রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়, কারণ ও লক্ষণ বিস্তারিত জানুন

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা এলার্জির সমস্যায় ভুগে থাকেন। বিশেষ করে রক্তে এলার্জি খুবই বিরক্তকর এবং মারাত্মক একটি রোগ। রক্তে এলার্জি দূর করার কিছু উপায় রয়েছে যেগুলি অনুসরণ করে আপনি খুব সহজে এই এলার্জি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই আর্টিকেলে রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়, কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়, কারণ ও লক্ষণ বিস্তারিত জানুনতো আপনি যদি রক্তে এলার্জি সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং এই রক্তে এলার্জি সমস্যা দূর করতে অনেক কিছু চেষ্টা করেছেন তবুও এলার্জির সমস্যা দূর হচ্ছে না চিন্তার কোন কারণ নেই এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি এই রক্তে এলার্জি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তো রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় এবং রক্তে এলার্জি হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে জানতে হলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

ভূমিকা

এলার্জি খুবই সাধারণ একটি রোগ এটি আমাদের দেহে কোন খাবার বা বস্তুর প্রতি যে প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটাই হচ্ছে এলার্জি। শিশুদের সাধারণত বেশি পরিমাণে এলার্জি সমস্যা দেখা যায় তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এলার্জি সমস্যা ঠিক হয়ে যায় কিন্তু আবার কেউ কেউ আছে যাদের এলার্জি সমস্যা সারা জীবন থেকে যায়।
আবার অনেকে আছেন যাদের আগে এলার্জি সমস্যা ছিল না কিন্তু বর্তমানে এলার্জি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আপনি যদি রক্তে এলার্জি সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। নিচে রক্তে এলার্জি কেন হয়, লক্ষণ এবং রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

রক্তে এলার্জি কেন হয়

রক্তে এলার্জি হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে রক্তে এলার্জি হওয়ার বড় কারণ হচ্ছে রক্ত দূষিত হওয়া। আমরা বাইরে বিভিন্ন রকম ভেজাল খাবার খেয়ে থাকি আর এই ভেজাল খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে ক্ষতিকর পদার্থগুলো প্রবেশ করে তারপর রক্তের সাথে মিশে যায় ফলে আস্তে আস্তে রক্ত দূষিত হয়ে যায়। 

তবে শুধু যে খাবারের মাধ্যমে রক্ত দূষিত হয় তা কিন্তু নয় বরং অতিরিক্ত ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন করলেও রক্ত দূষিত হয়। এছাড়া বদ অভ্যাস এবং প্রাকৃতিক কারণেও আমাদের শরীরের রক্ত দূষিত হয়ে থাকে যেমন পানি অথবা বাতাসের মাধ্যমে রক্ত দূষিত হয়ে থাকে।

এছাড়া জন্মগতকারণেও রক্তে এলার্জি সমস্যাটা হয়ে থাকে এবং আমাদের প্রত্যেকের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে যাকে বলা হয় ইমিনিউ সিস্টেম। এই ইমিনিউ সিস্টেম যখন আমাদের শরীরে ঠিকমতো কাজ করে না বা আমাদের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন জিনিসের প্রতিও প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে তখনই রক্তে এলার্জি হয়।

রক্তে এলার্জির লক্ষণ

এই অংশে আপনাদের জানাবো কিভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে রক্তে এলার্জি হয়েছে কেননা এলার্জি অনেক ধরনের হয়ে থাকে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা বুঝতে পারেন না রক্তে এলার্জি হয়েছে কিনা। রক্তে এলার্জি হলে কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলি দেখে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার রক্তে এলার্জি হয়েছে চলুন তাহলে রক্তে এলার্জির লক্ষণগুলি জেনে নেওয়া যাক।
  • সর্দি বা হাঁচি হওয়া
  • নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
  • শরীরে বিভিন্ন স্থান চুলকানো
  • শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে শব্দ বা বুক ভারি হয়ে যাওয়া
  • শরীর ও ত্বকে লাল লাল হয়ে ফুলে যাওয়া
  • জিহ্বা, ঠোঁট এবং মুখ ফুলে যাওয়া
  • ত্বক শুকিয়ে যাওয়া বা লাল হয়ে কেটে যাওয়া
  • তলপেটে ব্যথা হওয়া
  • কিছুক্ষণ পর পর পেট কামড়ানো
  • বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া
  • ঘ্রাণ শক্তি কমে যাওয়া
  • চোখ লাল হয়ে যাওয়া
উপরের এই উপসর্গগুলো যদি আপনার মধ্যে দেখা দেয় তাহলে আপনি বুঝবেন যে আপনার রক্তে এলার্জি হয়েছে। হঠাৎ করে যদি এই সমস্যাগুলি আপনার শরীরে দেখা দেয় তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে তাহলে এই রক্তে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়

এমন মানুষ খুবই কমই আছে যাদের এলার্জির সমস্যা নেই। আপনি যদি রক্তে এলার্জি সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং রক্তে এলার্জি সমস্যা কমাতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই আপনি যে খাবারগুলো খাচ্ছেন তার মধ্যে থেকে রক্ত দূষণ করে এমন খাবার যদি থেকে থাকে তাহলে সেটা পরিহার করতে হবে এবং অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। 

এই অংশে আপনাদের রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানাবো যেগুলি অনুসরণ করলে আপনারা খুব সহজেই রক্তে এলার্জি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন চলুন তাহলে রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
  • নিমের পাতার রসঃ নিম পাতার রস রক্তে এলার্জি দূর করতে সহায়তা করে। আপনি যদি নিয়মিত ৭ দিন নিম পাতার রস সেবন করেন তাহলে দ্রুত উপকার পাবেন। নিম পাতার রস এলার্জি দূর করে শুধু তাই নয় বরং নিম পাতার রস বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • কাঁচা হলুদ ও মধুঃ হলুদ এলার্জি দূর করতে দারুন ভাবে কাজ করে তবে এলার্জি প্রতিরোধ করতে হলুদকে আরো ভালোভাবে কার্যকারি করে তোলে মধু। তাই কাঁচা হলুদের রস বের করে সেই রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে একসঙ্গে খেলে এলার্জি সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং অনেক উপকার পাওয়া যায়।
  • আদাঃ আদাতে রয়েছে এন্টিহিস্টামিন যা রক্ত এলার্জি দূর করতে অত্যন্ত কার্যক্রম। তাই পানির ভিতরে আদা দিয়ে কয়েক মিনিট সিদ্ধ করে সেই কুসুম গরম পানি যদি নিয়মিত পান করেন তাহলে এলার্জি সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 
  • টক দইঃ টক দই এলার্জি সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। তাই আপনি যদি রক্তের এলার্জির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে টক দই খাওয়া শুরু করুন।
  • স্থানীয় খাঁটি মধুঃ ফুলের রেনু বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে এসে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে যে এলার্জি সৃষ্টি করে সেটি দূর করতে মধু অত্যন্ত কার্যকরী। আপনি যদি প্রতিদিন ১ চামচ খাঁটি মধু পান করেন তাহলে এটি রক্তে এলার্জি সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে তবে সেটি স্থানীয় খাঁটি মধু হতে হবে।
  • করলার রসঃ বেশিরভাগ তিতে জিনিসই সর্ব রোগের ওষুধ তাই আপনি যত তিতে খাবার খেতে পারবেন তত সুস্থ থাকবেন। একটি করলা বিলিন্ডারে রস করে এটি সপ্তাহে ২ দিন সেবন করলে এলার্জি সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। আপনার যদি তিতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস না থাকে তাহলে করলার রসের ভিতর এক চিমটি চিনি দিয়ে খেতে পারেন।
  • গ্রিন টিঃ রক্তে এলার্জি মাত্রা কমাতে গ্রিন টি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।আপনি যদি প্রতিদিন গ্রিন টি সেবন করেন তাহলে আপনার রক্তে এলার্জির মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে।তাই আপনি যদি রক্তে এলার্জির মাত্রা কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাসে পরিণত করুন।
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ আপনার খাবার তালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখার চেষ্টা করুন যেমনঃ লেবু, কমলা, বেল, মরিচ, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ইমিউন সিস্টেমকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
  • কাঁচা খাবার না খাওয়াঃ কোন প্রকার কাঁচা খাবার খাবেন না কেননা কাঁচা খাবার খেলে রক্তে এলার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে যে খাবারগুলোতে আপনার এলার্জি হয় সেই খাবার গুলো কাঁচা অবস্থায় এবং রান্না করে খাওয়া যাবে না।
  • অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার না খাওয়াঃ অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কেননা অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খেলে রক্তে এলার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে তাই রক্তে এলার্জি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
  • প্যাকেট জাতীয় খাবার না খাওয়াঃ রক্ত দূষণ করার অন্যতম কারণ হচ্ছে প্যাকেট খাবার। বাজারে অনেক ধরনের প্যাকেট পাওয়া যায় যেগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে রং এবং মেডিসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে ফলে এই প্যাকেট খাবারগুলি খেলে আমাদের শরীরে রক্ত দূষিত হয় ফলে রক্তে এলার্জি সমস্যা সৃষ্টি হয় তাই বাজারের প্যাকেট জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • ধুলাবালি, ময়লা থেকে দূরে থাকাঃ ধুলাবালি, ময়লা, ফুলের রেনু বাতাসের মাধ্যমে শরীরে ঢুকে এলার্জি সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই সবসময় চেষ্টা করুন পরিষ্কার জায়গায় থাকার এবং ধুলাবালি, ময়লা থেকে দূরে থাকা। এছাড়া বাড়ির বাইরে গেলে সব সময় মাক্স ব্যবহার করুন যাতে কোন ধুলাবালি শরীরে না প্রবেশ করতে পারে।
  • শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ শরীরের ওজন যদি বেশি হয় বা শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি থাকে তাহলে রক্তে এলার্জির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে সেজন্য আপনি যদি রক্তে এলার্জির মাত্রা কমাতে চান তাহলে আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখুন।

রক্তের এলার্জি দূর করার খাবার

রক্তে এলার্জি সমস্যা খুবই সাধারণ একটি শারীরিক সমস্যা কমবেশি সকলেরই এলার্জির সমস্যা থাকে।আপনি চাইলে ঘরে বসে কোন ওষুধ সেবন না করে তাৎক্ষণিকভাবে এলার্জি থেকে পেতে পারেন প্রতিকার। সেসব প্রতিকার আমরা পেতে পারি আমাদেরই ঘরোয়া বিভিন্ন খাবার থেকে এমন কিছু খাবার যে খাবারগুলো আমাদের সবসময় ঘরেই থাকে।
বিশেষ কোনো খাবার নয় যে খাবারগুলো আমরা খেয়ে থাকি যেকোনো সময় কিন্তু আমরা জানি না যে এলার্জি হলে তৎক্ষণিক কোন সেই সাধারণ খাবারটি খেলে মুক্তি মিলবে এলার্জি থেকে। নিচে বেশ কয়েকটি খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো যে খাবারগুলো খেলে রক্তের এলার্জি দূর করা সম্ভব। 
  • কলাঃ কলা পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কমবেশি আমরা সকলেই জানি তবে খুব দারুণ একটা ব্যাপার হচ্ছে এলার্জি জাতীয় কোন খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে তার প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে কলা খুবই উপকারী একটি খাদ্য শরীরে লাল রঙের ছোট ছোট র‍্যাশ দেখা দিলে অথবা পেটের সমস্যা দেখা দিলে কলা খুবই কার্যকারী। কারণ কলা শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।
  • ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্যঃ অনেক সময় পাকস্থলীতে খুব বেশি পরিমাণে প্রোটিনের আধিক্য হলেও এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে সেই ক্ষেত্রে এসিড জাতীয় খাদ্য অর্থাৎ ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
  • লেবুর রস ও মধুঃ লেবু হল অন্যতম সাইট্রাস জাতীয় ফল যা এলার্জির ক্ষেত্রে দারুন কাজ করে থাকে। পানি এবং মধুর সাথে লেবুর রস মিশালে শরীরের জন্য দারুন এক ডিটক্সি ফাইন পানিও তৈরি হয়ে যায়। নিয়মিত এই পানীয় পান করলে শরীরের টক্সিক পদার্থগুলো বের হয়ে যেতে সাহায্য করবে এবং এলার্জির সমস্যা কমে আসবে। 
  • শসা এবং গাজরের রসঃ কোন খাবার খাওয়ার পরে হুট করে শরীরে এলার্জির সমস্যা দেখা দিলে শসা এবং গাজরের রস একসাথে মিশিয়ে খেয়ে ফেললে খুব দ্রুত কাজ হয়। শসা এবং গাজর দুইটি সবজিতে এন্টি এলার্জিক উপাদান শরীরের এলার্জি সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
  • আদা চাঃ আদা এলার্জির সমস্যার ক্ষেত্রে খুবই ভালো কাজ দেয়। এক্ষেত্রে আপনি আদা চা তৈরি করে খেতে পারেন। ফুটন্ত পানিতে কুচি কুচি আদা দিয়ে সেই পানিটা ১০ মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে নিতে হবে এরপর সেই পানি ছেকে নিয়ে কিছুটা আদার রস এবং মধু মিশিয়ে গরম গরম খেয়ে নিতে হবে।
  • ক্যাস্টর অয়েলঃ ক্যাস্টর অয়েল শুধুমাত্র আপনার চুলের জন্য নয় আপনার পাকস্থলী এবং এলার্জি জাতীয় কোন খাবার খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা দেখা দিলে ক্যাস্টর অয়েল দারুন কাজ করে। এলার্জির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রতিদিন সকালে এক কাপ পরিমাণ পানিতে ৫ থেকে ১০ ফোটা ক্যাস্টর অয়েল খেয়ে নিন।
  • গ্রিন টিঃ গ্রিন টি শুধুমাত্র ওজন কমাতেই নয় এলার্জি সমস্যা কমাতেও কাজ করে থাকে। গ্রিন টি তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিহিস্টাসিন এবং প্রদাহ বিরোধী উপাদানের জন্য এলার্জির খাবার খাওয়ার ফলে যে সকল সমস্যা দেখা দেয় তা বাধা দিয়ে থাকে।
যাদের খুব বেশি রক্তে এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের এলার্জি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকায় শ্রেয় তবে ভুলবশত অথবা শখ করে এলার্জি জাতীয় খাবার খাওয়া হয়ে গেলে দুশ্চিন্তা না করে এলার্জির সমস্যা প্রতিরোধে উপরোক্ত খাবার গুলো খেয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।

রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয়

রক্তে এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে ওপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এখন রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব। রক্তে এলার্জি বেশি হয়ে গেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় তাই যাদের রক্তে এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের জানা খুবই জরুরী তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে একজন রোগী বুঝতে পারবে যে তার রক্তে এলার্জির মাত্রা বেশি হয়ে গিয়েছে।
  • শরীরের বিভিন্ন অংশে র‍্যাশ উঠা।
  • শ্বাস নিতে কষ্ট হবে।
  • শরীর প্রচন্ড চুলকানো।
  • গলা এবং বুক চাপবোধ হওয়া।
  • ঠোঁট, মুখ, গলা এবং জিহ্বা ফুলে যাওয়া।
  • বমি বা বমি বমি বোধ হওয়া।
  • ত্বকে লালচে ভাব।
ওপরের উল্লেখিত সমস্যা গুলি ছাড়াও আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনার রক্তে এলার্জির মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

রক্তে এলার্জির মাত্রা কত

আপনার যদি রক্তে এলার্জি ধরা পড়ে তাহলে সেটা পরীক্ষার করা প্রয়োজন কেননা এলার্জি এমন একটি রোগ যা কখনো সহজে শরীর থেকে যেতে চাই না তবে সাধারণ মাত্রায় যদি শরীরে এলার্জি থাকে তাহলে কোন অসুবিধা নাই আর যদি অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে এলার্জি থাকে তাহলে এটা বড় সমস্যা। আর এই বড় সমস্যা দূর করতে হলে বড় ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন হবে আর তার প্রথম ধাপ হচ্ছে পরীক্ষা।

আর এই পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে এলার্জির মাত্রা কত সেটা বোঝা যায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ক্ষেত্রে রক্তে এলার্জি সাধারণ মাত্রা ১২০ এর মধ্যে এবং ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০% এর নিচে।

রক্তে এলার্জি পরীক্ষা

সারা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ এলার্জির সমস্যায় ভুগছে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেকেরই হাঁচি-কাশি ইত্যাদি দেখা যায় আবার অনেকেরই ধুলাবালি ইত্যাদি থেকে হাত-পা, চোখ চুলকায় এলার্জি রক্ত পরিক্ষা করলে কি কারনে এলার্জি হচ্ছে সেটা বোঝা যায় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা সহজ হয়।

এলার্জির রক্ত পরীক্ষা আসলে কি? যে সকল পদার্থ আমাদের শরীরকে অতিরিক্ত উদ্দীপ্ত করে বিশেষ ধরনের এন্টি বডি উৎপাদন করে তাদের অ্যালার্জেন বলা হয় কোন অ্যালার্জেনের প্রভাবে কি পরিমান এন্টিবডি উৎপাদ্য হয়েছে সেটা এলার্জির রক্ত পরীক্ষার সাহায্যে পরিমাপ করা হয়। 
এই বিশেষ ধরনের অ্যান্টি বডির পরিমাণ প্রয়োজন অতিরিক্ত বেশি হলে আমাদের শরীর সহজেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং এলার্জির লক্ষণ দেখা যায়। এলার্জি রক্ত পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই খালি পেটে বা ভর্তি পেটে রক্তের নমুনা দেওয়া যেতে পারে তবে খালি পেটে রক্ত দেওয়া বেশি ভালো। 

সাধারণত হাতের শিরা থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রথমে বাহুতে একটি রাবার ব্র্যান্ড বাধা হয় এবং এরপর সিরিজ এর সাহায্যে রক্ত সংগ্রহ করা হয়। আগে আঙুলে সুচ লাগিয়ে রক্ত সংগ্রহ করা হত না তবে বর্তমানে এলার্জি টেস্ট করার জন্য পোর্টেবল যন্ত্র বাজারে এসে গিয়েছে সেখানে আঙুলে সুচ লাগিয়ে রক্ত সংগ্রহ করে এলার্জি রক্ত পরীক্ষা করা হয়।

আমাদের শেষ কথা

রক্তে এলার্জি দূর করতে হলে প্রথমে আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খাবার খেতে হবে ও বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ধুলাবালি ময়লা থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়া আপনার যেসব খাবার খেলে এলার্জি হয় সেই খাবারগুলি পরিহার করতে হবে তাহলে আপনি রক্তে এলার্জি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় এবং রক্তে এলার্জির লক্ষণ এছাড়া রক্তের এলার্জি দূর করার খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন। আমাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন এবং আর্টিকেল সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu 360 BD নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url