অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম-কানুন জেনে নিন

আপনি কি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেতে চান? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য এই আর্টিকেলে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম-কানুন এবং অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ার একজন অবৈধ প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য নাগরিকত্ব পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম-কানুন জেনে নিন
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম-কানুন চালু করেছে যার মধ্যে ভারত, আরাপুর, তাসমান এবং বাংলাদেশীদের জন্য রয়েছে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ তাই যারা অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার কথা ভাবছেন বা আগে থেকেই আছেন অবৈধভাবে তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ।

তাই যারা অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ হওয়ার উপায় এবং অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

নাগরিকত্ব সনদপত্র কি

নাগরিকত্ব এমন একটি লিখিত দলিল যা কোন রাষ্ট্রের বাসিন্দা প্রমাণ পত্র। এই নাগরিকত্ব থাকলে দেশের সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নাগরিকরা ভোগ করতে পারে তাই এই নাগরিক সনদপত্র ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি কোন দেশে ব্যবসা বা চাকরি করতে চান তাহলে তার আগে সেই দেশের নাগরিক সনদপত্র দেখাতে হবে তাছাড়া আপনি কাজ করতে পারবেন না।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম-কানুন

অস্ট্রেলিয়ার ৫০ হাজার বছর ধরে চলে আসা নিয়ম-কানুন এখন একটু আলাদা রূপ নিয়েছে।অস্ট্রেলিয়ার তাসমান, প্রবাল সাগর,  তিমুর, আরাফুরা এইসব জেলাগুলোতে বাংলাদেশীদের স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ করেছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার। 
তাই আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া যেতে চান এবং স্থায়ী বসবাস করতে যান তাহলে মাইগ্রেশন আইন অনুসারে আবেদন করতে হবে তাহলে আপনি সহ আপনার পরিবার অস্ট্রেলিয়া স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন। চলুন তাহলে এবার অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম-কানুন গুলি জেনে নেওয়া যাক।

১. অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার বয়স সীমা 
অস্ট্রেলিয়ায় স্কিলড প্রোগ্রামে আবেদন করার জন্য আপনার বয়স ৬০ বছরের নিচে হতে হবে এবং
এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট সাবমিট করতে হবে তারপরে ইনভাইটেশন আসলে মূল আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। 

২. অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা
অস্ট্রেলিয়ায় নাগরিক তো পাওয়ার জন্য আপনাকে মিনিমাম ৩-৪ বছরের অনার্স এবং ১-২ বছরের মাস্টার্স কমপ্লিট করা থাকলে আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীকে অবশ্যই আইইএলটিএস পরীক্ষায় ৬ ওপরে স্কোর থাকা লাগবে।

৩. অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার পেশা
চিকিৎসক, তথ্য প্রযুক্তি, কর্মী, অডিটর, নার্স, ব্যাংকার, শিক্ষক, স্থপতি, অডিটর ইত্যাদি পেশায় আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন।

৪. অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার কাজের অভিজ্ঞতা
আবেদন করার আগে প্রথমেই মনে রাখবেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক সনদ পাওয়ার জন্য মিনিমাম তিন থেকে পাঁচ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাইরে আপনার যেকোনো ডিগ্রী থাকুক না কেন আপনার যদি কাজের কোন অভিজ্ঞতা না থাকলে আবেদন করে কোন লাভ নেই। আশা করি আপনি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম-কানুন গুলি জানতে পেরেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

অনেকে আছেন যারা অস্ট্রেলিয়ার যারা নাগরিক হতে চান। ১৯৪৯ সাল থেকে এই পর্যন্ত মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে অস্ট্রেলিয়ার অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। রুবি ফৌদার অস্ট্রেলিয়ায় ইমিগ্রেশন এজেন্সিতে কাজ করেন তিনি বলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেতে হলে প্রথমে আপনাকে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট নিতে হবে। 
আর এই পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট নিতে হলে মিনিমাম ৪ বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতে হবে। পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট পাওয়ার এক বছর পর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাবেন। এবং অফ হোম অ্যাফেয়ার্স জানান যদি অনলাইনে আবেদন করা হয় সেই ক্ষেত্রে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয়। আর এই আবেদন প্রক্রিয়াকরণে ১৪ মাস সময় লেগে যায়। 

এবং আবেদনকারী অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার সিটিজেন পরীক্ষায় পাশ করতে হবে এই পরীক্ষায় পাশ করার জন্য আপনাকে ৭৫ নম্বর পেতে হবে আর যদি আপনি এই পরীক্ষায় ফেল করেন তাহলে সেদিনই আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন।

অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ হওয়ার উপায়

অনেকেই বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে থাকেন তারপর সেখানে বৈধ হওয়ার কোন উপায় পান না এবং কাজও পান না হতাশার ভুগতে হয় তাই অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ হওয়ার উপায় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ হয়ে কাজ করার জন্য উপযুক্ত প্রোগ্রাম সাব ক্লাস ৪০৭ এবং সাব ক্লাস ৪৮২ (ট্রেনিং ভিসা) এই ভিসার জন্য কমপক্ষে আইইএলটিএসে ৫ কিংবা ৬ স্কোর থাকা লাগবে এবং ইংরেজি ভাষায় ভালো দক্ষতা থাকা লাগবে।

এছাড়াও যদি আপনার কোন কাজের উপর দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি অস্ট্রেলিয়া বৈধ হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাংলাদেশীদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ তাই দেরি না করে আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ার অবৈধ প্রবাসী হয়ে থাকেন 

এবং আপনার কাজের উপর অভিজ্ঞতা ২ থেকে ৩ বছরের হয়ে থাকে তাহলে আপনি দ্রুত কাজের অভিজ্ঞতা সনদপত্র সঙ্গে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলি দিয়ে ভিসা প্রসসিং এ দিয়ে দিন এবং আপনি স্বল্পসময়ে ভিসা পেয়ে যাবেন।

অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন অস্ট্রেলিয়া অধিবাসনে নতুন প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্কিলড মাইগ্রেশনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ রয়েছে। প্রায় ৫০ বছর পর এবার অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের নতুন রূপ নিয়েছে। 
আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী বসবাস করতে চান প্রথমে আগে ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানা উচিত কারণ এসব ভিসার মাধ্যমে আপনি অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে পারবেন।
  • এমপ্লোয়ার স্পনসরড ওয়ার্ক ভিসা
  • পার্টনার অ্যান্ড আদার ফ্যামিলি মাইগ্রেশন ভিসা
  • স্কিলড মাইগ্রেশন ভিসা
  • বিজনেস স্কিলড মাইগ্রেশন ভিসা
অস্ট্রেলিয়ায় এই সব ভিসা রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন তাই বাংলাদেশিদের জন্য এটাই একটি সুবর্ণ সুযোগ দেরি না করে আপনার যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতা সনদপত্র ফাইলগুলি ফিলাপ করে আবেদন করুন।

আমাদের শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম-কানুন সম্পর্কে এবং অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় গুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনি সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ায় একজন অবৈধ প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে দ্রুত আবেদন করুন।

কারণ বাংলাদেশিদের জন্য এটা একটি সুবর্ণ সুযোগ। আপনার যদি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন। এই সকল প্রবাস এবং বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে প্রতিনিয়ত ভিজিট করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu 360 BD নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url