সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়? কিসের ঔষধ ও কাজ কি

আজকের এই আর্টিকালে সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয় এবং সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ সে সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। সিপ্রোসিন একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ যা আমরা সর্দি-কাশি, জ্বর, গনোরিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সিপ্রোসিন ব্যবহার হয়। তাই এই পোস্টে সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয় এবং সিপ্রোসিন ৫০০ এর কাজ কি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয় - সিপ্রোসিন ৫০০ এর কাজ কি
সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয় এবং সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ সে সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয় এবং সিপ্রোসিন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন চলুন তাহলে  সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ এবং সিপ্রোসিন ৫০০ এর কাজ কি তা জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচীপত্রঃ

ভূমিকা

আজকে যে প্রোডাক্ট নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব তার নাম হচ্ছে সিপ্রোসিন ৫০০ এটি সাধারণত যে সকল সমস্যাগুলো রয়েছে যেমনঃ মূত্রনালী সংক্রমণ বা শ্বসনতন্ত্রের নিম্নভাগের সংক্রমণ কিংবা অনেক ক্ষেত্রে অস্থি বা অস্থি সন্ধির সংক্রমণ বা পরিপাকতন্ত্র সংক্রমণের জন্য এই সিপ্রোসিন ৫০০ কাজ করে থাকে। তো আমরা সাধারণত একটি পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণজনিত চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই সিপ্রোসিন ৫০০ ব্যবহার করে থাকি।

আপনাকে যদি এই সিপ্রোসিন ৫০০ ওষুধটি কোন ডাক্তার খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকে কিংবা সিপ্রোসিন ৫০০ সম্পর্কে আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য কেননা এই পোস্টে সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয় এবং সিপ্রোসিন ৫০০ এর কাজ কি বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয় 

এই সিপ্রোসিন ৫০০ প্রোডাক্টটি সাধারণত বাজারজাত করে থাকে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড। সিপ্রোসিন সাধারণত ৫০০, ৭৫০ এবং ২৫০ মিলিগ্রামের হয়ে থাকে তো এখন যেটা নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে ৫০০ মিলিগ্রাম আর এই সিপ্রোসিন এর ভিতর রয়েছে সিপ্রোফ্লোক্সাসিন ৫০০ মিলিগ্রাম। 

এটি সাধারণত পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা যেগুলো রয়েছে যেমনঃ ডায়রিয়া, কলেরা, ডিসেন্ট্রি, বদহজম ইত্যাদির ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন ৫০০ খাওয়া হয়ে থাকে। তো চলুন সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়ে থাকে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 
  • মূত্রনালীর বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন দূর করে অর্থাৎ আমাদের মূত্রনালীতে যে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হয় সেই ইনফেকশন গুলো দূর করতে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • শ্বাসতন্ত্রের নিম্নভাগের সংক্রমণ বা ইনফেকশন দূর করে অর্থাৎ আমাদের শ্বাসতন্ত্রের নিম্নাংশে যেই বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হয় বা সংক্রমণ হয় সেগুলো দূর করে।
  • চর্ম ও নরম কলা সমূহের ইনফেকশন দূর করে। তো বিভিন্ন ধরনের আমাদের শরীরের চর্ম রোগ হয় সেগুলোতে পাশাপাশি বিভিন্ন আমাদের কোষ-কলার যে সংক্রমণ গুলো হয় সে সংক্রমণ দূর করতে ওষুধ কার্যকর হিসেবে কাজ করে।
  • পাশাপাশি অস্থি ও অস্থি সন্ধির সংক্রম দূর করে অর্থাৎ আমাদের যে হাড় এবং আমাদের যে জয়েন্ট গুলো আছে এগুলো যে ইনফেকশনগুলো হয় সে ইনফেকশনগুলো দূর করতে খুবই কার্যকরী একটি ওষুধ।
  • পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ বা ইনফেকশন দূর করতে কার্যকরী ওষুধ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ আমাদের পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হয় সংক্রমণ হয় এগুলোও দূর করে।
  • পাশাপাশি গনোরিয়া রোগ দূর করে এগুলোই প্রতিরোধ করতে সিপ্রোসিন ৫০০ খাওয়া হয়ে থাকে আশা করি আপনি সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয় তা সঠিক তা জানতে পেরেছেন।

সিপ্রোসিন ৫০০ এর কাজ কি

সিপ্রোসিন ৫০০ এটি সম্পর্কে জানার পূর্বে আগে আমাদের জানতে হবে এটি আমাদের কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে এই সিপ্রোসিন ৫০০ কাজ করে থাকে এটি সাধারণত ডায়রিয়ার যাদের রয়েছে কিংবা যাদের প্রসাব করার সময় জ্বালাপোড়া করে কিংবা মন্ত্রণালীর সংক্রমণ রয়েছে কিংবা যাদের অস্থি বা অস্থিসন্ধি সমস্যা রয়েছে কিংবা যাদের পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা আছে সে সকল ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন ৫০০ কাজ করে থাকে।

তোমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি ডায়রিয়াভিত্তিক সমস্যা যেগুলো রয়েছে অর্থাৎ পরিপাকতন্ত্র যে সকল সমস্যায় রয়েছে সে সকল ক্ষেত্রে এটি আমরা খেয়ে থাকি। পরিপাকতন্ত্রের সমস্যার মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া তো ডায়রিয়া কোন সমস্যা নয় এটি একটি লক্ষণ অর্থাৎ পরিপাকতন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণ হলে এই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। 

দেখা যায় যে অনেকেরই দিনে ৩ থেকে ৪ বারের বেশি পাতলা পায়খানা হয় সে ক্ষেত্রে রোগীর ডায়রিয়া হয়েছে বলে অনেক ক্ষেত্রেই ধারণা করা হয়ে থাকে তবে এ ডায়রিয়া অনেক ধরনের রয়েছে যেমনঃ কলেরা, ডিসেন্ট্রি, বদহজম এই সকল ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন ৫০০ কাজ করে থাকে। 

তো দেখা যায় যে অনেকেরই তীব্র পাতলা পায়খানা রয়েছে, রোগের প্রথম দিকে প্রচন্ড বমি হয় কিংবা অনেকের জোর থাকে না তবুও তল পেতে ব্যথা থাকে, পেট ফাঁপা থাকে না এ সকল ক্ষেত্রেও এই সিপ্রোসিন ৫০০ কাজ করে থাকে। তো এটি সাধারণত ভাইরাস জনিত ব্যাকটেরিয়াজনিত যে সকল সমস্যা রয়েছে সে সকল ক্ষেত্রে এই সিপ্রোসিন ৫০০ কাজ করে থাকে। তো আশা করি সিপ্রোসিন ৫০০ এর কাজ কি তা জানতে পেরেছেন।

সিপ্রোসিন ট্যাবলেট এর কাজ কি

সিপ্রোসিন ট্যাবলেট Fluoroquinolones গ্রুপের এন্টিবায়োটিক ওষুধ। সিপ্রোসিন ট্যাবলেট এগুলো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ হারিয়ে এবং ত্বকের সংক্রামন, বুকের, মুত্রনালীর বিভিন্ন জটিলতা (ইউ টি আই), কানের এবং চোখের এ ছাড়া অন্যান্য সংক্রমনের ক্ষেত্রে এই সিপ্রোসিন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। 
বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া শরীরে ছড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও সর্দি কাশি নানারকম ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে সিপ্রোসিন ট্যাবলেট টি ব্যবহার করা হয় এবং ডাক্তাররা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকে আশা করি বুঝতে পেরেছেন সিপ্রোসিন ট্যাবলেট এর কাজ কি।

সিপ্রোসিন কেন খাওয়া হয়

আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা সিপ্রোসিন কেন খাওয়া হয় সেজন্য এই অংশে আমরা আপনাদের জানাবো সিপ্রোসিন কেন খাই এবং কি কি সমস্যার জন্য মানুষ খেয়ে থাকে। এই ওষুধটি অনেক উপকারিতা হয়েছে এবং বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে বেশ সহায়তা করে। 

এই এন্টিবায়োটিক ওষুধটি মূলত ব্যাকটেরিয়া থেকে সৃষ্টি সংক্রমণ এর চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।যেমনঃ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাড়ের সমস্যা, জয়েন্টে সমস্যা, খিচুনি, মানসিক অসুখ এবং রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ার কারনেও সিপ্রোসিন খেয়ে থাকে আশা করি বুঝতে পেরেছি সিপ্রোসিন কেন খাওয়া হয়।

সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ

সিপ্রোসিন ট্যাবলেট এই ট্যাবলেটটির অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ওষুধটি গনোরিয়া এবং টাইফয়েড জ্বর গুরুতর সংক্রমণ রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও মূত্রনালীর, ব্রঙ্কাইটিস বা সাইনাস সংক্রমণের জন্য ব্যবহার করা হয়। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ সেই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তালিকা অনুসারে উল্লেখ করা হলো।
  • হাড়ের সমস্যা
  • পেটের সমস্যা
  • ডায়রিয়া
  • সর্দি-কাশি
  • গনোরিয়া
  • টাইফয়েড জ্বর
  • চুলকানি
  • এলার্জি
  • হাত-পা ফোলা ভাব
  • ফুসকুড়ি
  • কিডনি এবং মূত্রনালীর
  • প্রোস্টেট অর্থাৎ পুরুষ জনিত সমস্যা
  • ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টি সংক্রমণ প্রতিরোধে
ওপরের উল্লেখ কিন্তু সমস্যা গুলো যদি আপনার ভিতর থেকে থাকে তবে সিপ্রোসিন ট্যাবলেট খেতে পারেন তবে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তার আগে কখনোই দোকান বা ফার্মেসী থেকে কিনে ওষুধটি খাবেন না। আশা করি সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ জানতে পেরেছেন।

সিপ্রোসিন খাওয়ার নিয়ম এবং ডোজ

আমরা অনেকেই সর্দি কাশি, টাইফয়েড জ্বর ইত্যাদি কারণে সিপ্রোসিন ট্যাবলেট টি খেয়ে থাকি কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা সিপ্রোসিন খাওয়ার নিয়ম এবং ডোজ সম্পর্কে জানি না। তাই একজন ডাক্তারি ভালো বলতে পারে সিপ্রোসিন খাওয়ার সঠিক নিয়ম। 

তাও অংশে আপনাদের সিপ্রোসিন খাওয়ার নিয়ম জানানোর চেষ্টা করব এবং আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন ওষুধটি। ওষুধটি কেটে বা চুষে খাওয়া যাবেনা এক গ্লাস পানি নিয়ে গিলে খেয়ে নিতে হবে।
মূত্রনালীর এবং কিডনি সমস্যার জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের ২৫০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম সিপ্রোসিন ৭ থেকে ১৪ দিন দিনে ২বার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। এবং শিশুদের ক্ষেত্রে শিশুর শরীর ওজনের ওপর নির্ভর করে ডাক্তার নির্ধারণ করে কতটুকু মাত্রা ওষুধ গ্রহণ করা উচিত তা নির্ধারণ করা হয়। 

কেজিতে ১০ থেকে ২০ মিলিগ্রাম দেওয়া হয়ে থাকে এবং ডোজ ৭৫০ মিলিগ্রামের বেশি দেওয়া হয় না। তাই সিপ্রোসিন ট্যাবলেট খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। আশা করি সিপ্রোসিন খাওয়ার নিয়ম জানতে পেরেছেন।

সিপ্রোসিন ৫০০ কিসের ঔষধ

অনেকেই সিপ্রোসিন ৫০০ কিসের ঔষধ তা জানতে চেয়ে থাকেন তাদের সুবিধার্থে বলছি সাধারণত এই সিপ্রোসিন ওষুধটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে যাদের প্রসাব বা মূত্রথলির ইনফেকশন রয়েছে সেই ইনফেকশন দূর করার জন্য সিপ্রোসিন ৫০০ ওষুধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এই সিপ্রোসিন ওষুধটি যাদের টাইফয়েড জ্বর হয়েছে এই টাইফয়েড জ্বর নিরাময়ের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

মূত্রথলি সংক্রমণ ও গনোরিয়া, শ্বাসতন্ত্রের নিম্নভাগের সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই সিপ্রোসিন ওষুধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও চর্ম ও নরম কলার সংক্রমণ অস্থি ও অস্থি সন্ধির সংক্রমণ, পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ এই সংক্রমণ নিরাময়ের ক্ষেত্রে একটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া প্রসাবে এক লাই, সিভেলা ও ভেজলি ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশনের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ব্যবহার হয়ে থাকে। আশা করি এবার জানতে পেরেছেন সিপ্রোসিন ৫০০ কিসের ঔষধ।

সিপ্রোসিন এর দাম কত

সিপ্রোসিন ২৫০, ৫০০, ৭৫০ এমজি হয়ে থাকে। এবং এটি ট্যাবলেট আকারে হয়ে থাকে ক্যাপসুল হয় না। এটি আপনারা বিভিন্ন দোকান ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন এরপর বর্তমান মূল্য হল।
  • সিপ্রোসিন ২৫০ এমজি প্রতি পিচ ৯ টাকা
  • সিপ্রোসিন ৫০০ এমজি প্রতি পিচ ১৫ টাকা
  • সিপ্রোসিন ৭৫০  এমজি প্রতি পিচ ১৮ টাকা

সিপ্রোসিন কত দিন খেতে হয়

সাধারণত সিপ্রোসিন একটি এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট তাই এর ডোজ অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৭-১৪ দিনের জন্য খেতে দেওয়া হয়। এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এটি তার ওজনের ওপর এবং বয়সের উপর নির্ভর করে এবং এটি একজন ডাক্তারই ভালো বলতে পারে। তাই ওষুধটি খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 

সিপ্রোসিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সিপ্রোসিন খেলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা দিতে পারে তাই এই অংশে আমরা সিপ্রোসিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। চলুন তাহলে সিপ্রোসিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। সিপ্রোসিন খাওয়ার পর মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, ক্লান্ত শরীর, মুখ শুকিয়ে যাওয়া অনুভব হতে পারে। 
এই ওষুধটি খাওয়ার পর আপনি কখনো গাড়ি চালাবেন না এক কথায় এমন কিছু করবেন না যাতে বেশি মনোযোগ প্রয়োজন হয়। অ্যালকোহল পান করা থেকে এড়িয়ে চলুন। কিডনি বা হার্টের সমস্যা থাকলে ডাক্তারকে জানাতে হবে। এছাড়াও যদি বেশি উদ্বিগ্ন মনে হয় তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

শেষ কথা

এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয় ও সিপ্রোসিন ৫০০ এর কাজ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম এছাড়াও সিপ্রোসিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া,  খাওয়ার নিয়ম, সিপ্রোসিন ৫০০ কিসের ঔষধ সবকিছু জানিয়েছি। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়েছেন। পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে তারাও জানতে পারে। 

আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনি ওষুধটি ভরা পেটে খাবেন এবং একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। আরো ওষুধ সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত চোখ রাখতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu 360 BD নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url