গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট ও কি খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে

এই আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট এবং কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। গর্ভাবস্থায় প্রতিটা মহিলারই শরীরের ওপর নজর বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন কারণ মায়ের শরীরের উপর নির্ভর করে বাচ্চার ভালো-মন্দ বিশেষ করে প্রতিটা মায়ের ওজন বৃদ্ধির বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে তাই এই আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট তালিকা নিয়ে আলোচনা করব।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট | কি খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক সপ্তাহে পেটের আকার বাড়তে থাকে এবং বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে মনে রাখবেন প্রতিটা বাচ্চাই ভিন্নভাবে বাড়তে থাকে আর গর্ভের বাচ্চা ওজন বৃদ্ধি ও উচ্চতা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে তাই গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তাই গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন এর চার্ট তালিকা এবং কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে এছাড়াও গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ সকল খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করব তাই এ সকল বিষয় জানতে হলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

গর্ভধারণের পর থেকেই প্রতিটি বাচ্চার উচ্চতা এবং ওজন অল্প অল্প করে বৃদ্ধি পেতে থাকে। সাধারণত বাচ্চা ডেলিভারি হওয়ার সময় বাচ্চার ওজন ৩.৫ কেজি এবং উচ্চতা ৫১ সে.মি মত হয়ে থাকে। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে প্রতিটা বাচ্চা বেড়ে ওটার পিছনে অনেক কিছু নির্ভর করে যেমন পুষ্টি, মায়ের এবং বাবার জেনেটিকস, মায়ের গর্ভধারণের সংখ্যা, মায়ের বয়স ইত্যাদি। 
তাই আপনি যদি একজন গর্ভবতী মহিলা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের উপর নজরদারি আরো বাড়াতে হবে বিশেষ করে শরীরের ওজনের ওপর নজর দিতে হবে তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট এর তালিকা তুলে ধরবো এবং কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে সে সম্পর্কে আলোচনা করব যা আপনার বাচ্চার ওজন খুবই উপকারে আসবে।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট তালিকা

প্রতিটা মহিলাই গর্ভবতী হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে বাচ্চার ওজন কতটুকু বাড়ে তা জানতে চেয়ে থাকেন তাই গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট এর তালিকা নিচে দেওয়া হল যার মাধ্যমে আপনি আপনার বাচ্চার ওজন এবং উচ্চতা সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং মনে রাখবেন এই বাচ্চার ওজন চার্ট তালিকা অনুযায়ী আপনার বাচ্চার ওজন বেশি হতে পারে অথবা কমও হতে পারে।

এবং গর্ভাবস্থায় যদি আপনার অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায় তাহলে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে তাই গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট সম্পর্কে জানা ও নিজের শরীরের উপর নজর দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিচে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির চার্ট দেওয়া হল।

বাচ্চার বয়স

ওজন ( আউন্স/ পাউন্ড)

দৈর্ঘ্য (ইঞ্চি)

৮ সপ্তাহ

০.০৪ আউন্স

০.৬৩

৯ সপ্তাহ

০.০৭ আউন্স

০.৯

১০ সপ্তাহ

০.১৪ আউন্স

১.২২

১১ সপ্তাহ

০.২৫ আউন্স

১.৬১

১২ সপ্তাহ

০.৪৯ আউন্স

২.১৩

১৩ সপ্তাহ

০.৮১ আউন্স

২.১৯

১৪ সপ্তাহ

১.৫২ আউন্স

৩.৪২

১৫ সপ্তাহ

২.৪৭ আউন্স

৩.৯৮

১৬ সপ্তাহ

৩.৫৩ আউন্স

৪.৫৭

১৭ সপ্তাহ

৪.৯৪ আউন্স

৫.১২

১৮ সপ্তাহ

৬.৭০ আউন্স

৫.৫৯

১৯ সপ্তাহ

৮.৪৭ আউন্স

৬.০২

২০ সপ্তাহ

১০.৫৮ আউন্স

৬.৪৬

২১ সপ্তাহ

১০.৭০ আউন্স

১০.৫১

২২ সপ্তাহ

১৫.১৭ আউন্স

১০.৯৪

২৩ সপ্তাহ

১.১০ পাউন্ড

১১.৩৮

২৪ সপ্তাহ

১.৩২ পাউন্ড

১১.৮১

২৫ সপ্তাহ

১.৪৬ পাউন্ড

১৩.৬২

২৬ সপ্তাহ

১.৬৮ পাউন্ড

১৪.০২

২৭ সপ্তাহ

১.৯৩ পাউন্ড

১৪.৪১

২৮ সপ্তাহ

২.২২ পাউন্ড

১৪.৮০

২৯ সপ্তাহ

২.৫৪ পাউন্ড

১৫.০২

৩০ সপ্তাহ

২.৯১ পাউন্ড

১৫.৭১

৩১ সপ্তাহ

৩.৩১ পাউন্ড

১৬.১৮

৩২ সপ্তাহ

৩.৭৫পাউন্ড

১৬.১৯

৩৩ সপ্তাহ

৪.২৩ পাউন্ড

১৭.২০

৩৪ সপ্তাহ

৪.৭৩ পাউন্ড

১৭.৭২

৩৫ সপ্তাহ

৫.২৫ পাউন্ড

১৮.১৯

৩৬ সপ্তাহ

৫.৭৮ পাউন্ড

১৮.৬৬

৩৭ সপ্তাহ

৬.৩০ পাউন্ড

১৯.১৩

৩৮ সপ্তাহ

৬.৮০ পাউন্ড

১৯.৬১

৩৯ সপ্তাহ

৭.২৫ পাউন্ড

১৯.৯৬

৪০ সপ্তাহ

৭.৬৩ পাউন্ড

২০.১৬

৪১ সপ্তাহ

৭.৯৩ পাউন্ড

২০.৩৫

৪২ সপ্তাহ

৮.১২ পাউন্ড

২০.২৮

৪৩ সপ্তাহ

৮.১৯ পাউন্ড

২০.২০

কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে

একজন গর্ভবতী মহিলা তার শিশুর সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্য, জীবনধারা এবং খাদ্যভ্যাসের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত আর এই গর্ভাবস্থায় খাদ্যভ্যাসের উপর নির্ভর করে শিশুর ওজন বিশেষ করে তৃতীয় এবং ৯ম মাসের দিকে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পায় অতএব ৯ম মাসের দিকে বাচ্চার ওজন বাড়ানোর জন্য ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, প্রোটিন, ফলিক এসিড যুক্ত খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে। 
ফলে বাচ্চার দ্রুত ওজন বাড়বে আপনাদের সুবিধার্থে এই অংশে কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে সেই খাবারগুলি সম্পর্কে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব চলুন তাহলে কি কি খাবার খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে সেগুলি জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বাড়াতে যে ১৮ টি খাবার খেতে হবে সেগুলি নিচে দেওয়া হলঃ-
  • ডিম ও দুধ
  • শুকনো ফল এবং বাদাম
  • মুরগির মাংস
  • সোয়াবিন
  • বেরি
  • ব্রকলি
  • দই
  • পালংশাক
  • সামুদ্রিক মাছ
  • মসুরের ডাল
  • বাদামের মাখন
  • কুটির পনির
  • কমলালেবু
  • মিষ্টি আলু
  • অ্যাসপারা গ্যাসের মত সবুজ শাকসবজি
  • কুমড়া
  • স্যালমন
  • অ্যাভোকাডোস
উপরের উল্লেখিত এই খাবারগুলি গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি খান এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং ঘুমান এবং এলকোহল এবং ধূমপান থেকে দূরে থাকুন এছাড়াও অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার পরিত্যাগ করুন এইগুলি অনুসরণ করে চললে আপনার বাচ্চার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। আশা করি প্রিয় পাঠক কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে তা জানতে পেরেছেন এসব খাবারগুলি আপনি শুধুই সঠিকভাবে আপনার বাচ্চার খাবার তালিকায় রাখেন তাহলে বাচ্চা দ্রুত ওজন বাড়বে।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির উপায়

ড. ফারজানা শারমিন বলেন অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির উপায় কি? আসলে বাচ্চার ওজন দ্রুত বলতে এরকম কোন ম্যাজিক নেই যাতে আপনার বাচ্চা দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে তবে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন সেটা হচ্ছে গর্ভকালীন সময় ৫ মাসের পর থেকে বাচ্চা দ্রুত হারে বাড়তে থাকে।

এবং এই বাচ্চা দ্রুত হারে বারা তখনই সম্ভব যে ধরনের খাবার পুষ্টি যুক্ত যেটা খেলে বাচ্চার উপকার হয় এই ধরনের খাবার খেতে হবে। গর্ভবতী অবস্থায় প্রোটিন জাতীয় খাবারগুলো বেশি করে খাবেন প্রোটিন খাবারের মধ্যে রয়েছে মাছ মাংস ডিম এবং ডাল।

এই প্রোটিন খাবারগুলো খেলে আপনার গর্ভাবস্থায় বাচ্চা দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে কিন্তু কার্বোহাইড্রেট খাবার গুলো আপনারা কম খাবেন এইভাবে যদি আপনি সঠিক নিয়ম অনুসারে খাওয়া-দাওয়া করেন তাহলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ

জন্মের সময় যদি কোন বাচ্চা ২.৫ কেজি বা তার কম হয় তাহলে তাকে কম ওজন বিশিষ্ট বাচ্চা বলে তাছাড়া কম ওজনের বাচ্চা বিভিন্ন শারীরিক ঝুঁকি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে তাই আপনার বাচ্চা যাতে কম ওজন না হয় সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সঠিক খাবার না খাওয়া তাই এই অংশে যেসব খাবার খেলে আপনার বাচ্চার ওজন ঠিক থাকবে সেগুলি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১. গর্ভাবস্থায় ভিটামিন
গর্ভধারণের একমাস আগে থেকে প্রতিদিন ৬০০ মাইক্রগ্রাম ফলিক এসিড গ্রহণ করা উচিত তবে গর্ভধারণের পর থেকে নিয়মিত ৪০০ মাইক্রগ্রাম ফলিক এসিড এবং ২৭ মিলিগ্রাম আয়রন নিতে ভুলবেন না এবং সবুজ শাকসবজি টক জাতীয় ফল কমলা, সিম, সিরিয়াল, পাস্তা এগুলোতেও ফলিক এসিড পেতে পারে এছাড়াও কুমড়োর বিচি ও লাল-মাংস আয়রন পাবেন।
২. মানসিক শান্তি
মানসিক যন্ত্রণা আপনার শিশু বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে গর্ভধারণের পর সংসারের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে কিছুটা অব্যাহতি নেওয়া উচিত এটা শুধু গর্ভবতী নয় পরিবারের অন্যদেরও বোঝা উচিত তাছাড়া মনকে শান্ত রাখতে ধর্মীয় বই পারেন। 

৩. সঠিক ওজন বৃদ্ধি
সঠিক ওজন প্রীতি ওজন ঠিকমতো বাড়ানোর জন্য আপনাকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া নিশ্চিত করতে হবে যদি আপনি স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের হন তাহলে ১১ থেকে ১৬ কেজি বাড়াতে হবে এবং চিকন হলে ১৩ থেকে ১৮ কেজি এবং মোটা হলে এবং মোটা হলে ৬.৮ থেকে ১১ কেজি বাড়ালে চলবে তাই নিয়মিত নিজের ওজনের পরিমাপ জানা উচিত।

৪. ব্যায়াম
প্রতিদিন সময় করে ২০ মিনিট মতো ব্যায়াম করা উচিত এর ফলে আপনার দেহ থাকবে সুস্থ এবং খাদ্য পরিপাকে সহায়তা সৃষ্টি হবে যদি কোন ব্যায়াম করতে না পারেন তাহলে কমপক্ষে ২০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন এতে আপনার গর্ভের বাচ্চাও একটিভ থাকবে।

৫. ধূমপান বা অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
যদি আপনার অ্যালকোহল বা পানের অভ্যাস থাকে তাহলে অবিলম্বে বন্ধ করুন শুধু আপনি নন আপনার স্বামী বা পরিবারের কারো থেকে সিগারেটের ধোঁয়া যেন আপনাকে প্রভাবিত না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বেশি হওয়ার কারণ

গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত মায়ের ওজন হলে মায়ের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হয় বিশেষ করে বাচ্চার বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিভিন্ন ডাক্তাররা গর্ভাবস্থায় যদি কোন মায়ের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায় তাহলে তাদের খাবার তালিকা ভিন্ন রকম দিয়ে থাকে যে খাবার তালিকা মেনে খাবার খেলে গর্ভবতী মায়ের ওজন বাড়বে না কিন্তু বাচ্চা সঠিক পুষ্টি পাবে।

তো অনেক গর্ভবতী মায়েরায় আমাদের কাছে জানতে চেয়ে থাকে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বেশি হওয়ার কারণ গুলো কি কি। গর্ভাবস্থায় বাচ্চারা ওজন কিংবা মায়ের ওজন বাড়ার পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমনঃ
  • গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস খাবারের পরিমাণ বাড়াবেন না কেননা প্রথম তিন মাসে বাচ্চার কোন শারীরিক গঠন তৈরি হয় না এই সময় শুধু জেনেটিক বিভাজন ঘটে।
  • যখন তিন মাস পার হয়ে যাবে তখন তিন মাসের আগের চেয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এমন খাবার খেতে হবে যে খাবারগুলোতে ক্যালোরি কম কিন্তু ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর রয়েছে।
  • তিন মাস পর বাচ্চা শারীরিক গঠন তৈরি হয় তাই শর্করা ও ভ্যাটের তুলনায় যেসব খাবারে বেশি প্রোটিন রয়েছে সেসব খাবার খেতে হবে কেননা এই সময় বাচ্চার ওজন সবচেয়ে বেশি বাড়ে।
  • সাত মাসের পর থেকে প্রসবের আগ পর্যন্ত আরো কিছু খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে কেননা এই সময় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পায় তাই কিছু কার্বোহাইডেট খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমনঃ মাংস, ডাল, ছিমের বিচি ইত্যাদি।
  • যদি আপনি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে আরো ভালোভাবে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী খাবার খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন

গর্ভকালীন অষ্টমশল তৃতীয় ট্রাইমিস্টারের দ্বিতীয় মাস গর্ভবতীর 8 মাসের শুরু হয় ২৯ তম সপ্তাহ থেকে এবং এটি শেষ হয় ৩২ তম সপ্তাহে এ মাসে আপনার গর্ভের শিশু এবং আপনার অনেক শারীরিক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হতে দেখা যায় বিশেষ করে। অনেক মায়েরই গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন জানতে চেয়ে থাকে।

কেননা অনেক মায়েরা আছে যারা গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন ঠিক আছে কিনা তার জন্য মাস অনুযায়ী কিংবা সপ্তাহ অনুযায়ী বাচ্চার স্বাভাবিক ওজন কত থাকা উচিত তা জানতে চেয়ে থাকে তাদের সুবিধার্থে এখন জানিয়ে দিব গর্ভাবস্থায় ৮ মাসের বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত। আপনার ৮ মাসের বাচ্চার ওজন এখন একটি চিচিঙ্গার সমান অর্থাৎ বাচ্চা দৈর্ঘ্য ৩৭.৬ সেমি এবং ওজন ১ কেজি।

গর্ভাবস্থায় ৬ মাসে বাচ্চার ওজন

গর্ভাবস্থায় গর্ভের বাচ্চার ওজন কত হওয়া স্বাভাবিক সাধারণত আমাদের কমেন্ট বক্সে এই প্রশ্নটাই সবচেয়ে বেশি আসে বিভিন্ন বোনেরা তাদের বাঁচার ওজন জানিয়ে লিখেন যে তাদের বাচ্চার ওজন সপ্তাহ অনুযায়ী ঠিক আছে কিনা তাই এখন জানি দিব গর্ভাবস্থায় ৬ মাসের বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত।অনেক মায়েরাই গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকে।

২৫ সপ্তাহে ছয় মাস হয়ে থাকে তাই সে অনুযায়ী আপনার ছয় মাসের বাচ্চার ওজন হবে দৈর্ঘ্য ১৩.৬২ ইঞ্চি এবং ওজন হবে প্রায় ১.৪৬ পাউন্ড অথবা ৬৬০ গ্রাম।

গর্ভাবস্থায় ৯ মাসে বাচ্চার ওজন

গর্ভবতী মায়েদের দীর্ঘ যাত্রার একদম শেষের অবস্থায় নবম মাস এই মাসেই হয়তো আপনার ধৈর্যের অবসান ঘটতে যাচ্ছে অর্থাৎ এই মাসেই হয়তো আপনার ফুটফুটে বেবিটা পৃথিবীতে আসবে তাই এই সময়টা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং ধৈর্য ধারণের সময়। নবম মাসে আপনার শিশুর ওজন প্রতিদিন প্রায় ২৮ গ্রাম করে বৃদ্ধি পাবে এবং এই মাসের শেষে বাচ্চার ওজন প্রায় ২.৫ থেকে ২.৭ কেজি হয়ে থাকে।

এই নবম মাসে আপনার বাচ্চা ৪৬.৪৭ সেমি অর্থাৎ ১৮.৭ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। ৯ম মাসে আপনার শিশু রাত ও দিন বুঝতে পারে অর্থাৎ আলো ও অন্ধকার তফাৎ বুঝতে পারে। গর্ভাবস্থায় নবম মাসে গর্ভবতী মায়েদের শরীরের বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায় যেমনঃ পূর্বের তুলনায় বেশি ক্লান্তিবোধ অনুভব করে থাকবেন তবে খুশির বিষয় হলো এ মাসে মায়েদের জরায়ুর নিচের দিকে নেমে যাওয়ার কারণে আপনার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট কম হবে।

গর্ভাবস্থায় ৫ মাসে বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত

গর্ভাবস্থায় ৫ মাসে একটি শিশুর ওজন ব্যাপকভাবে পরিবর্তন হয়ে থাকে তবে গড়ে এই অবস্থায় একটি শিশুর ওজন সাধারণত ১ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ৪৫০ গ্রাম এবং ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। তবে এটি শুধুমাত্র একটি স্বাভাবিক ওজন এবং উচ্চতা তবে সকল মায়েদের বাচ্চা যে পাঁচ মাসে এমন ওজন থাকবে এমন কোন কথা নয় কেননা মায়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি অনুযায়ী বাচ্চার ওজন বিভিন্ন রকম হতে পারে।

৩৪ সপ্তাহ গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন?

অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন ৩৪ সপ্তাহ গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হয়? আপনি যদি একজন গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন এবং আপনার আপনার যদি গর্ভবতী হওয়ার ৩৪ সপ্তাহ চলে তাহলে আপনার শিশু ৪৫ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ওজন ২.১ কেজি হয়ে গেছে বলা যায়।

৬ মাসের গর্ভবতী মায়ের ওজন 

আবার অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন ৬ মাসের গর্ভবতী মায়ের ওজন কেমন হয়? এটা বলা মুশকিল কারণ প্রতিটা গর্ভবতী মহিলার জন্য আলাদা তবে এই ছয় মাসের গর্ভবতী মায়ের ওজন ১০ থেকে ১৫ পাউন্ডের মধ্যে হতে পারে।

আমাদের শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট তালিকা এবং কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে সে বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। গর্ভাবস্থায় আপনি যদি আপনার শিশুর সুস্থ এবং ওজন বাড়াতে চান সে ক্ষেত্রে প্রথমে আপনার শরীরের উপর নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।

এবং বেশি বেশি করে শাকসবজি এর পাশাপাশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত এবং শরীর চেকআপ করানো উচিত। এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন এবং এই সকল নানারকম তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে প্রতিনিয়ত চোখ রাখতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu 360 BD নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url