ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন

ক্যাস্টর অয়েল এই নামটির সাথে অনেকেই পরিচিত আবার অনেকেই প্রথমবার শুনছেন। ক্যাস্টর অয়েল হল এক ধরনের তেল যা চুল পড়া রোধ করতে বিশেষ কার্যকরী ওষুধ বলা যায়। প্রাচীন কাল থেকে এই ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার হয়ে আসছে এই তেলের বিশেষ কিছু গুণ রয়েছে যা এই আর্টিকেলে আপনাদের ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানাবো।
ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম জানুন
এই ক্যাস্টর অয়েলে থাকা প্রদাহরোধী উপাদান ও ব্যাকটেরিয়া আমাদের মাথার ত্বককে সুরক্ষিত রাখে শুধু তাই নয় এটি নতুন করে চুল গজাতে সাহায্য করে এছাড়াও আরো অজানা উপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

আমাদের শরীরের সৌন্দর্যের বড় অংশ হচ্ছে চুল। সেই চুল যদি অতিরিক্ত ঝরে পড়ে যায় মাথা থেকে তাহলে দেখতে টাক লাগে যার কারণে কোন আয়োজনে গেলে লজ্জা লাগে তাই চুল পড়া নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই বর্তমান সময়ে প্রায় মানুষেই এই চুল পড়া সমস্যায় ভুগে থাকে।

আর এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে হলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা শুরু করুন। ক্যাস্টর অয়েল এমন একটি তেল যার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, প্রোটিন, মিনারেলস ইত্যাদি যা চুল পড়া রোধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
এই আর্টিকেলটি পড়লে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের নিয়ম এবং ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন এর পাশাপাশি আরো অনেক বিষয়ে জানতে পারবেন তাই ক্যাস্টর অয়েল সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় জানতে হলে এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

ক্যাস্টর অয়েল কি

ক্যাস্টর অয়েল এক ধরনের উদ্ভিজ্জ তেল যেটা ভেন্নার বীজ থেকে তৈরি হয়ে থাকে। এই ক্যাস্টর অয়েল বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেমন কোথাও কেটে বা পুড়ে গেলে গেলে, পেট ফাঁপা, বাতজ রোগ এবং ত্বক ও চুলের জন্য এই তেল খুবই উপকারী। 

এই তেল সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে একটি হচ্ছে ব্ল্যাক ক্যাস্টর অয়েল আর আরেকটি হচ্ছে  কল্ড প্রেস্ড কাসটার অয়েল। এই তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এন্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিস যা জীবাণু সংক্রমণ কমায়।এটি একটি প্রাকৃতিক ভেষজ তেল যার রয়েছে অনেক উপকারিতা। 

ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের নিয়ম

আপনারা হয়তো জানেন যে ক্যাস্টর অয়েল চুলের যত্নের জন্য বিশেষ করে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।তাই এই আর্টিকেলে ক্যাস্টর অয়েল চুল পড়া রোধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে কিভাবে ব্যবহার করবেন সেই নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানাবো। বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই চুল পড়া সমস্যাই ভুগে থাকি। 

অনেকে আছেন যারা চুল পাড়া রোধ করতে বা নতুন চুল গজাতে বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করেছেন তারপরও কোন ফলাফল পাননি চিন্তার কোন কারণ নেই এই ক্যাস্টর অয়েল যদি আপনি সঠিকভাবে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মাথার চুল নতুন করে গজাবে এবং চুল পড়া রোধ হবে।

তাই আপনি যদি আপনার মাথায় নতুন চুল গজাতে চান অথবা চুল পড়া রোধ করতে চান তাহলে ক্যাস্টর অয়েল সঠিকভাবে ব্যবহার করা জানতে হবে তাহলে চলুন ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

নতুন চুল গজাতে ক্যাস্টর অয়েলে ব্যবহারের নিয়মঃ প্রথমে আপনি ক্যাস্টর অয়েলের সাথে যে কোন একটি ব্যবহার করা তেল নিয়ে নিবেন যেমন প্যারাসুট, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল ইত্যাদি তারপর একটি বাটিতে আপনার ব্যবহার করা তেল অর্থাৎ প্যারাসুট বা অলিভ অয়েল তেল ৩ চামচ দিয়ে দিন। আপনার চুল বড় না ছোট কতটুকু পরিমান তেল লাগবে ঠিক ততটুকুই নিবেন।

৩ টেবিল চামচ তেলের মধ্যে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল অ্যাড করে নিতে হবে তার মানে ৩ ভাগের ১ ভাগ ব্যবহার করবেন। এখন এই তেলটি একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিবেন। 

ক্যাস্টর অয়েলের মূল গুণ হল এই তেল স্কাল্পে মেসেজ করলে মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বহু গুণে বৃদ্ধি করে এর ফলে স্কাল্পের ভিতর থাকা থাকা যে হেয়ার ফলিকল গুলি রয়েছে তা কিন্তু তরতাজ হয়ে ওঠে এই জন্য নতুন চুল গজাতে এই তেল দারুন কাজ করে থাকে বিশেষ করে এই তেলে রয়েছে ওমেগা-৯ ফ্যাটি এসিড এবং প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিন যা চুলকে স্বাস্থ্য জল এবং ঘন করে তুলে।

সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এখন আসা যাক এই তেলটি কখন কিভাবে ব্যবহার করবেন। এই তেলটি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। রাতের বেলা ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই তেলটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত মাথায় ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে।

চেষ্টা করবেন মাথার ত্বকে প্রতিটি চুলের গোড়ায় ভালোভাবে বিলিয়ে দিতে এরপরে একটি সুতি কাপড় দিয়ে অথবা শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ভালোভাবে মাথায় রেখে দিতে হবে পরের দিন ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে এরপর কন্ডিশনার না করেই আপনারা দেখতে পারবেন যে রেজাল্ট কেমন এসেছে।

ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা

ক্যাস্টর অয়েলের অনেক উপকারিতা রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। এই ক্যাস্টর অয়েল যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। অনেকেই ক্যাস্টর অয়েল চুলে ব্যবহার করে এটি চুল বৃদ্ধি করতে যেমন সহায়তা করে তেমনি চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুলের আগা ফাটা রোধ করতে খুবই উপকারী একটি তেল।

এছাড়া ক্যাস্টর অয়েল বহু বছর ধরে রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে এবং এতে রয়েছে লাইকনিক এসিড, অলিক এসিড, ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি। ক্যাস্টর অয়েল ন্যাচারালি আমাদের স্কিনকে যে কোন ধরনের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। 

যাদের মুখে কালো দাগ, পিম্পলসের দাগ রয়েছে ও কাটা ছেঁড়ার দাগ বা পোড়ার দাগ রয়েছে এইরকম সব ধরনের দাগ দূর করতে ক্যাস্টর অয়েল সহায়তা করে। তো এই তেলটি অনেকেই ব্যবহার করেন আবার কেউ কেউ নতুন ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছেন কিন্তু উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে জানা নেই। চলুন তাহলে ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১. শরীরের ফাটা দাগ দূর করতে
অনেকে দেখা যায় পায়ের তালু ফেটে যায় শীতকালে তাছাড়া অনেকেরই বারো মাস কিন্তু পায়ের তালু ফাটা থাকে আবার দেখা যায় অনেকে অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফাটা দাগ করে তাছাড়া গর্ভবতী কালীন সময়ে মেয়েদের পেটে ফাটা দাগ পরে তো শরীরের বিভিন্ন অংশ ফাটা দাগ ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করে দূর করতে পারেন। 
তো সে ক্ষেত্রে আমি বলবো যারা গর্ভবতী রয়েছেন তারা বাচ্চা ডেলিভারি হওয়ার পরে ক্যাস্টর অয়েলটা ব্যবহার করবেন। এক্ষেত্রে আপনারা ক্যাস্টর অয়েলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে আপনার ফাটা দাগের স্থানে সারারাত লাগিয়ে রাখবেন আর যে কোন কিছুই আপনি লাগান না কেন সেক্ষেত্রে আঙুলের সাহায্যে একটু ভালো করে ডলে নিয়ে অর্থাৎ ম্যাসাজ করে নিলে কিন্তু উপকার বেশি পাবেন।

২. চোখের পাপড়ি ও ভ্রু ঘন করতে
চোখের পাপড়ি ও ভ্রু ঘন করতে ক্যাস্টর অয়েল অনেক উপকার করে। তো সে ক্ষেত্রে আপনারা একটি পুরানো যে ব্রাশ থাকে সেটি নিয়ে নিবেন এবং এটি কিন্তু খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। তারপর আপনারা ক্যাস্টর অয়েল টা সেই ব্রাশে লাগিয়ে চোখের পাপড়িতে সারারাত লাগিয়ে রাখবেন।

এবং সকালে উঠে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এতে করে আপনার আগের থেকে অনেক বেশি ভ্রু ঘন হবে আর চোখের পাপড়ি অনেক বেশি লম্বা আর ঘন হবে।

৩. খুশকি রোধে ও চুল পড়া বন্ধ করতে
খুশকি রোধ করতেও কিন্তু এই ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা যায়। আমাদের অনেকে দেখা যায় প্রচুর পরিমাণে খুশকির সমস্যা থাকে আর এই খুশকি সমস্যার কারণে কিন্তু চুল পড়ে যায় তো আপনারা ক্যাস্টর অয়েলের সাথে অন্য যে কোন তেল সম পরিমাণ নিয়ে নিবেন কারণ ক্যাস্টর অয়েলটা যেহেতু অনেক বেশি ঘন হয় এজন্য অবশ্যই অন্য যেকোন তেলের সাথে একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।

৪. ব্রণ দূর করতে
যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা কিন্তু ক্যাস্টর অয়েল টা ব্যবহার করতে পারেন তো সে ক্ষেত্রে আপনাদের যেখানে ব্রণ রয়েছে শুধুমাত্র সেখানেই ব্যবহার করবেন আবার পুরো মুখে ব্যবহার করা যায় তো আমি বলব যাদের সেনসিটিভ স্কিন তারা শুধুমাত্র ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখবেন এবং এটি রাতে শোয়ার আগে লাগাবেন সকালে উঠে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

৫. বলিরেখা দূর করতে
বলিরেখা দূর করতে আপনারা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অনেকের দেখা যায় যে খুব অল্প বয়সে কিন্তু মুখে বয়স্কর ছাপ পড়ে বিশেষ করে গালের দুই পাশে এক ধরনের রেখা পড়ে এটা দেখতে কিন্তু অনেক বয়স্ক লাগে তো আপনারা চাইলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন বলিরেখা দূর করতে।

৬. মুখের কালো দাগ ও চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে
চোখের নিচে কালো দাগ এবং মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য এই ক্যাস্টর অয়েলটা ব্যবহার করতে পারেন। চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার জন্য ক্যাস্টর অয়েলের সাথে একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিবেন এবং এই দুইটা উপাদান মিক্স করে আপনারা চোখে নিচে ভালো করে লাগিয়ে রাখবেন। 

এবং সকালে উঠে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এতে করে আপনার চোখে নিচের কালো দাগ দূর হবে এবং মুখে কালো দাগ দূর হবে।

৬. ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতেও কিন্তু আপনারা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রেও একইভাবে ভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর সাথে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে আপনারা যেভাবে ঠোটে লিপাম ব্যবহার করেন সেভাবে লাগিয়ে সারা রেখে দিবেন এক্ষেত্রে আপনার ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।

সতর্কতা
ক্যাস্টর অয়েল টা আপনারা ত্বকে এবং চুলে লাগানোর সময় অবশ্যই একসাথে যে কোন তেল মিশিয়ে লাগাবেন যেহেতু এটি অনেক গাঢ় হয় আর এই তেলটা লাগিয়ে কখনোই আপনারা ১ দিনের বেশি রেখে দিবেন না।

চুলে ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা

অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন চুল বৃদ্ধিতে ও নতুন চুল গজাতে ক্যাস্টর অয়েল কতটুকু উপকার। লম্বা ঘন কালো চুল যে কোন নারী সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ তবে অতিরিক্ত দূষণ ও নিয়মিত চুলের যত্ন না নেওয়ার কারণে চুল পড়ে যায়, আগা ফেটে যায়, চুলের বৃদ্ধি কমে যায় এবং চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে এসব সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন এই ক্যাস্টর অয়েল।

 ফ্যাকাসে হলুদ রঙ্গের এই তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। এই তেল চুলের বৃদ্ধি ঘটায় মাথার ত্বক ভালো রাখে এবং চুলের আদ্রতা ধরে রাখে। ফ্যাটি এসিড যুক্ত এই তেল চুলের পুষ্টি সরবরাহ ও চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এছাড়া চুল পড়া কমায় এবং গোড়া মজবুত করে। 

তবে বেশি তেল লাগাবে না ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই তেল চুলে লাগিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। শ্যাম্পু করার পর ভালো করে চুল শুকিয়ে নিতে হবে। চুল শুকাতে হেয়ার ড্রাইভ বা ওই ধরনের কোন কিছু ব্যবহার করবেন না।

ক্যাস্টর অয়েল এর অপকারিতা

আমরা সবাই জানি যে ক্যাস্টর অয়েলের অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে এই উপকারী তেলের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা আপনাদের জানা দরকার। এই তেলটি যদি কেউ অতিরিক্ত ত্বকে ব্যবহার করে তাহলে জ্বালাপোড়া হতে পারে এছাড়াও শরীরে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমনঃ-
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  • ডায়রিয়া
  • পেটে ব্যথা
  • পানি শূন্যতা
  • বুক ব্যথা
  • মাথা ঘোরা
  • এলার্জি সমস্যা
  • ত্বকে ফুসকুড়ি ও চুলকানি
  • নিম্ন রক্তচাপ
আপনি যদি অতিরিক্ত ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করেন তাহলে উপরের উল্লেখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে তাই আমি বলব আপনি অতিরিক্ত ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করবেন না আর ক্যাস্টর অয়েল ত্বকে ১দিনের বেশি লাগিয়ে রাখবেন না।

অরিজিনাল ক্যাস্টর অয়েল চেনার উপায়

ক্যাস্টর অয়েল চুল পড়া রোধে অত্যন্ত উপকারী এ কথা মোটামুটি আমরা সবাই জানি সেই দাদি নানীর আমল থেকে নিয়ে আজও চুল পড়া বা চুল দ্রুত বড় করার মহাঔষধ হলো ক্যাস্টর অয়েল। আজকাল প্রায় সবার বাসাতেই শোভা পাচ্ছে ছোট্ট কাচের বোতলে রাখা এই তেল। 

তো মূলত আমি আজকে আপনাদেরকে জানাবো অরিজিনাল ক্যাস্টর অয়েল এবং ডুপ্লিকেট ক্যাস্টর অয়েল কিভাবে চিনবেন সে সম্পর্কে। অরিজিনাল ক্যাস্টর অয়েল এবং ডুপ্লিকেট ক্যাস্টর অয়েল চেনার জন্য আমি বেশ কয়েকটি পয়েন্ট জানাবো তো চলুন অরিজিনাল ক্যাস্টর অয়েল চেনার উপায় জেনে নেওয়া যাক।

আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে একটি নকল ক্যাস্টর অয়েলের বোতল এবং অরিজিনাল ক্যাস্টর অয়েলের বোতলের ছবি নিচে দেওয়া হল। 
  • ছবিটিতে খেয়াল করুন একটি হচ্ছে অরজিনাল ওয়েলসের ক্যাস্টর অয়েল আর আরেকটি হচ্ছে ডুপ্লিকেট ওয়েলসের ক্যাস্টর অয়েল। W লোগো দেখে আপনারা যারা ক্যাস্টর অয়েল নিয়ে থাকেন তারা অবশ্যই ভালো করে বোতলের আপার সেকশনে পুরোটা ডিজাইন করা আছে কিনা ও বোতলের নিচেও ডিজাইন করা আছে কিনা দেখে নিবেন।
  • কারণ ডুপ্লিকেট বোতলে কোন ডিজাইন করা থাকে না তাই আমি বলতে চাচ্ছি যারা অরজিনাল নিতে চান তারা বোতলের গায়ে ডিজাইন করা আছে নাকি ভালো করে দেখে নিবেন।
  • কোম্পানি যখন কোন প্রোডাক্ট ইম্পর্ট করে এমআরপি সহ তারা একটি সিল দিয়ে থাকে তাই কেনার সময় অবশ্যই এমআরপি আছে কিনা দেখে নিবেন।
  • এরপর তেলের কালার ও তেলের থিকনেস খেয়াল করুন। অরিজিনাল তেলের থিকনেস ডুপ্লিকেটের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে আর অরিজিনালটি একদম পানি কালার হয়ে থাকে আর ডুপ্লিকেটটি বেশি হলুদ রঙের হয়ে থাকে।
  • বোতলটির গায়ে ইংলিশে লেখা বর্ণনাগুলো খেয়াল করুন। অরিজিনাল টিতে যে আরবি লেখা গুলো আছে ডুপ্লিকেট তাতে কিন্তু নাই।

কোন ক্যাস্টর অয়েল ভালো

বাজারে দুই ধরনের ক্যাস্টর অয়েলের বোতল পাওয়া গিয়ে থাকে তাই অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন কোন ক্যাস্টর অয়েল ভালো। ক্যাস্টর অয়েলের দুটি বোতলের মধ্যে এতোটুকুই পার্থক্য যে একটি বোতল ইংল্যান্ডের তৈরি আর আরেকটি বোতল স্পেনের তৈরি। 
আমি বলব যে ক্যাস্টর অয়েলের দুইটি বোতলই ভালো তাই আপনারা ইংল্যান্ড হোক বা স্পেন হোক যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন তবে ক্যাস্টর অয়েলের বোতল কেনার আগে ভালো করে অরজিনাল কিনা যাচাই করে নিবেন।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনি যদি চুল পড়া বন্ধ করতে চান এবং আপনার মাথায় খুশকি এছাড়া মুখের ব্রণ ও বলিরেখা দূর করতে চান তাহলে নিশ্চিন্তে এই ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন তবে এই তেলটি খুব বেশি ব্যবহার করবেন না আপনি যদি এই তেলটি খুব বেশি ব্যবহার করেন তাহলে এলার্জি, ডায়রিয়া সমস্যা সহ শরীরে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। 

তাই এই তেলটি কখনোই অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না পরিমাণ মতো ব্যবহার করবেন। এবং এই তেলটি বাজার থেকে কেনার আগে অবশ্যই অরজিনাল কিনা যাচাই-বাছাই করে ব্যবহার করবেন। 

আজকের এই আর্টিকেলে ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানিয়েছি, আশা করি আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন। আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন আর এইরকম বিভিন্ন অজানা তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu 360 BD নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url