কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না ও করণীয় কি জানুন

আজকের এই আর্টিকেলে কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না এবং কুকুরে কামড়ালে করণীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। কুকুরের কামড় খুবই মারাত্মক। বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ক্ষ্যাপা কুকুরের আক্রমণের শিকার অনেকেই হয়ে থাকে। বেশিরভাগ কুকুরেরই ভ্যাকসিন দেওয়া থাকে না তাই জলাতঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই কুকুরে কামড়ালে বেশি দেরি না করে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।
কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না ও করণীয় কি জানুন
আপনি যদি কুকুরের কামড় নিয়ে বাসায় বসে থাকেন কোন চিকিৎসা গ্রহণ না করেন তাহলে এটা থেকে জলাতঙ্ক হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে তাই প্রথমে চিকিৎসা গ্রহণ করুন তারপর কিছু ঘরোয়া প্রতিকার অবলম্বন করতে পারেন। এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না এবং কুকুরে কামড়ালে করণীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ 

ভূমিকা

পথে ঘাটে চলতে গিয়ে কখন যে কি হয়ে যায় কেউ বলতে পারে না যেমন কুকুরের কামড়। কুকুরের কামড় খুবই কষ্টদায়ক এবং মারাত্মক যে কামড় খায় সেই একমাত্র বুঝে। আপনি যদি কুকুরের কামড় খাওয়ার পর সঠিক সময় চিকিৎসা গ্রহণ করেন এর পাশাপাশি ঘরোয়া উপায় গুলি মেনে চলেন তাহলে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আপনার শরীরে কুকুরের বিষ পানি হয়ে যাবে।

নিচে কুকুর কামড়ালে কি হয় এবং কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না এর পাশাপাশি কুকুরে কামড়ালে করণীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আপনি যদি কুকুরের কামড় খেয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

কুকুর কামড়ালে কি হয়

কুকুরে কামড়ালে যদি তৎক্ষণিক চিকিৎসা না করা হয় তাহলে জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে আর এই রোগ হলে কোন মুক্তি নেই। জলাতঙ্ক এই রোগটার নাম অনেকেই শুনেছেন আবার অনেকেই হয়তো শুনেননি। জলাতঙ্ক কি? এই জলাতঙ্ক রোগটি মূলত পশুদের হয়ে থাকে মানে সেটা গৃহপালিত পশু হতে পারে বা কোন পাখি হতে পারে ওদের মাধ্যমেই একজন মানুষের মধ্যে কিন্তু এই রোগটা সংক্রমিত হতে পারে। 
যে সমস্ত পশু গুলোর মধ্যে এই জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কুকুর পাশাপাশি কিছু প্রাণী রয়েছে যেমনঃ বিড়াল, নেকড়ে বাঘ, বাদুড় ইত্যাদি এই সমস্ত কিছু পশু বা পাখির মধ্যে রেবিস নামে এক ধরনের ভাইরাস এর সংক্রমণের কারণে এই রোগটি তাদের মধ্যে হয়ে থাকে।যখন এই সমস্ত পশু বা পাখি কোন মানুষকে কামড় দেয় তখন তাদের মুখের লালাল মাধ্যমে এই জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তখনই এই রোগে একজন মানুষ আক্রান্ত হয়।

কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না

কুকুরে কামড় খাওয়ার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সঠিক চিকিৎসায় গ্রহণ করা আর সেটা হচ্ছে টিকা দেওয়া। আপনাকে কুকুরে কামড় দিলে সর্বপ্রথম টিকা দিন কারণ কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক ছড়ায়। টিকা দেওয়ার পর আপনি খাওয়া-দাওয়ার ওপর নজর দিতে পারেন। 

ভারতে বিভিন্ন গবেষণা করে দেখা গেছে কুকুরে কামড়ালে মসলাদার খাবার, ধনে, টমেটো এবং মাংস ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে পরিহার করা উচিত। আপনি যদি কুকুরের কামড় খেয়ে থাকেন তাহলে সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি কুকুরের কামড়ের পর পাঁচটি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন সেই পাঁচটি খাবার যেগুলি কুকুর কামড়ানোর পর এড়িয়ে চলা উচিত।
  • চিনি যুক্ত খাবারঃ চিলি যুক্ত খাবার খেলে প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধীর করে দিতে পারে তাই চিনে যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন।
  • কাঁচা বা কম রান্না করা মাংসঃ যে কোন কাঁচা খাবার বা কম রান্না করা মাংস, ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ এই খাবারগুলোতে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যেমনঃ সালমোনেলা বা ই. কোলাই যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে তাই এসব খাবার না খাওয়াই ভালো।
  • সামুদ্রিক খাবারঃ কম রান্না করা বা কাঁচা সামুদ্রিক খাবার যেমনঃ ঝিনুক, চিংড়ি মাছ, সুশি ইত্যাদি যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে তাই সামুদ্রিক খাবার খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন।
  • দুগ্ধজাত খাবারঃ পনির, দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই এইসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন তবে আপনি চাইলে এই খাবারগুলি গরম করে খেতে পারেন কিন্তু ঠান্ডা অবস্থায় কখনো খাবেন না।
  • না ধোয়া ফল ও শাকসবজিঃ যে কোন ফল বা শাক-সবজি না ধুয়ে খাওয়া যাবে না কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে তাই ফল বা শাকসবজি খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন তারপর খান।
  • অ্যালকোহলঃ অ্যালকোহল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর কারণ অ্যালকোহল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় যার ফলে সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়তে পারে তাই অ্যালকোহল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবারঃ আমরা সবাই জানি যে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এই অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খেলে আপনার ক্ষত জ্বালাপোড়া করতে পারে এবং ব্যথাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে তাই অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
চিকিৎসার পাশাপাশি আপনি এই খাবারগুলি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন দেখবেন খুব দ্রুত আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আর আপনি যদি সংক্রমণের কোনো লক্ষণ যেমনঃ ক্ষত ফুলে যাওয়া, অতিরিক্ত ব্যথা করা, লাল ভাব ইত্যাদি লক্ষণ দেখতে পান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কুকুরে কামড়ালে করণীয় কি

অনেকেই আমরা বাড়িতে কুকুর লালন পালন করে থাকি তো আপনার কুকুর যদি হঠাৎ করে কামড়ে দেয় বা শরীরে আঁচড় দিয়ে দেয় অথবা অনেক সময় আমরা রাস্তায় চলাচল করার সময় হঠাৎ করে রাস্তার কুকুরগুলো অনেক সময় আমাদের তেড়ে আসে বা হঠাৎ করে আমাদের কামড়েও দিতে পারে 

তো এই অবস্থায় আপনি কি করবেন হঠাৎ করে যদি আপনাকে কামড় দিয়ে দেয় এই অবস্থায় আপনি মেডিকেলে যাওয়ার পূর্বে আপনার কি করা প্রয়োজন এটা নিয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কুকুর কামড়ালে করনীয় কি সে সম্পর্কে।
  • কোন সন্দেহজনক কুকুর বা অচেনা প্রাণী আপনাকে আঁচড় বা কামড় দিলে প্রথমেই আক্রান্ত স্থানে ক্ষত ও রক্তপাতের তীব্রতা খেয়াল করবেন। এজন্য প্রথমে ক্ষতস্থান চেপে ধরবেন যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। এরপর টিউবওয়েল বা কলের পানি দিয়ে নূন্যতম ১০ মিনিট ধরে ক্ষত স্থান পুরস্কার করবেন। 
  • সম্ভব হলে কোন এন্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবানও ব্যবহার করা যেতে পারে। জলাতঙ্ক ভাইরাস সহ ক্ষততে অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করতে এই সাবান সাহায্য করবে। 
  • ক্ষত পরিষ্কার হয়ে গেলে দেরি না করে ক্ষত পরবর্তীতে সংক্রমণে হার কমানোর জন্য কাছের চিকিৎসা কেন্দ্র গিয়ে ক্ষতস্থান পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণ দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবেন তারপর ক্লোরো হেক্সেন দিয়ে ক্ষতস্থানটিকে ভালো করে পরিষ্কার করবেন এতে করে অর্ধেকের বেশি জলাতঙ্ক ভাইরাস নষ্ট হয়ে যাবে।
  • এবার ক্ষততে কোন এন্টিবায়োটিক মহলম প্রয়োগ করতে পারেন কিন্তু ক্ষতস্থান কোনভাবেই সেলাই করা যাবে না। 
  • প্রয়োজনীয় ব্যথা-নাশক ঔষধ সেবন এর পাশাপাশি অবশ্যই প্রতিদিন আঁচর বা কামড়ের ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে হবে। 
  • কাটা স্থানে যাতে ধুলাবালি ময়লা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ক্ষত যতদিন না শুকাবে ততদিন এই নিয়ম মেনে চলা উচিত।
  • ক্ষত স্থানে কোন স্যালাইন, বরফ, চিনি, লবণ ইলেকট্রিক শক ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া বাটি পরা, পান পড়া, ঝাড়ফু ইত্যাদি জলাতঙ্ক হাত থেকে কাউকে বাঁচাতে পারবে না।
  • ক্ষতস্থান কখনোই অন্য কিছু দিয়ে কাটা টিউশন করা বা ব্যান্ডেজ করা যাবে না। এছাড়া কোন কবিরাজ বা উজার শরণাপন্ন হয়ে কোন অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা বা অপ চিকিৎসা গ্রহণ করে সময় নষ্ট করা একদমই যাবে না।
  • সম্ভব হলে আক্রমণ কারি যে কুকুরটি আপনাকে কামড়েছে তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আক্রমণে কিছুদিনের মধ্যে যদি কুকুরটি যদি মারা যায় তাহলে আপনাকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং এরকম হলে প্রয়োজনীয় বিষয়টি চিকিৎসককে জানাতে হবে।

কুকুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়

বিড়াল অথবা কুকুর কামরানোর প্রথম দিনই টিকা দিতে হবে আর যদি টিকা দিতে অনেকদিন দেরি হয় তাহলে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন কুকুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়? কুকুর কামড়ালে জিরো ডে ভ্যাকসিনেশন দিতে হয়। এই ভ্যাকসিন ৩,৭,১৪ ও ৩০ দিনের মাথায় দেওয়া জরুরী।

কুকুর কামড়ালে কয়টি টিকা দিতে হয়

আপনাকে যদি বিড়াল অথবা কুকুরে কামড় দেয় তাহলে আপনার ভ্যাকসিনের ডোজ হবে ০,৩,৭,২১ এবং ২৮ তম দিনে অর্থাৎ প্রতিটা দিনে একটি করে ডোজ হবে। তো মূলত আপনি যদি পূর্বে নেন তাহলে চারটি টিকা দিতে হবে আর যদি কুকুরে কামড় দেয়ার পরে যদি নেন তাহলে ৫টি টিকা দিতে হবে।

কুকুর কামড়ালে কি বাচ্চা হয় 

কুকুর কামড়ালে কি পেটে বাচ্চা হয়? এই কথাটা কতটুকু সত্য চলুন জেনে নেওয়া যাক। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কুকুরকে প্রচন্ড ভয় করেন আর এই ভয়ের কারণ হচ্ছে জলাতঙ্ক। জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুর যদি কোন মানুষকে কামড়ায় আর যদি সময় মত চিকিৎসা গ্রহণ করা না হয় তাহলে পরিণাম হয় মৃত্যু।

জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুরকে মানুষজন পাগলা কুকুর বলেই চিনে। এই পাগল আচরণের জন্য দায়ী হচ্ছে জলাতঙ্ক রোগ। জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত কুকুর যেটা সামনে পাবে সেটাই কামড়াই। এবং পানির তৃষ্ণা পেলেও পানি পান করতে পারেনা পানি দেখে ভয় করে এর জন্যই এ রোগের নাম জলাতঙ্ক। এজন্য কুকুর থেকে সাবধানতা থাকা ভালো কিন্তু কুকুর কামড়ালে বাচ্চা হয় এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা।

কুকুরের কামড় থেকে পেটে বাচ্চা হওয়া এটি প্রায় অসম্ভব ব্যাপার এবং এমন কিছু হয়েছে বলে কখনো শোনা যায়নি। এইসব কথা শুধুমাত্র ছোট বাচ্চাদেরকে কুকুর থেকে ভয় দেখানোর জন্যই বলা হয়ে থাকে।

ছাগলকে কুকুর কামড়ালে কি করতে হয়

যারা বাণিজ্যিকভাবে কিংবা পারিবারিকভাবে ছাগল লালন পালন করে থাকি অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের গৃহপালিত ছাগল অথবা ফার্মের ছাগল কোন কারনে বাইরে গেলে কুকুর কামড় দিয়ে থাকে। তো কুকুর কামড় দেওয়া এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়। ছাগল কিংবা ভেড়া অথবা আপনার যে কোন গৃহপালিত প্রাণীকে কুকুর কামড়ে দিলে সেটার চিকিৎসা কিভাবে করতে হবে সেই বিষয়টাই আজকে আপনাদের জানাবো।

কুকুরে কামড়ানো গৃহপালিত প্রাণীদের জন্য একটি ভ্যাকসিন আছে যার নাম হচ্ছে Rabies killed Vacine. কুকুরের লালার মধ্যে এক ধরনের ভাইরাস থাকে যার নাম হচ্ছে জলাতঙ্ক। তো এই জলাতঙ্ক ভাইরাসটা যদি ছাগলের শরীরে যায় তাহলে ছাগলটাও জলাতঙ্ক আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তো এটা থেকে প্রতিহত করার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে।

ছাগলকে যদি কোথায় কামড়ায় সেই জায়গাটা প্রথমে কাপড় খাছা সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর যত দ্রুত সম্ভব জলাতঙ্ক ভ্যাকসিনটা ছাগলের শরীরে প্রয়োগ করতে হবে। তো এই ভ্যাকসিন যদি প্রয়োগ না করা হয় তাহলে আমাদের প্রাণীগুলো জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। 

এই জলাতঙ্ক রোগ এতটাই মারাত্মক যে একটি প্রাণীতে হলে আপনার যতগুলো প্রাণী থাকবে সবগুলো পর্যায়ক্রমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে সেক্ষেত্রে বড় ধরনের একটি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। 

আর আরেকটি কথা হচ্ছে কুকুরের কামড়ে ছাগলে যদি অল্প ক্ষত হয় তাহলে অবশ্যই হলুদের গুড়া একটু লাগিয়ে দিলে সে ক্ষতটা খুব দ্রুত শুকিয়ে যাবে আর যদি ক্ষত পরিমান একটু বেশি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রেই ভ্যাকসিনেশন করার পাশাপাশি অতিরিক্ত হিসেবে প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক দিতে হবে ঘা শুকানোর জন্য।

কুকুরের কামড়ানো গরুর মাংস খাওয়া যাবে কি

গ্রামে অনেক কুকুর আছে যেগুলি ছাগল এবং গরুকে কামড় দিয়ে থাকে তাই অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন কুকুরে কামড়ানো ছাগল বা গরুর মাংস খাওয়া যাবে কিনা। কুকুরে যেকোনো প্রাণীকে কামড়ালে বিষক্রিয়া হয় সেক্ষেত্রে কুকুরে কামড়ানো ছাগল বা গরুর মাংস না খাওয়াই ভালো কেননা এটি খেলে আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।

কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়

আপনি কি জানতে চেয়ে থাকেন কুকুর কামড়ানোর কতদিন পর জলাতঙ্ক হয়ে থাকে। কুকুর কামড়ালে যে জলাতঙ্ক রোগ হয় এটা ভুল কারণ কুকুরের যদি জলাতঙ্ক রোগ থেকে থাকে এবং সেই কুকুর যদি একটি মানুষকে কামড়ায় এবং সেই মানুষটা যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ না করে তাহলে ১০ দিন পরে জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
তবে ১০ দিনের বেশিও লাগতে পারে কেননা জলাতঙ্কের জীবানু যতক্ষণ না স্নায়ুতন্ত্রে প্রবেশ করছে ততক্ষণ জলাতঙ্কের হবে না। এইজন্য আপনাকে যদি কুকুরে কামড়িয়ে থাকে তাহলে সময় নষ্ট না করে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শে ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি।

সব কুকুর কামড়ালে কি জলাতঙ্ক হয়

জলাতঙ্ক একবার হলে রোগীকে বাঁচানো অনেক কঠিন বা অনেক ক্ষেত্রে বাঁচানো সম্ভব হয় না তবে বর্তমানে এই রোগের উন্নত চিকিৎসা আছে। কুকুরে কামড়ানো আর সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শের ভ্যাকসিন নেওয়া শুরু করলে ভয়ের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। সাধারণত কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বানর, ইদুর ইত্যাদি প্রাণী বিশেষ করে কুকুর জলাতঙ্ক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে এবং মানুষকে কামড়ালে এই রোগ হয়। 

এইসব প্রাণীর মুখের লালায় জলাতঙ্ক জীবাণু থাকে এবং এই লালা কামড় বা পুরনো আঁচড়ের মাধ্যমে রক্তে সংস্পর্শে আসলে রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়। তবে সব কুকুরে কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হয় না। যদি কুকুরটি লালাই জলাতঙ্ক জীবাণু না থাকে তাহলে কুকুরের কামড়ে এই রোগ হবে না আশা করি বুঝতে পেরেছেন। 

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনি যদি কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং ভ্যাকসিন গ্রহণ না করে থাকেন তাহলে দ্রুত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে নিন। কেননা কুকুরের কামড় থেকে আমাদের দেশে শতকরা ৯৫ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয়। আর এই জলাতঙ্ক রোগ হলে এর কোন চিকিৎসা নেই বললেই চলে তাই কুকুরে কামড়ালে সাথে সাথেই ভ্যাকসিন নিতে হবে।

ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি আর্টিকেলে যে খাবারগুলি খেতে নিষেধ করা হয়েছে সেই খাবারগুলি আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে তাহলে আপনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আপনার শরীরে যে কুকুরের বিষটি রয়েছে সেটি দূর হয়ে যাবে।

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না এবং কুকুরে কামড়ালে করণীয় কি সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন। আমাদের এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দেবেন আর আপনার কোন মতামত অথবা প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu 360 BD নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url