কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় এবং ডিম দেয় জানুন

আমাদের বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রান্তে শখের জন্য কবুতর পালন করে থাকে। কবুতর পালনকে শখের প্রাণী বলা যেতে পারে। যারা শখের জন্য কবুতর পালন করে থাকেন তাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় এবং কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় ইত্যাদি। এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আজকের এই আর্টিকেলে।

কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় এবং ডিম দেয় জানুন

আপনি যদি কেনাবেচা করার জন্য কবুতর পালন করেন অথবা শখের জন্য কবুতর পালন করে থাকেন কিন্তু কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় এবং কোন জাতের কবুতর পালন লাভজনক এ সম্পর্কে যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার জন্য 

কেননা এই আর্টিকেলে কি খাওয়ালে কবুতরের বেশি ডিম দেয় এবং কোন জাতের কবুতর পালন করলে বেশি বাচ্চা দেয় এই সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব তাই এ সকল সম্পর্কে জানতে হলে এই আর্টিকেল পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ 

কবুতর পালনে লাভ কেমন 

বিভিন্ন গৃহপালিত পাখিদের মধ্যে কবুতর অত্যন্ত জনপ্রিয়। কবুতরের সৌন্দর্যের জন্যই মূলত অনেকেই কবুতর পালন করে থাকে। ১০ হাজার বছর থেকেই মানুষের কাছে কবুতর একটি জনপ্রিয় প্রাণী। অনেকে আছেন যারা কবুতর পালন করার কথা ভাবছেন কিন্তু কবুতরে লাভ এবং লস কেমন সে সম্পর্কে জানেন না। 

কবুতর পালন করার বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে যা এই অংশে আপনাদের জানাবো। প্রথমত কবুতর খুব সহজেই পোষ মানে এবং কবুতর একটি গৃহপালিত পাখি। কবুতর মাত্র ৬ মাস বয়স থেকে ২ জোড়া করে বাচ্চা দেওয়া শুরু করে এবং বছরে প্রায় ১১ থেকে ১২ জোড়া বাচ্চা দিয়ে থাকে। কবুতর অন্য পাখিদের তুলনায় খুবই তাড়াতাড়ি বংশবিস্তার করে।
বাড়ির উঠান বা ছাদে অথবা ঘরে খুব সহজেই অল্প জায়গায় কবুতর পালন করতে পারবেন। কবুতরের ডিম থেকে বাচ্চা উঠতে খুব বেশি সময় লাগে না মাত্র ১৭ থেকে ১৮ দিনের মধ্যেই কবুতরের ডিম থেকে বাচ্চা উঠে যায়। কবুতরের ঘর আপনি খুব সহজেই এবং খুব অল্প খরচেই তৈরি করতে পারবেন। 

কবুতর খাবার খাই খুবই কম তাই বলা যেতে পারে খাদ্য খরচও আপনার খুব কম হবে এছাড়া কবুতর নিজের খাবার নিজেই সংগ্রহ করে সুতরাং আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করা লাগবে না এই কবুতর খাবার কেনার জন্য। কবুতরের মাংস কিন্তু খুবই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু শুধু তাই নয় এই যাদের শরীরে রক্ত কম রয়েছে তারা যদি কবুতরের ছোট বাচ্চার মাংস খায় তবে সরিয়ে রক্ত বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে এই কবুতরের মাংস এর কারণেই বিভিন্ন ডাক্তাররা রোগীকে কবুতরের মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কবুতরের বাচ্চা বাজারে খুব বেশি চাহিদা রয়েছে। আপনি চাইলে মাত্র ১ মাসের বাচ্চাকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা জোড়া হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন। 

কবুতর পালন খুবই আনন্দদায়ক যারা পালন করে তারাই একমাত্র জানে। কবুতর পালন করে খুবই অল্প টাকায় এবং অল্প সময়ে লাভবান হওয়া যায় তাই আপনি যদি কবুতর পালন করেন তাহলে সবদিক থেকেই লাভবান হবেন বলা যেতে পারে।

কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়

অনেকে হয়তো জানেন আবার অনেকেই হয়তো জানেন না কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়। আমরা যারা কবুতর লালন পালন করি অনেক সময় দেখি যে কিছু কবুতর বাচ্চা সঙ্গে থাকা অবস্থায় ডিম দিয়ে দেয় আবার অনেক কবিতার আছে বাচ্চা বড় হওয়ার এক দেড় মাস পরও বাচ্চা দেয় না অর্থাৎ ডিম দেয় না বা ডিম দেয়ার কোন প্রস্তুতি নেয় না। 

অনেক কবিতা আছে যেগুলা বাচ্চা থাকা অবস্থায় ডিম দিয়ে দেয় এবং বেশি বেশি ডিম দেয় যার সেটা মূলত নির্ভর করে কিছু জাতের উপর যেমন গিরিবাজ কবুতর খুব বেশি ডিম বাচ্চা দেয়। গিরিবাজ কবুতর গুলা সাইজে ছোট হলেও তাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি থাকে।

এবং অনেক দূর পর্যন্ত উড়তে পারে যার কারণে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে এই কারণে গিরিবাজ কবুতর গুলা ডিম একটু বেশি দেয় ফলে বাচ্চাও বেশি হয়। গিরিবাজ কবুতর গুলা সাইজের ছোট হলেও অনেক সময় দেখা যায় অন্য বড় জাতের কবুতরের বাচ্চাগুলা তাদের নিচে দেন 

যেমন কিং কবুতর, সিরাজী কবুতর এই বড় জাতের কবুতরের বাচ্চা গুলো যদি গিরিবাজ কবুতরের পেটে তলে দেন তাহলে বাচ্চাগুলোকে খাবার খাওইয়ে খুব দ্রুতবড় বড় করে তুলতে পারে তাহলে বুঝতে পেরেছেন গিরিবাজ কবুতরের এরকম এনার্জি। 

গিরীবাজ কবুতর এবং জালালী জাতের কবুতর যেগুলো আছে বিশেষ করে জালালী জাতের কবুতর প্রচুর পরিমাণে ডিম দেয় যার কারণে বাচ্চা বেশি দেয় এবং জালালী জাতের কবুতর ডিম এবং বাচ্চা নষ্ট করে কম এবং বাচ্চার বয়স যদি ১৫ দিন হয় তাহলে ১৫ দিনের পরেই আবার ডিম দিতে শুরু করে।

তাহলে এ দিকগুলো যদি দেখা হয় তাহলে জালালী জাতের কবুতর গুলো অনেক ভালো। তো জালালী জাতের কবুতর গুলো গিরিবাজ কবুতর জাতের মধ্যেই পড়ে মনে হয় তো এই কবিতোর গোলা একটু বেশি ডিম বাচ্চা দিয়ে থাকে।

কোন জাতের কবুতর পালন লাভজনক

এই অংশে একজন খামারির ক্ষেত্রে কোন জাতের কবুতর পালন লাভজনক হবে এবং কোন প্রক্রিয়া পালন করলে একজন খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আগে কবুতরের খাবারের দাম যেহেতু কম ছিল তাই দেশি কবুতর পালনে অনেক লাভ হত কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে খাবারের দাম অনেক বেশি কিন্তু দেশি কবুতরের বাচ্চার দাম অনেক কম তাই দেশি কবুতর পালনে তেমন একটা লাভ হয় না।
আর ফেন্সি জাতের কবুতরগুলো যদি পালন করা হয় তাহলে ডিম বাচ্চা ভালো পরিমাণে দেয় এবং এর বাচ্চাগুলোর দাম অনেকটা বেশি দেশি কবুতরের তুলনায় তাই ফেন্সি জাতের কবুতর পালনে লাভজনক বলা যেতে পারে। দেশি এবং ফেন্সি কবুতরের ঝুঁকির কথা বলতে গেলে কবুতরের লক্ষণ ধরে ঠিকমত চিকিৎসা করা হয় তাহলে কবুতরের ঝুঁকি নেই বললেই চলে।

তবে বিশেষ করে কবুতরের ঠান্ডা যদি বোঝা যায় তাহলে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায় তাহলে রোগ তেমন থাকে না আর যদি এইসব লক্ষণ যদি বোঝা না যায় তাহলে খামারিরা যেকোনো জাতের কবুতর পালনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই কবুতর পালনে লাভজনক হতে হলে প্রতিটা খামারিদেরকে সতর্ক থাকতে হবে কবুতরের যেন ঠান্ডা না লাগে কারণ কবুতরের মূল রোগী হল ঠান্ডা লাগা।

কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়

যারা কবুতর পালন করার চিন্তা-ভাবনা করছেন অথবা যারা আগে থেকেই কবুতর পালন করছেন তারা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়। আমরা সাধারণত কবুতরকে গম খাওইয়ে থাকি এর পাশাপাশি ভুট্টা, কলি, শস্য ইত্যাদি এই জাতীয় খাবার খাওইয়ে থাকি 

তো এই খাবার গুলোর পাশাপাশি আপনারা কোন খাবার কবুতরকে খাওয়াবেন যাতে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় সে সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।।

১. গ্রিড
আপনি কবুতরকে গ্রিড খাওয়াতে পারেন। গ্রিড কবুতরের জন্য খুবই উপকার এবং কবুতর এটি খেতে খুবই পছন্দ করে।

২. মাটি
আপনি যদি কবুতরকে ছেড়ে পালন করেন তাহলে আশেপাশে যে মাটি থাকে সেটি কবুতরের খেয়ে থাকে কারণ মাটি কবুতরের স্বাস্থ্যর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কবুতর মাটি খেতে পছন্দ করে। তাই চেষ্টা করবেন কবুতরকে ছেড়ে পালন করা যাতে মাটি খেতে পারে।

৩. গাছ
আপনি যেখানেই কবুতর পালন করেন না কেন সেখানে কিছু চারা গাছের মতো শাকসবজি ধরনের গাছ লাগিয়ে রাখবেন যেমন মিষ্টি কুমড়ার গাছ ইত্যাদি যেসব কাজগুলো আছে সেগুলো কবুতরের পালনের জায়গার পাশে রাখতে পারেন কারণ কবুতর বিভিন্ন গাছের পাতা খেয়ে থাকে এটি অনেক উপকারী।

বাজারে কবুতর ডিম পাড়ানোর বিভিন্ন রকম ওষুধ কিনতে পাওয়া যায় সেগুলি কখনোই কবুতরকে
খাওয়াবেন না কারণ কবুতর ঠিকই ডিম পারবে কিন্তু ডিম থেকে বাচ্চা উঠবে না তাই চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিক জিনিস খাওয়ানো যেমন গম, শস্য, ধান, গ্রিড, ঘাস ইত্যাদি।

গিরিবাজ কবুতর চেনার উপায়

আপনি কি নতুন কবুতর পালন করা শুরু করেছেন? কিংবা আপনি কি কবুতর পালন করার জন্য পরিকল্পনা করছেন তাহলে প্রথমে আপনাকে কবুতর চিন্তা হবে তাই এই অংশেই আমরা আপনাদের গিরিবাজ কবুতর চেনার কয়েকটি উপায় জানাবো। 

১. সবুজ গলা গিরিবাজ কবুতর
গিরিবাজ কবুতর গুলা সবুজ এবং চাকচিক্য ময় থাকে। ডানা ও পিঠ দেখতে সাদা রঙের হয় মাঝে মাঝে কালো রঙের হয়ে থাকে। এই গিরিবাজ কবুতরের ডানার পালক ২ ধরনের হয়ে থাকে, এদের চোখের মনি কালো হয় এবং মনির চারপাশে বিত্ত আকারে সাদা হয়। যে কবিতর গুলার মনি যত ছোট হয় তত ভালো পারফরম্যান্স দেখায়।

২. জিরা গলা গিরিবাজ কবুতর
এই কবুতর গুলার গলা জিরার মত সবুজ এবং চাকরির ময় হয়ে থাকে এই অন্যতম বৈশিষ্ট্যের কারণে সাধারণ গিরিবাজ থেকে আলাদা নামকরণ হয়েছে। ডানা এবং পিঠ ধবধবে সাদা হয়ে থাকে। এই কবিতরের চোখের মনি কালো থাকে এবং চোখের মনি চারপাশে বিত্ত আকারে পরিষ্কার সাদা থাকে। যে কবুতরের মনে যত ছোট তত ভালো পারফরম্যান্স দেখায়।

৩. বাঘা গিরিবাজ কবুতর
এই কবুতরের গুলাও সবুজ এবং চাকচিক্য ময় ভাবে থাকে ডানা ও পিঠে ধূসর রঙের ছাপ দেখতে পাওয়া যায় মাঝে মাঝে কালো অথবা ধূসার রঙ্গের পালক থাকে। এদের ডানার শেষের ১০টি পালক কালো হয়ে থাকে। ডানার মাঝামাঝি কালো রংয়ের চেক থাকে। এদের চোখের মনি কালো থাকে এবং চোখের চারপাশে বিত্ত আকারে সাদা হয়ে থাকে। 

৪. কালো মশালদমম গিরিবাজ কবুতর
গিরিবাজের এই কবুতরগুলো লেজে দশটি পালক ধবধবে সাদা হয়ে থাকে এবং সম্পূর্ণ বাকি শরীর কালো হয়ে থাকে এই অন্যতম বৈশিষ্ট্যের কারণে সাধারণ গিরিবাজ কবুতরের থেকে আলাদা কালো মশালদমম নামকরণ করা হয়েছে। এই কবুতর গুলোর গলা চাকচিক্য ময় এবং সবুজ হয়ে থাকে। সকল গিরিবাজ কবুতরের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো এদের ঠোট চিকন ও মাঝারি আকৃতির হয়ে থাকে।
৫. ঘিরা ছুল্লি গিরিবাজ কবুতর
এই ঘিরা ছুল্লি কবুতর গুলার সম্পন্ন শরীর গিয়া রঙের হয়ে থাকে অর্থাৎ হলুদ রংয়ের কাছাকাছি। অন্যান্য গিরিবাজ কবুতর মতনিই এদেরও একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে ঠোঁট চিকন এবং মাঝারি আকৃতির হয়। চুইঠাল ও ন্যাড়া এই দুই ধরনের ঘিরা ছুল্লি বা ঘিয়া ছুল্লি কবুতর দেখতে পাওয়া যায়।

৬. লাল ছুল্লি গিরিবাজ কবুতর
এই গিরিবাজ কবুতরগুলো সম্পূর্ণ শরীর লাল রঙের হয়ে থাকে তবে কিছু কিছু লাল ছুল্লি কবুতরের লেজ বা দমের শেষ অংশ হালকা ধূসর রঙের হয়। এই কবুতরগুলোর ঠোঁট চিকন হয়ে থাকে। চুইঠেল ও ন্যাড়া এই দুই ধরনের লাল ছুল্লি কবুতর দেখতে পাওয়া যায়।

৭. লাল চিলা গিরিবাজ কবুতর
এই কবুতর গুলার সম্পন্ন শরীর কালচে লাল রঙের হয়ে থাকে। তবে লাল চিলা নাম হলেও এই কবুতরগুলো লেজের ১০টি পালক বা দম এবং পাখার শেষের ১০টি পালন কুচকুচে কালো হয়ে থাকে। এদের চোখের মনি কালো হয়ে থাকে এবং মনির চারপাশ বৃত্ত আকারে মুক্তার মত সাদা থাকে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় এবং কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এর পাশাপাশি গিরিবাজ কবুতর চেনার ৭টি উপায় আপনাদের জানিয়েছি আশা করি আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।

এই পোষ্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন এবং এরকম নিত্য নতুন বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে প্রতিনিয়ত চোখ রাখতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu 360 BD নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url