রাতে ঘুমানোর আগে ৫টি কিসমিস খেলে কি হয় জানুন

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে জানাবো। কিসমিসকে শুকনো ফলের রাজা বলা হয় এই কিসমিসের অনেক উপকারিতা রয়েছে। আঙ্গু শুকিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি স্বাদের কিসমিস চলুন তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় এবং প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
আপনি যদি প্রতিনিয়ত কিসমিস খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় সে সম্পর্কে জানা দরকার কারণ প্রতিটি খাবারের খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট টাইম রয়েছে যে টাইমে খাবারগুলোতে খাবার খেলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়।

তাই রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে অনেক উপকারিতা রয়েছে যেগুলি আপনাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানাবো এছাড়াও প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত, কিসমিস খেলে কি ওজন বাড়ে সকল খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করব তাই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

কিসমিস হচ্ছে শুকনো ফল যার তুলনায় এতে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কিসমিসের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টকে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট বলা হয়ে থাকে। এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ক্যান্সার, অস্টিওপরোসিস, ডায়াবেটিস ইত্যাদি দীর্ঘ স্থায়ী রোগগুলো ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও রক্তশূন্যতা এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এছাড়াও কিসমিসের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।

অনেকে আছেন কিসমিস খাবার সঠিক সময় জানেন না সেজন্য কিসমিস খেয়ে তেমন একটা উপকারিতা পান না আপনারা কি জানেন রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়? রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে অনেক উপকারিতা রয়েছে তা জানতে হলে এই আর্টিকালটি পড়তে থাকুন।

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

যাদের রাতে ঠিকমত ঘুম হয় না এবং এসিডিটি সমস্যা রয়েছে তাদের কিসমিস খাওয়া খুবই উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে শরীরে মেলাটরিন টিপ্রোফ্যান এবং ফলেলের পরিমাণ বাড়ায় যা ঘুমানোর গুণমান উন্নত করে এবং স্বাস্থ্যের ওজন বাড়িয়ে তোলে যারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরে ব্যথা অনুভব করেন তাদের ক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়া খুবই উপকারী।

চলুন তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে আর কি কি হতে পারে সম্পূর্ণটা জেনে নেওয়া যাক। এছাড়াও কিসমিস অন্ত্রের আন্দোলন সহজ করতে সাহায্য করে। এগুলি কেবল অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয় মলের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী এটি শরীর থেকে ময়লা এবং বর্জ্য অপসারণ করতে সাহায্য করে তাছাড়া হাড় সুস্থ রাখে। 
কিসমিস খাওয়া হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এই কিসমিস যদি আপনি দুধের সাথে সিদ্ধ করে খান তাহলে শরীরে পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে এর সাথে এটি ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য হাড়ের ঘনত্ব বদ্ধ খনিজ গুলোকে প্রচার করে এবং হাড়কে শক্তিশালী করে তাছাড়া ওজন কমাতে সাহায্য করে।

কিসমিস খুবই উপকারী একটি শুকনো ফল যা একটু খেলেই পেট ভরে যায়। রাতে খাবারের পর যদি ৫টি কিসমিস খান তবে শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ঘুমের জন্য খুবই প্রয়োজন। 

এছাড়াও প্রতিনিয়ত রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, বাত এবং অ্যালজাইমা দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলো থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে তাই প্রতিনিয়ত রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়া অভ্যাস করুন।

প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়

অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়? মিষ্টি খাবারের স্বাদ বাড়াতে কিন্তু আমরা কিসমিস ব্যবহার করে থাকি এছাড়াও এটি পোলাও খোরমাতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে শুধুমাত্র সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্যই নয় এটিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। চলুন তাহলে প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে ফলে এটি আমাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিসমিস দেখতে ছোট হলেও এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, মিনারেল, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এছাড়াও কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা আমাদের শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং কিসমিসে ভিটামিন এ রয়েছে যা আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী। 

এবং প্রতিদিন কিসমিস খেলে ওজন বাড়ি তাই যারা শরীরের ওজন বাড়াতে চান তারা প্রতিদিন কিসমিস খান কারণ কিসমিসে ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ রয়েছে যা শরীরে দ্রুত এনার্জি দিতে সাহায্য করে। যেসব বাচ্চারা চকলেট খেয়ে দাঁতের মাড়ি এবং দাঁত নষ্ট করে ফেলে তাই বাচ্চাদেরকে যদি প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করা হয় তাহলে দৈনন্দিন মিনারেলস এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে।

সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়

সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়? উত্তরটি হল কিসমিসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে যা আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলে তাছাড়া কিসমিসের প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা আমাদের শরীরের পরিপাক ক্রিয়ায় দ্রুত সাহায্য করে ফলে খুব সহজে খাবার হজম হয়ে যায়।

কিসমিস পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে তাই কিসমিস ভেজানো জল রক্তাল্পতায় ভোগেন এমন মহিলাদের পক্ষে বিশেষ উপকারী। কিসমিস ভেজানো জল কিডনি ও লিভারকেও সুস্থ রাখে কিসমিস কোলেস্টেরলকে দূরে রাখে এবং হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • কিডনি ও লিভার ভালো রাখেঃ কিসমিস পানি কখনোই আপনার কিডনিতে ময়লা আবর্জনা পাথর জমতে দিবেনা। সরাসরি লিভার এবং কিডনিকে ভালো রাখতে দৈনিক এক গ্লাস কিসমিস পানি প্রয়োজন।
  • হজমশক্তি বাড়ায়ঃ কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে কিসমিসে থাকা ফাইবার পরিমাণ অনেক গুণ বেড়ে যায় ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং হজম শক্তি বাড়ে।
  • শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ রক্তস্বল্পতায় এটি খুবই কার্যকরী বিধায় যারা ব্লাড দিয়ে থাকেন তারা পরবর্তী ১ সপ্তাহ থেকে ১০ দিন টানা কিসমিস পানি পান করার কথা বলা হয়ে থাকে। এছাড়া কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড, আয়রন এবং ভিটামিন বি ১২ থাকে যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে বেশ সহায়তা করে।
  • বদ হজম ও খাদ্য বিষক্রিয়া দূর করেঃ যেহেতু কিসমিস পানি সরাসরি আমাদের মেটাবলিজমকে বুস্ট করে তাই বদহজম এবং ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়া দূর করতে দৈনিক ১ গ্লাস কিসমিস পানির প্রয়োজন।
  • ক্লান্তি দূর করেঃ কিসমিস ভিজিয়ে রেখে খেলে কিসমিসে থাকা ফাইভার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরে শোষণ করে ফলে শরীরে অনেক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ক্লান্ত দূর হয়।
  • ত্বক সুন্দর করেঃ কিসমিসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যে এন্টিঅক্সিডেন্ট গুলো আমাদের ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে।
  • চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ কিসমিসে থাকা ভিটামিন বি-১২ আমাদের চুলকে বৃদ্ধি করে এবং চুলকে ঘন এবং চুলের স্বাস্থ্য প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে। আশা করি সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয় তা জানতে পেরেছেন। তাই সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করুন।

সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম । কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম

আপনি যেন অবাক হবেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল কিসমিস পানি নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ করেছেন বিস্ময়কর কিসমিস পানি তৈরি করার একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে সেই পদ্ধতি আজকে আপনাদের জানাবো কিন্তু কিভাবে তৈরি করবেন এই কিসমিস পানি আলোচনা করব আজকের আর্টিকেলে চলুন তাহলে সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।

প্রিয়দর্শক সকালে খালি পেটে টানা ৭ দিন বিশেষ প্রক্রিয়ার কিসমিস পানি খেলে আপনার শরীরের মেটাবলিজম তিন থেকে চার গুণ বুস্ট করবে। গবেষণা বলছে কিসমিস পানি আমাদের শরীরে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সরাসরি হজম শক্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং এই পানির নিউট্রেশন পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে যা সরাসরি লিভার এবং কিডনিকে সবসময় চাঙ্গা রাখে। 

এবার আসুন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অর্থাৎ কিভাবে সকালে খালি পেটে কিসমিস বানিয়ে খাবেন। প্রথমেই প্রয়োজন হবে দুই কাপ বিশুদ্ধ পানির অর্থাৎ ৪০০ এমএল হলেই হবে এবং ১৫০ গ্রাম কিসমিস কিন্তু মনে রাখবেন চকচক করা কিসমিস না কিনে গারো রঙের কিসমিস কিনবেন কারণ চকচক করা কি হয়েছে কেমিকেল দেওয়া থাকে।

প্রাথমিক কিসমিসগুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিন এরপর একটি পাত্রে দুই কাপ পানি দিয়ে সারারাত ব্যাপী কিসমিস গুলো ভিজিয়ে রাখুন তারপর সকালে ফজরের নামাজের পর সেই পানি ছেকে নিয়ে তা হালকা গরম করে খেয়ে নিন মনে রাখবেন খুব বেশি গরম করলে সারারাত কিসমিসে যে নিউট্রেশনটা পানির সাথে যুক্ত হয়েছে সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাই হালকা গরম করবেন এবং খালি পেটে খাবেন।

কিসমিস ভিজিয়ে খেলে কি হয়

অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে সকালে কিসমিস ভিজিয়ে খেলে কি হয় কারণ অনেকেই দেখা যায় সকাল বেলা কিসমিস ভেজিয়ে খাই। যাদের শরীরে রক্ত কম রক্তস্বল্পতায় ভুগেন কিংবা রক্ত দান করেন তাদের জন্য কিসমিস ভিজিয়ে খেলে শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করতে ভীষণ কার্যকরী হিসেবে কাজ করে এই কিসমিস। 

তাছাড়া আপনি যদি আপনার সকালটা ভেজানো কিসমিস খেয়ে শুরু করেন তাহলে দিনে আপনি যতগুলো কাজ করেন না কেন মনোযোগ দিয়ে সারাদিন কাজ করতে পারবেন এবং শরীর ক্লান্ত অনুভব হবে না কেননা কিসমিস ভিজিয়ে খেলে কিসমিসে থাকা ফাইবারের পরিমাণ অনেক গুণ বেড়ে যায় যার ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর করে। আশা করে কিসমিস ভিজিয়ে খেলে কি হয় তা জানতে পারলেন অবশেষে।

অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয়

আমরা সকলেই জানি যে কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয় তাই এখন আপনাদের জানাবো অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয় এবং অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে। কিসমিসে অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে যেমনঃ আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ইত্যাদি। কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরে রক্তসল্পতা হয় না যা অ্যানিমিয়া থেকে বাঁচতে সহায়তা করে।

কিসমিস খাবার অনেক সুবিধা রয়েছে কিন্তু অতিরিক্ত কিসমিস গ্রহণের কিছু অসুবিধা রয়েছে যা আপনার অবশ্যই জানা উচিত। চলুন তাহলে এবার অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয় তা জেনে নেওয়া যাক। 
  • অনেকেরই কিসমিস খেলে এলার্জি হয় যদি আপনার এই ধরনের কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কিসমিস খাওয়া বন্ধ করুন।
  • এছাড়া অতিরিক্ত কিসমিস গ্রহণের ফলে শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে।
  • কারো কারো অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া, বমি জ্বরও দেখা যায়।
  • তাছাড়া কিসমিসের গ্লুকোজ প্রচুর পরিমাণে থাকে এক্ষেত্রে যাদের ওজন বেশি এবং ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তারা কিসমিস সীমিত পরিমানে খান কারণ কিসমিস খেলে ওজন বাড়ে।
  • এছাড়া বেশি কিসমিস খেলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • যদি আপনার ডাইবেটিস থেকে থাকে তবে কিসমিস কম খান কারণ এটি বেশি খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • এছাড়া বেশি কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যালরি বেড়ে যায় এবং ক্যালরি বৃদ্ধির ফলে ওজনও বাড়তে পারে আর ওজন বাড়ার কারণে আপনি আরো অনেক রোগের শিকার হতে পারেন।

কিসমিস খেলে কি মোটা হয়

অনেকেই আমরা আমাদের স্বাস্থ্য কমানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে থাকি তাই যারা কিসমিস খেতে পছন্দ করে তারা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকে কিসমিস খেলে কি মোটা হয়। আসলে কোন জিনিসই পরিমিত খেলে কোন অসুবিধা হয় না অর্থাৎ দুই একটি কিসমিস খেলে কোন অসুবিধা সৃষ্টি হয় না। কিন্তু প্রয়োজনে অতিরিক্ত কিসমিস খেলে এর মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি কারণে অযাচিতভাবে মোটা হওয়া যাওয়া সম্ভবনা থাকে 

ফলে ওজন বৃদ্ধি ঘটে এবং পাশাপাশি সুগারও বৃদ্ধি পায়। তাই আপনারা যারা অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খান কিন্তু ওজন বাড়াতে চাচ্ছেন না তারা কিসমিস অল্প খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করি কিসমিস খেলে কি মোটা হয় কিনা সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

বাদাম কিসমিস খেলে কি হয়

ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল পান করার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তবে শুধু জলই নয় অনেকে ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়ম করে ভেজানো বাদাম ও কিসমিস খেয়ে থাকে। জানেন কি বাদাম কিসমিস খেলে কি হয় তা অনেকেরই অজানা। বাদাম ও কিসমিস একই সঙ্গে সেবন করলে রিতুস্রাবের সময় তলপেটে পেশির টান ধরা বা ক্রাম থেকে রেহাই পাওয়া যায় এবং পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।

কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয়

তো বন্ধুরা, কিসমিস আমাদের ত্বক এর জন্য শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। আর কিসমিস খেতে কম বেশি আমরা কিন্তু সবাই পছন্দ করি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কিসমিস ছাড়া ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালি পেটে খেলে তার শরীর অনেক উপকার করে। অনেকেই আবার জানতে চেয়ে থাকে কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয়? উত্তর হচ্ছে জি হ্যাঁ।

প্রথমত কিসমিস ভেজানো পানি নিয়মিত খেলে ভেতর থেকে ত্বক অনেক সুন্দর হয়ে ওঠে, ধীরে ধীরে ব্রণের সমস্যাগুলো দূর হয়, ত্বকের দাগ ছোপ হালকা হয় এবং ত্বকের রঙ অনেকটি উজ্জ্বল দেখতে লাগে। এছাড়াও আরও অনেক রকমের সমস্যা গুলো দূর হয়।

মধু আর কিসমিস একসঙ্গে খেলে কি হয়

মধু আর কিসমিস একসঙ্গে খেলে আমাদের শুক্রানুর গুণমান ভালো হতে সাহায্য করে তাছাড়া এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে মধু আর কিসমিসে থাকে এন্টি ক্যান্সার উপাদান যা আমাদের শরীরে যে কোন অঙ্গে ক্যান্সারে কোষ ভাড়া ক্ষেত্রে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। আশা করি একসঙ্গে মধু আর কিসমিস খেলে কি হয় তা জানতে পেরেছেন।

শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়

গবেষণায় দেখা গেছে শুকনো কিসমিস খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করা মাত্রা কমিয়ানে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এছাড়াও কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আপনার এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমায় এবং আপনার হার্টের চাপ কমায়। 

এছাড়াও কিসমিস পটাশিয়ামের জন্য একটি ভাল উৎস গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে কম পটাশিয়াম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের এর ঝুঁকি বাড়ায় তাই আপনার শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করতে হলে প্রতিদিন শুকনো কিসমিস খেতে পারেন এছাড়াও ওজন বাড়াতে কিসমিস বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও শুকনো কিসমিস ক্যান্সারের ঝুঁকি কামাই।

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

কিসমিসে রয়েছে পটাশিয়াম, প্রোটিন, আইরন, কপার এবং ভিটামিন বি-৬ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতে কিসমিস সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে এটি খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় তবে খেতে হবে পরিমাণ মতো পুষ্টিবিদ্যার মতে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া যায়।

কিসমিস খেলে কি ওজন বাড়ে

সবার জন্য কিসমিস ভীষণ উপকারী এই কিসমিস ওজন বাড়াতে সাহায্য করে তাই যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের বেশি করে ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। কিসমিসে এ ক্যালোরি পরিমাণ বেশি প্রায় ১০০ গ্রাম কিসমিসে ২৯৯ ক্যালোরি রয়েছে যা আপনার শরীরে দৈনিক ক্যালোরির চাহিদা পূরণ করে। 
কিসমিস ওজন বৃদ্ধির ক্ষমতা রাখে তাই ওজন বাড়ানোর জন্য আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিসমিস খেতে পারেন।আপনি চাইলে পোলাও, পায়েস এবং এমনিও কিসমিস খেতে পারেন। আপনি যদি কিসমিস এর সবকিছু পুষ্টি উপাদান পেতে চান তাহলে রাতে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন পরের দিন সকালে খেয়ে ফেলুন। 

শেষ কথা

কিসমিস খাওয়ার সময় অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করবেন যেমন প্রতিদিন পরিমাণ মতন কিসমিস খাবেন আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি আগেই প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত আশা করি জানতে পেরেছেন তাই কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাবেন না অতিরিক্ত কিসমিস খেলে বদহজম সহ পেটের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই পরিবার মতন কিসমিস খান।

এবং কিসমিসের সকল পুষ্টিগুণ পেতে হলে এক কাপ দুধের সঙ্গে কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে চার-পাঁচটা কিসমিস খেতে পারেন ফলে বেশি উপকারী পাওয়া যায়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় এবং প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানিয়েছি।

আশা করি আপনি সবকিছু মনোযোগ সহকারী পড়েছেন এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন এবং এই সকল বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে প্রতিনিয়ত চোখ রাখতে পারেন। এবং আপনার যদি কোন মতামত বা প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu 360 BD নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url