কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা ও উপায় বিস্তারিত জেনে নিন

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা কি কি লাগে সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি কানাডা যাওয়ার জন্য অতি আগ্রহী হয়ে থাকেন কিন্তু কানাডা যাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন তা জেনে না থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য এই আর্টিকেলে কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে এবং কানাডা যাওয়ার খরচ কত এ সকল বিষয়ে আলোচনা করব।
কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা ও উপায় বিস্তারিত জেনে নিন
মনে করেন যে আপনি কানাডায় যেতে চান যেই পদ্ধতিতে যেতে চান যে ওয়েতে যেতে চান সেই ওয়েতে আপনার যে যোগ্যতা প্রয়োজন সেই যোগ্যতা যদি আপনি পূরণ করতে পারেন তাহলে কেনাডা যাওয়া খুবই সহজ অন্যান্য দেশের তুলনায়। আপনি যদি কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা কি কি লাগে সে সম্পর্কে না থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

এছাড়াও এই আর্টিকেলে স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার উপায় এবং কানাডা যাওয়ার খরচ কত সেই সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে তাই এই সকল সম্পর্কে জানতে হলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ

কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি

আপনি যদি কানাডায় যেতে চান এবং কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানতে হবে কানাডা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম ভিসা রয়েছে যা এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো চলুন তাহলে কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি মধ্যে কি কি ভিসা রয়েছে যেগুলো মাধ্যমে আপনি কানাডা যেতে পারবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।


কানাডা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকমের ভিসা রয়েছে এবং কানাডা ভিসা ৫ প্রকার তা হলঃ-
  1. কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  2. কানাডা স্থায়ী বাসিন্দা ভিসা
  3. কানাডা স্টাডি ভিসা
  4. কানাডা টেম্পোরারি ভিসা
  5. কানাডা শ্রমিক ভিসা

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার যোগ্যতা

যারা সাধারণ ওয়ার্কার জেনারেল ওয়ার্কার হিসেবে সৌদি এবং মালয়েশিয়া যাওয়া যায় তারা কিন্তু কানাডায় সেই ভাবে যাওয়া যায় না সেফ বা বাবুর্চি, কার্পেন্ট, ওয়েল্ডার, ওয়ার হাউজের চাকরি এমন যে কাজগুলো রয়েছে জেনারেল ওয়ার্কার ভিসা যেগুলো সেগুলোতে কানাডায় যেতে হলে কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয় তা হল

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন
  1. জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে।
  2. জন্ম নিবন্ধন পত্র থাকতে হবে।
  3. নূন্যতম এসএসসি অথবা এইচএসসি পাস হতে হবে
  4. Ielts পাস সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
  5. পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  6. আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত বাধ্যতামূলক লাগবে।
  7. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে।
  8. কাজের দক্ষতা সার্টিফিকেট লাগবে।
  9. কানাডা ভিসার জন্য অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম লাগবে।
  10. করোনা ভাইরাসের সার্টিফিকেট।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা

আপনি যদি কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন তাছাড়া আপনি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন না। কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন তা নিচে উল্লেখ করা হলো।

  1. একটি ডিজিটাল বৈধ পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে।
  2. Ielts পরীক্ষায় মিনিমাম ৬ স্কোর সার্টিফিকেট লাগবে।
  3. এপ্লিকেশন ফর্ম লাগবে।
  4. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে।
  5. কানাডায় থাকা খাওয়া এবং পড়াশোনা খরচ চালানোর জন্য ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে।
  6. শারীরিক সুস্থতার মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
  7. এসএসসি অথবা এইচএসসি এবং ডিপ্লোমা পাশের সার্টিফিকেট সহ সত্যায়িত লাগবে।
  8. কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা অ্যাপ্লিকেশনের ১৫০ ডলার ফি প্রদান করতে হবে।
  9. কানাডা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফার লেটার প্রমাণ স্বরূপ দেখাতে হবে।
  10. করোনাভাইরাসের টিকা সার্টিফিকেট।

কানাডা ভিজিট ভিসার যোগ্যতা

আপনি যদি কানাডায় বেড়াতে যেতে চান অথবা বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা প্রয়োজন হয়। তাই আপনাদের সুবিধার্থে কানাডা ভিজিট ভিসার যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন সেগুলি নিচে উল্লেখ করলাম।
  1. একটি ডিজিটাল বৈধ পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে।
  2. জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
  3. কানাডা ভিজিট ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম।
  4. পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি লাগবে।
  5. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত করা লাগবে।
  6. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে।
  7. কানাডা থাকার খরচ চালানোর মতো ব্যাংকে ব্যালেন্স দেখানো লাগবে।
  8. করোনা ভাইরাসের সার্টিফিকেট লাগবে।
  9. পূর্বে কোন দেশ ঘুরে থাকলে তার ডকুমেন্টস লাগবে তাহলে ভিসা দ্রুত পাওয়া যাবে।
  10. জন্ম নিবন্ধন পত্র লাগবে।
  11. হোটেল বুকিং এর কাগজপত্র দেখানো লাগবে।

কানাডা শ্রমিক ভিসার যোগ্যতা

  1. একটি বৈধ ডিজিটাল পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  2. পাসপোর্ট সাইজের সব রঙিন ছবি লাগবে।
  3. ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম লাগবে।
  4. সর্বনিম্ন এসএসসি পাস হওয়া লাগবে।
  5. কাজের দক্ষতা সার্টিফিকেট দেখানো লাগবে।
  6. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে।
  7. কানাডায় থাকা খাওয়া খরচের জন্য প্রমাণস্বরূপ ব্যাংকে ব্যালেন্স দেখানো লাগবে।

কানাডা যাওয়ার খরচ কত

কানাডা যাওয়ার খরচ মূলত ভিসার ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে অর্থাৎ আপনি কোন ভিসাতে কানাডা যাচ্ছেন সেটার উপর আপনার খরচ নির্ভর করে। সেজন্য কানাডা যাওয়ার খরচ কত পড়বে আপনাদের
কে শুধুমাত্র আইডিয়া দেওয়ার জন্য অনুমানিক খরচ কত পড়বে তা বিস্তারিত আলোচনা করব।

স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা আসার জন্য আপনাকে প্রমাণস্বরূপ ব্যাংকে একাউন্টে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দেখানো লাগে এবং ভিসা এবং যাতায়াত খরচ ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ পড়ে যায়। এবং আপনি যদি কানাডায় টুরিস্ট ভিসায় যান সে ক্ষেত্রে আপনার ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

এবং এই টুরিস্ট ভিসায় ৩ থেকে ৬ মাস অবস্থান করতে পারবেন। আর যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অর্থাৎ বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে কানাডায় যান সেজন্য আপনাকে ব্যাংকে মিনিমাম ১০ লক্ষ টাকা ব্যালেন্স দেখাতে হবে এবং কানাডায় জব ভিসায় প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়।

স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার উপায়

আপনি যদি কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান বা কানাডায় পড়ালেখা করতে চান তাহলে আপনার এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো রেজাল্ট সেইসাথে আপনার এখানে পড়ার যে সক্ষমতা অর্থাৎ ফিনান্সিয়াল ক্যাপাসিটি সেটা আপনার থাকতে হবে আর সেইসাথে আপনার ইংরেজির উপর দক্ষতা অর্থাৎ Ielts থাকতে হবে। 

তো স্বাভাবিকভাবে Ielts খুব বেশি পেতে হবে কানাডায় আসতে হলে তা কিন্তু নয় Ielts স্কোর ৫.৫ অথবা ৬ পয়েন্ট হলেই আপনি কানাডায় যে কোন ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করতে পারবেন যার মাধ্যমে পেতে পারেন কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার সুযোগ।


স্টুডেন্ট ভিসায় আসার জন্য অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে নূন্যতম ৫ লক্ষ টাকা আপনার প্রয়োজন হবে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আসতে চান তাহলে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগবে বা আপনার যদি যোগ্যতা কম থাকে Ielts স্কোর কম থাকে তাহলে আপনার টাকার পরিমান টা বেশি দেখাতে হবে তো এটা একেকজনের জন্য একেক রকম আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী ইউনিভার্সিটি ঠিক করতে হবে।

আপনাকে অনেকগুলো ইউনিভার্সিটির মধ্য থেকে সিলেক্ট করতে হবে যে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কোন ইউনিভার্সিটি আছে সেই জায়গায় যদি আপনি আবেদন করেন তাহলে আপনার এডমিশন অফার পাওয়ার এবং ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

এখন আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অনার্স করে মাস্টার্স বা পিএইচডি করার জন্য আসতেছেন তাহলে কিন্তু অন্যভাবে আসতে হবে অর্থাৎ আপনার ইউনিভার্সিটির ছাড়া ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্টে আপনাকে প্রফেসর খুঁজতে হবে।

অথবা প্রফেসর কাছে ইমেইল করে জানতে হবে যে উনি স্টুডেন্ট লিবে কিনা। এছাড়া বিভিন্ন এজেন্সি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনারা কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় আসতে পারবে আশা করি স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার উপায় গুলো বুঝতে পেরেছি।

আমাদের শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা কি কি লাগে সেই সম্পর্কে আপনাদের জানিয়েছি আপনারা যদি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট, স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিট ভিসা এবং শ্রমিক
ভিসা হাসতে চান তাহলে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে সেগুলি আপনাদেরকে জানিয়েছি 

এর পাশাপাশি কানাডা যাওয়ার খরচ কত হবে এবং স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে কিছু ধারনা দিয়েছি। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। আপনার যদি এই আর্টিকেল পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন 

আর এইরকম বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে প্রতিনিয়ত ভিজিট করতে পারেন। আপনার যদি কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu 360 BD নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url