেগুলি অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই হাত-পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন চলুন তাহলে হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

  • প্রতিদিন ব্যায়াম করুনঃ হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করা খুবই জরুরী কারণ ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং আমাদের শরীর থাকে সুস্থ তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সকাল সকাল ব্যায়াম করার এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
  • বেশি বেশি পানি খানঃ শরীরের যদি পানি শূন্যতা দেখা যায় তাহলেও হাত পা জ্বালাপোড়া করে তাই যারা পানি কম খান তাদের উচিত পানি বেশি বেশি করে খাওয়া এবং মিনারেল জাতীয় খাবার খাওয়া এতে করে আপনার শরীর এবং হাত-পায়ের জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে যাবে।
  • প্রতিদিন মরিচ খানঃ প্রতিদিন খাবারের সাথে মরিচ খাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ মরিচের মধ্যে ক্যাপসেইসিন নামক একটি উপাদান রয়েছে যেটা আমাদের নার্ভের জন্য অনেক উপকারী অর্থাৎ হাত ও পায়ে জ্বালাপোড়া কমাতে মরিচ অনেক সাহায্য করে।
  • টক জাতীয় ফল খানঃ প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও টক জাতীয় ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন যেমনঃ কাঁচা আম, তেতুল, লেবু, কামরাঙ্গা ইত্যাদি খেতে পারেন এতে হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।
  • আপেল সিডার ভিনেগারঃ হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে আপেল সিডার ভিনেগার খুবই উপকারী। আপনি যদি প্রতিদিন কুসুম গরম পানিতে এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে সেই মিশ্রণে হাত এবং পা ২০ মিনিট চুবিয়ে রাখেন তাহলে হাত পায়ের জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে আসবে।
  • আদার রস ও নারকেল তেলঃ এক চামচ আদার রসের সাথে গরম নারকেল তেল মিশিয়ে প্রতিদিন হাত ও পায়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে ম্যাসাজ করুন দেখবেন হাত-পা এর জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে যাবে।
  • হলুদের গুঁড়াঃ এটি এমন একটি মসলা যা ওষুধের মত কাজ করে। আর এই হলুদ ক্ষত নিরাময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম অস্বস্তি দূর করতে সহায়তা করে। নারকেল তেলের সাথে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে হাত ও পায়ে লাগিয়ে রাখলে অনেক উপকার। এতে করে আপনার ভাইয়ের ব্যাথা এবং জ্বালাপোড়া উভয়ই দূর হয়ে যাবে।
  • ঠান্ডা পানিঃ হাতের অথবা পায়ের তালু জ্বালাপোড়া কমাতে ঠান্ডা পানি খুবই উপকারী। একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে হাত ও পায়ে জড়িয়ে রাখুন এতে করে অনেক স্বস্তি পাবেন এবং জ্বালাপোড়া কমে যাবে। এটি রাতে ঘুমানোর আগে করলে বেশি উপকার পাবেন কারণ এই সমস্যাটি রাতেই বেশি সৃষ্টি হয়।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুনঃ হাত পা জ্বালাপোড়া করার মূল কারণ হচ্ছে ডায়াবেটিস। আপনার যদি অনিয়ন্ত্রিত এবং দীর্ঘ মেয়াদী ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তাহলে দেখবেন হাত পা জ্বালাপোড়া করা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।
  • দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমানঃ বিশেষ করেযারা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন তাদের হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। তাই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান বিশ্রাম নিন দেখবেন হাত পা জ্বালাপোড়া করাও কমে গেছে। দরকার পড়লে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা দূর করতে চিকিৎসা নিন।
  • রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করুনঃ চেষ্টা করুন প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার এতে করে রাতে হাত-পা জ্বালাপোড়া থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন। তবে খুব বেশি পানি দিয়ে গোসল করবেন না কারণ স্কিন ড্রাই হয়ে যেতে পারে তাই অল্প পানি দিয়ে গোসল করবেন এবং পানি যাতে গরম না হয় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।
  • খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করুনঃ হাত পায়ে জ্বালাপোড়া করার অন্যতম কারণ হচ্ছে ধূমপান এবং অ্যালকোহল। তাই আপনার যদি ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে তা দ্রুত ত্যাগ করুন। 

সারা শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের শরীর সারাক্ষণ জ্বালাপোড়া করে বিশেষ করে গরম কালে প্রচন্ড শরীর জ্বালাপোড়া করে ঠিকমতো ঘুমানো যায় না। এই শরীর জ্বালাপোড়া করার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে যেমনঃ শরীরে ভিটামিন বি এর অভাব হলে, থাইরয়েড এবং কিডনির সমস্যা থাকলে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মানসিক চাপ থাকলে এবং রক্ত চলাচলের সমস্যা হলে ইত্যাদি।

আপনি যদি শরীর জ্বালাপোড়া সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই এই অংশে আমরা আলোচনা করব সারা শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে যে উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনি শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো কি কি।

  • মিষ্টি ফলমূলঃ জার্নাল অফ নিউট্রেশন প্রকাশিত এক গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয় গ্রীষ্মকালীন ফলমূল খেলে শরীরের জ্বালাপোড়া ও অসহনীয় প্রদাহের মাত্র অনেকেই কমে যায় সুতরাং গ্রীষ্মকালে বেশি বেশি মিষ্টি ফলমূল খাবেন। যেমনঃ আম, কাঠাল, লিচু ইত্যাদি
  • বীজ শস্যঃ মসুর ডাল, ছোলা, মটরশুটি ও অন্যান্য ডাল প্রোটিন এবং আস যুক্ত খাবার হিসেবে পরিচিত।যুক্তরাষ্ট্রের পেন্সিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি এই গবেষণায় বলা হয় প্রতিদিন এক কাপ ডাল খেলে মানবদেহে প্রদাহের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমায়। 
  • আমঃ আমরা গ্রীষ্মকালে আম প্রায় সকলেই খেয়ে থাকি। এই আমে পুষ্টিকর উপাদানের পাশাপাশি রয়েছে অনেক স্বাদ। এই আম মানবদেহে প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া কমাতে শক্তিশালী উপাদান হিসেবে কাজ করে। আমে রয়েছে ২০টিরোও বেশি ভিটামিন সুতরাং আম জ্বালাপোড়াকমাতে সাহায্য করে।
  • আদাঃ আদা বিভিন্ন অসুখ নিরাময় সাহায্য করে থাকে। শত শত বছর ধরে আদার ব্যবহার চলে আসছে।আধুনিক গবেষণায় প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া দূর করতে আদা প্রয়োগ করা হচ্ছে প্রতিদিন।
  • হলুদঃ এই হলুদ একটি অপরিহার্য উপাদান বিভিন্ন সময় ব্যবহার হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে হাজার হাজার বছর ধরে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদে কার্কিউমিন নামে একটি উপাদান রয়েছে যা মানবদেহে বিভিন্ন প্রদাহ ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় হাত পা জ্বালাপোড়া কেন করে ও মুক্তির উপায়

গর্ভাবস্থায় সময় নারীরা নানা রকম সমস্যা মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে। অনেকেরই গর্ভাবস্থার সময় হাত-পা জ্বালাপোড়া করে থাকে যা গর্ভবতীকে অস্বস্তিতে ফেলে। অনেক সময় পায়ের পাতা মরিচের মত জলে এবং হাত-পা শরীর কামড়ায় যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই অস্বস্তিকর তাই এই অংশে গর্ভাবস্থায় হাত পা জ্বালাপোড়া কেন করে এবং মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।

অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন গর্ভাবস্থায় পায়ের পাতা জ্বালাপোড়া করে কেন? অনেক মা বোনদের গর্ভাবস্থায় সময় পায়ের পাতার মধ্যে মরিচের মতো জ্বলে এবং সুই ফোটানোর মতো লাগে এটি খুবই বিরক্তকর। গর্ভাবস্থায় সময় নানারকম হরমোনের কারণে পায়ে জ্বালাপোড়া করতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ Largo Cream এর কাজ কি? ব্যবহারের নিয়ম, দাম কত বিস্তারিত

অনেক সময় পায়ে রক্ত চলাচলের সমস্যা এবং তাই ছত্রাকে সংক্রমণ হলে জ্বালাপোড়া করতে পারে।গর্ভাবস্থায় পায়ে জ্বালাপোড়া শুরু হলে হঠাৎ খারাপের দিকে যেতে পারে তাই বেশি বেশি পানি পান করুন কারণ শরীরে পানির অভাব হলে এই সমস্যা হতে পারে। 

অনেক সময় ভিটামিনের অভাব হলে হাত পা জ্বালাপোড়া করতে পারে এবং যাদের পায়ে স্নায়ুতে সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা হতে পারে তাই প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খান। গর্ভাবস্থায় হাত ও পায়ের তালু বেশি জ্বালাপোড়া করলে হাত ও পায়ে ঠান্ডা পানি দিতে পারেন। প্রয়োজনে হাত ও পায়ে ভিজা কাপড় দিয়ে পেচিয়ে রাখতে পারেন এতে অনেক স্বস্তি পাবেন।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকালে কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে এবং হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে আশা করি আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন। হাত পা জ্বালাপোড়া দূর করতে হলে আপনাকে বেশি বেশি ভিটামিন বি এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এর সাথে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।

এরপরও যদি আপনার হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া ভালো না হয় তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন এবং নিত্যনতুন অজানা তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত চোখ রাখতে পারেন ধন্যবাদ।

Leave a Comment