অনেকে আছেন যারা কিনা মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে তা নিয়ে কনফিউজ এছাড়াও অনেকেই মিল্ক শেক খেয়ে থাকে কিন্তু মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানা নেই সেই জন্য আজকের এ আর্টিকেল পোস্টে মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে এবং মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা এছাড়াও মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা সকল খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে এই কথাটা অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে আর আপনি কি চিকন শরীর নিয়ে চিন্তিত তাহলে আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন কেননা মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা সবকিছুই আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করব। জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
মিল্ক শেক খেলে কি হয়
মিল্ক শেক খেলে দেহের বিভিন্ন রকম উপকার পাওয়া যায়। মিল্ক শেক খেলে কোন ক্ষতি হওয়ার চান্স নেই।এটাতে ৫৯ টি উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে যেমন খেজুর, কিসমিস, মিষ্টি কুমড়া, গাজর ইত্যাদি যেসব প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। যার ফলে আমাদের শরীরে ভিটামিন, মিনারেল এবং ক্যালসিয়ামঘাটতি পূরণ করে।
আরো পড়ুনঃ হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা
এবং ওজন বাড়াতে বেশ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি চিকন শরীর নিয়ে বেচ চিনতে হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বলব মিল্ক শেক খাওয়া উচিত তবে মিল্ক শেক কেনার আগে ভালোভাবেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেখান থেকে কিনবেন হোক সেটা ফেসবুক পেজ অথবা বিভিন্ন বাজার থেকে অরজিনাল নাকি ডুপ্লিকেট সেটা যাচাই করে নিবেন না তো কোন উপকার পাবেন না।
মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে
যারা চিকন শরীর নিয়ে বেশি চিন্তিত কোনভাবেই নিজের শরীরের ওজন বাড়াতে পারছেন না তাদের জন্য মিল্ক শেক খুবই উপকারী। অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে কথাটা কি সত্য আসেন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে।
কলার মিল্ক শেক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি এছাড়াও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস। বাদাম মিল্ক শেক আপনার ওজন বাড়াবে তা নির্ভর করে আপনার খাদ্য তালিকার ওপর আপনি কতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করছেন এবং শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রিক ওপরে।
আপনি যদি মিল্ক শেক গ্রহণ করেন তবে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং ক্যালোরি যা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। আরেকটা কথা মনে রাখবেন প্রয়োজন বারা বা কমা এটি সম্পূর্ণ ক্যালোরি ওপর নির্ভর করে। তবে এক কথায় বলতে গেলে বাদাম মিল্ক শেক লেবার দিয়ে আপনি খেতে পারেন ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে।
মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম
অনেকেই আমরা ওজন বাড়ানো বা স্বাস্থ্যের উপকারের জন্য মিল্ক শেক খেয়ে থাকি কিন্তু অনেকেই আছে যারা সঠিক নিয়মে মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম জানিনা তাই আর্টিক্যাল এর এ অংশে মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম আপনাদের জানবো।
এই মিল্ক শেকটি এক গ্লাস হালকা গরম কুসুম দুধের সাথে ১-২ চামচ মিস করে খেতে হবে। প্রতিদিন রাতের খাবারের ৩০ মিনিট আগে খেতে হবে ফলে দ্রুত ফলাফল পাবেন আশা করি মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম কিভাবে খেতে হবে বুঝতে পেরেছেন।
মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা
মিল্ক শেক আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি কিন্তু মিল্ক শেক এর উপকারিতা এবং মিল্ক শেক এর অপকারিতা সম্পর্কে তেমন একটা জানেনা তাই যারা মিল্ক শেক উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব চলুন তাহলে মিল্ক শেক এর উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।
- ক্যালসিয়াম যা হার্ট এবং দাঁত মজবুত করে।
- ভিটামিন ডি রয়েছে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- প্রোটিন আমাদের শরীরকে স্বাস্থ্যবান এবং পেশী গঠনে সহায়তা করে।
- মস্তিষ্ক ঠিকমতো বজায় রাখতে সহায়তা করে।
- হার্ট সুস্থ রাখে।
- ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
- কার্বোহাইডেট এর ঘাটতি দূর করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- পুষ্টি উপাদানের ভরপুর
উপরের উল্লেখিত উপকারীগুলো ছাড়াও মিল্ক শেক এর আরো অনেক গুণ রয়েছে। তাই আপনি যদি খুবই দুর্বল শরীর হয়ে থাকেন তাহলে মিল্ক শেক গ্রহণ করতে পারেন নিশ্চিন্তে তবে দোকান থেকে কেনার সময় অরজিনালটা বাছাই করে নিবেন।
মিল্ক শেক এর অপকারিতা
মিল্ক শেক খাবার যেমন অনেক গুণ রয়েছে তেমনি কিছু অপকারিতা রয়েছে তা অনেকেই জানেনা তাই আপনাদের সাথে এই অংশে মিল্ক শেক এর অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন তাহলে মিল্ক শেক ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে অর্থাৎ মিল্ক শেক বেশি খেলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে আমাদের শরীরে তা জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি ব্যানানা মিল্ক শেক ফ্লেভারটি বেশি খেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে পেটে গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে আপনি যদি ব্যানানা মিল্ক শেক দৈনিক খান তাহলে কোলেস্টেরল এবং ট্রাই গ্লিসারাইড মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া তেমন একটা মিল্ক শেক এর অপকারিতা পাওয়া যায়নি।
এক কথায় বলতে গেলে মিল্ক শেক প্রতিদিন ১ থেকে ২ চামচ খেতে পারেন তার বেশি খাওয়া উচিত নয় না তো বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে আশা করি মিল্ক শেক এর অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
মিল্ক শেক পাউডার এর উপকারিতা
আপনি যদি মিল্ক শেক পাউডার পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খান তাহলে খুব উপকার পাবেন।অনেক মানুষই আছে যারা মিল্ক শেক পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে জানে না। যাদের শরীর একদম দুর্বল কিংবা হস্তমৈথুন করে শরীরের একদম বেহাল অবস্থা করে দিয়েছেন তাদের জন্য মিল্ক শেক পাউডার খুবই উপকারী। এই মিল্ক শেক পাউডার পানিতে ভিজিয়ে অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
১. হাড় ও পেশি শক্ত করেঃ আমরা সবাই জানি যে হাড় ও পেশি শক্ত করতে দুধের চাইতে আর কোন উপাদান হয় না। একইভাবে আপনি যদি আপনার হাড় ও পেশি শক্ত করতে চান তাহলে মিল্ক শেক
পাউডার নির্দ্বিধায় খেতে পারেন এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার। এটি আমাদের হাড়কে মজবুত করে এবং পেশিকে সবল রাখে।
বয়স্ক মানুষ কিংবা যুবক যেকোনো বয়সের মানুষই যদি এই মিল্ক শেক খাওয়া শুরু করে তাহলে অনেক উপকার পাবে। আর এটি যে কোন বয়সের মানুষই খেতে পারবে তাতে কোন অসুবিধা নাই।
২. বুদ্ধি ও বিকাশের সহায়তা করেঃ এই মিল্ক শেক পাউডার কিংবা শুধু মিল্ক শেক বেশিরভাগ বাচ্চাদের খাওয়ানো হয়ে থাকে এর কারণ হচ্ছে এটি বাচ্চাদের শরীরে এমনভাবে কাজ করে যা বাচ্চার বুদ্ধি এবং বিকাশে অনেক ভূমিকা পালন করে।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ মিল্ক শেক অনেক বড় বড় রোগ থেকে রক্ষা করে। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একদম কম যে কোন রোগ একটুতেই চেপে ধরে বসে থাকে তাদের জন্য মিল্ক শেখ হতে পারে খুবই উপকারী একটি খাবার। শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে হৃদরোগ, কিডনি রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনার শরীরে যদি প্রোটিনের অভাব থেকে থাকে তাহলে মিল্ক শেক প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে বেশ সহায়তা করবে।
ওয়েট গেইন মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম
অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়ে থাকেন ওয়েট গেইন মিল্ক শেক কিভাবে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। ওয়েট গেইন মিল্ক শেক আপনারা গরম দুধের সাথেও খেতে পারবেন এবং আপনারা চাইলে গরম পানির সাথেও এটি খেতে পারবেন। ওয়েট গেইন মিল্ক শেক খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে প্রথমে এক গ্লাস গরম দুধ অথবা গরম পানি নিয়ে ১ চামচ ওয়েট গেইন মিল্ক শেক গরম দুধ অথবা পানির মধ্যে দিয়ে দিন।
আরো পড়ুন: Androcap খাওয়ার নিয়ম
তারপর ভালোভাবে এক থেকে দুই মিনিট মতো মিক্স করে নিন। গ্লাসের উপরে যে উপাদান গুলো ভাসবে সেগুলো আপনাকে খেয়ে নিতে হবে। আপনারা এটি রাতে খেলে বেশি ভালো ফলাফল পাবেন। তবে আপনি চাইলে এটি সকালেও খেতে পারেন তবে রাতে খাওয়া উত্তম। এই মিল্ক শেক বা বাদাম শেক বা চকলেট সেক এই সাপ্লিমেন্টগুলো বাংলাদেশ সাইন্স ল্যাব থেকে অনুমোদিত এবং পরীক্ষিত এর জন্যই এটিতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
এই সাপ্লিমেন্ট গুলোতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থাকার কারণ হচ্ছে এই সাপ্লিমেন্ট গুলোতে যেসব উপাদান দেওয়া আছে সেগুলো একদম প্রাকৃতিক উপাদান যেমনঃ বাদাম, মাশরুম, কালোজিরা, কিসমিস ইত্যাদি এই জাতীয় বিভিন্ন মোট ৫৯টি উপাদান দেওয়া আছে যার জন্য আমাদের শরীরে ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম, আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে এবং হজম শক্তি বাড়ে, হরমোনকে ব্যালেন্স করে ইত্যাদি।
ওয়েট গেইন মিল্ক শেক এর উপকারিতা
এই ওয়েট গেইন মিল্ক শেকটা এখন এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে ফেমাস লোকেরাও অনেকেই এই মিল্ক শেকটা খাচ্ছে। যেসব ভাই বোনেদের ওজন নেই একদমই চিকন বডি তাদের জন্য এই মিল শেকটি খুবই ভালো একটি উপাদান। অনেকে রয়েছে যারা মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম ওষুধ খেয়ে থাকে তাদেরকে বলব ওষুধ না খেয়ে ওয়েট গেইন মিল্ক শেক খাওয়া শুরু করুন দেখবেন দুই মাসের মধ্যেই ফলাফল পাবেন।
মিল্ক শেক এর তথ্য অনুযায়ী বলা হয় যে এটাতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং এটি খাওয়ার ফলে যতোটুকু শরীর মোটা হবে ঠিক ততটুকুই থাকবে অর্থাৎ এই মিল্ক শেকটি খাওয়া ছেড়ে দেয়ার পর আপনার ওজন যেমন ছিল তেমনি থাকবে একটুকু কমবে না। চলুন এবার ওয়েট গেইন মিল্ক শেক এর উপকারিতা গুলো কি কি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- শরীর স্বাস্থ্যবান হবে।
- শারীরিক দুর্বলতা দূর হবে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াব।
- ভালো ঘুম হবে।
- সরলশক্তি বাড়বে।
- মুখে রুচি বাড়বে।
- হাড় ও পেশি শক্ত করবে।
ওয়েট গেইন মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ওয়েট গেইন মিল্ক শেকে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এই ওয়েট গেইন মিল্কশেকটি খাওয়ার পর আপনার যদি কোন হরমোনাল কিংবা শারীরিক সমস্যা দেখা যায় তাহলে আপনি এটি খাওয়া দ্রুত বন্ধ করে দিবেন। আর এটি খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা না যায় তাহলে এটি আপনি নির্দ্বি খেতে পারেন।
বর্তমানে অনেকেই এখন মোটা হওয়ার জন্য এবং দুর্বল শরীরকে শক্তিশালী করার জন্য ওয়েট গেইন মিল্ক শেক খেয়ে থাকে। আর এই ওয়েট গেইন মিল্ক শেকটি বিএসটি দ্বারা অনুমোদন অর্থাৎ আপনার শরীরের জন্য নিরাপদ তারপরেও যদি আপনার ওয়েট গেইন মিল্ক শেক এর ওপর কোন সন্দেহ থাকে তাহলে আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি সেবন করতে পারেন।
মিল্ক শেক বানানোর নিয়ম
আপনারা যারা মিল্ক শেক খেতে পছন্দ করেন কিংবা বাচ্চার জন্য মিল্ক শেক বাড়িতে তৈরি করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য মূলত এই অংশটি। অনেকে রয়েছে যারা বাইরের বিভিন্ন প্যাকেট জাতীয় জিনিস খেতে চান না নিজের ঘরে বানানো জিনিস খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য নিয়ে আসলাম মিল্ক শেক কিভাবে বাড়িতে বানাবেন চলুন তাহলে মিল্ক শেক বানানোর নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
- মিল্ক শেক বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে দুইটি কলা নিতে হবে এবং সেগুলো ছোট ছোট কুচি কুচি করে কেটে বিলিন্ডারের মধ্যে দিয়ে দিন তারপর ২ চামচ গুড়া দুধ দিয়ে দিন। মিল্কশেকের রেসিপিতে কিন্তু গুঁড়ো দুধের ভূমিকা অনেক বেশি তাই গুঁড়ো দুধ দিতে ভুলবেন না।
- এরপর ৩ চামচ চিনি বিলিন্ডারের ভিতর দিয়ে দিবেন। চিনির পরিমাণটা আপনাদের মুখের স্বাদ অনুযায়ী দিবেন যতটুকু আপনি মিষ্টি খেতে চান।
- তারপর ওই গুলার সাথে দুই কাপ খাটি গরুর দুধ দিয়ে দিবেন। দুধটা একটু ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা অবস্থায় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তারপর এই খাবারগুলোকে কিছুক্ষণ বিলিন্ডারের বিলিন্ড করে নিতে হবে।
- আর অবশ্যই এইসব খাবারগুলো বিলিন্ড করার সময় খেয়াল রাখবেন বিলিন্ডারের স্পিড যেন Low লো থাকে। এটা High স্পিডে বিলিন্ড করার চেষ্টা করবেন না লো স্পিডে বিলিন্ড করবেন তাহলে মিল্ক শেকটা অনেক ভালো হবে।
- বিলিন্ড করা শেষ হলে একটি পাত্রে অথবা গ্লাসে মিল্কশেক গুলো ঢালবেন তারপর ২০ টাকা দামের দুইটি আইসক্রিম বাটি কিনে এনে সেগুলোর সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়িয়ে নিবেন।
- তাহলেই আপনার মিল্ক শেক খাওয়ার জন্য একদম প্রস্তুত এইভাবে আপনি চাইলে বাড়িতে নিজে নিজেই এই মিল্ক শেক বানানোর নিয়ম ফলো করে খুব সহজে মিল্কশেক বানাতে পারবেন।
মিল্ক শেক প্রাইস কত?
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ মিল্ক শেক খেলে ওজন বাড়াতে খেয়ে থাকি। আর বর্তমানে মিল্ক শেক বিভিন্ন রকম ফ্লেভারে রয়েছে যেমন ব্যানানা মিল্ক শেক, চকলেট মিল্ক শেক, পিনাট মিল্ক শেক, ভ্যানিলা মিল্ক শেক , স্ট্রবেরি মিল্ক শেক আরো অনেক রকমের ফ্লেভার থাকতে পারে।
এটি সাধারণত অনেক কোম্পানি তৈরি করে থাকে তাই একেক কোম্পানির দাম একেক রকম। আপনাদের বোঝানোর সুবিধার ক্ষেত্রে নিচে কয়েকটি ফ্লেভারের দাম উল্লেখ করা হলো।
- মিল্ক শেক ভ্যানিলা ১০০ গ্রাম = ১৮০ টাকা।
- চকোলেট মিল্ক শেক ৩৫০ মিলি = ৭০০ টাকা
- চকলেট মিল্ক শেক ৩৫০ মিলি = ৮০০ টাকা
মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
উক্ত আলোচনায় আমরা আপনাদের জানিয়েছি মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে সে সম্পর্কে। এখন আমরা আপনাদের সাথে মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব কারণ প্রতিটি জিনিসেরই যেমন ভাল দিক রয়েছে তেমনি খারাপ দিক রয়েছে তাই মিল্ক শেক খাওয়ার আগে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ জিংক সিরাপ এর উপকারিতা
বিশেষ করে ব্যানানা ফ্লেভার মিল্ক শেক মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব ফেলে। দুধ এবং কলা একসঙ্গে খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে আপনারা অনেকেই শুনেছেন কিন্তু আসলেই কি উপকার পাওয়া যায় না যেমনটা আপনার ভাবেন তেমনটা না।
আয়ুর্বেদের মতে দুধে ক্যালসিয়াম এবং কলাতে ফাইবার রয়েছে যার কারণে আপনি দুধ এবং কলা একসাথে খাওয়া উচিত নয় কারণ এই ভাবে খেলে আপনার হরমোন এবং মস্তিষ্কে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। আশা করি মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
মিল্ক শেক খেলে কি ক্ষতি হয়
অনেকেই একটি কমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে থাকেন সেটি হচ্ছে মিল্ক শেক খেলে কি ক্ষতি হয় এবং মিল শেক খেলে কোন কাজ হয় না কেন। আপনি যদি সঠিক নিয়মে সঠিকভাবে মিল্ক শেক খান তাহলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিংবা ক্ষতি হবে না। আর এমনিতেই মিল্ক শেক খেলে ক্ষতি হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই কারণ এটিতে সম্পূর্ণ ন্যাচারাল প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়।
তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা মিল্ক শেক খেলে আপনি অবশ্যই বাজার থেকে আসল মিল্ক শেক দেখে কিনবেন আর যদি আপনি নকল মিল্ক শেক কিনে খান তাহলে এর কোন উপকার পাবেন না বরং ক্ষতি হবে। আর যারা বলেন মিল্ক শেক খেলে কাজ হয় না তাদেরকে বলব সঠিক নিয়মে মিল্ক শেক সেবন করুন।
একটি মিল্ক শেক সাপ্লিমেন্ট খেলে ৫ কেজি ওজন বাড়ে আর যদি আপনি তিনটি সাপ্লিমেন্ট খান অর্থাৎ মিল্ক শেক, বাদাম শেক এবং চকলেট শেক এই তিনটি যদি তিন মাস খান তাহলে আপনার ১৫ কেজির ওপর ওজন বৃদ্ধি পাবে। তবে এটি খাওয়ার আগে আপনার মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে যা এই আর্টিকেলে আগেই আপনাদের জানিয়েছি।
ওয়েট গেইন মিল্ক শেক এর দাম কত
ওয়েট গেইন মিল্ক শেক এর দাম কত অনেকেই জানতে চাই। বাজার অনুযায়ী এর দাম ওঠানামা করে তবে বর্তমান ওয়েট গেইন মিল্ক শেক এর দাম ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা মধ্যেই পেয়ে যাবেন আশা করি।
আসল মিল্ক শেক চেনার উপায়
বর্তমানে বাজারে এখন অনেক কোম্পানির মিল্ক শেক পাওয়া যাচ্ছে যার কারণে আসল আসল মিল্ক শেক চেনা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই এখন আপনাদের আসল মিল্ক শেক চেনার উপায় জানাবো যেগুলো ফলো করে আপনি খুব সহজেই বাজার থেকে আসল মিল্ক শেকটি কিনতে পারবেন। এই মিল্কশেক সাপ্লিম্যান্ট টি মূলত usa থেকে আসে তারপর কুমিল্লা থেকে প্যাকেটিং করে দেশে রপ্তানি করা হয়।
তো বন্ধুরা আপনারা কোন দোকানে মিল্কশেক কেনার আগে প্যাকেটের পিছনে অবশ্যই কুমিল্লা, বাংলাদেশ লিখা থাকবে আর যদি দেখেন প্যাকেটের পিছনে অন্য জেলার নাম লিখা আছে তাহলে সেটি ভাববেন নকল। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে আসল মিল্ক শেক প্যাকেটের ছবি দিয়ে দিলাম যেটা দেখে আপনারা আসল মিল্ক শেকটি বাজার থেকে কিনতে পারবেন।
মিল্ক শেক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন (FAQ)
প্রশ্নঃ মিল্ক শেক খেলে কি কোন ক্ষতি হবে?
উত্তরঃপ্রতিদিন পরিমাণ মতো মিল্ক শেক খেলে একজন মানুষের জন্য নিরাপদ তবে আপনার যদি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা অথবা দুগ্ধজাত এলার্জি থেকে থাকে তাহলে আপনার মিল্কশেক হজমে অস্থিতি ভাব হতে পারে।
প্রশ্নঃ মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ মিল্ক শেকে উচ্চমাত্রায় ক্যালরি রয়েছে যার কারণে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে বেশ সহায়তা করবে। তবে দীর্ঘদিন যাবত এটি না খাওয়াই ভালো কারণ টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন কলা মিল্কশেক খেলে কি হয়?
উত্তরঃ কলা মিল্ক শেক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়াই উচিত কেননা কলা কলা মিল্ক শেকে চিনি দেওয়া থাকে যা অন্যান্য সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
প্রশ্নঃ সকালে মিল্ক শেক খাওয়া কি ভালো?
উত্তরঃ যেহেতু অনেক মানুষই সারাদিন বিভিন্ন কাজে পরিশ্রম করে শরীরের এনার্জি ফুরিয়ে যায় যার কারণে আপনি সকালে মিল্ক শেক খেয়ে দিনটা শুরু করতে পারেন এতে করে কাজ করতে অনেক এনার্জি পাবেন।
প্রশ্নঃ কোন মিল্ক শেক খাওয়া ভালো?
উত্তরঃ যেই মিল্ক শেক ফ্লেভারে কম চর্বিযুক্ত দুধ এবং বিভিন্ন রকমের ফল মেশানো আছে সেই মিল্ক শেক ফ্লেভারটি আপনার জন্য ভালো হবে।
প্রশ্নঃ বাদাম শেক খেলে কি ওজন বাড়ে
উত্তরঃ শুধু বাদাম শেক কেন আপনি যেকোনো ধরনের ফল অথবা দুধ ফ্লেভারের মিল্ক শেক খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে। একটি মিল্ক শেক সাপ্লিমেন্ট খেলে পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজন বাড়ে।
মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে শেষ কথা
এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে এবং মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি এছাড়াও আপনাদের মিল্ক শেক প্রাইস কত, মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে এই সকল খুঁটিনাটি বিষয় জানিয়েছি।
তবে আরেকটি কথা বেনানা ফ্লেভার মিল্ক শেক না খাওয়াই উচিত খেলে কি হয় আপনাদেরকে উপরের উক্ত আলোচনায় মিল্ক শেক এর অপকারিতা জানিয়ে দিয়েছি। এবং আপনি যদি দুর্বল শরীর থেকে সফল হতে চান এবং মোটা হতে চান অর্থাৎ শরীরের ওজন বাড়াতে চান সেক্ষেত্রে আমি বলব মিল্ক শেক খেতে পারেন।
এবং মিল্ক শেক আপনার আশেপাশের দোকানে পেয়ে যাবেন এবং কেনার আগে অবশ্যই সেটি অরজিনাল কিনা ভেরিফাই করে নিবেন ডুবলিকেট যদি হয় তাহলে কোন উপকার পাবেন না। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।
এবং আরো নতুন তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখতে পারেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।